করতোয়া-কাটাখালী-বাঙালিজুড়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া, কাটাখালী ও বাঙালী নদীর বুক জুড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় অসাধু নেতার ছত্রছায়ায় করতোয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে এ বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করে অবৈধ বালুদস্যুরা এদিকে যেমন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হচ্ছে অন্যদিকে বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি ও নদীতীরবর্তী ঘর-বাড়ি ভাঙনে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ফুলাহার থেকে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানতলা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার করতোয়া নদীর বুক জুড়ে প্রায় অর্ধশত স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর ভূগর্ভ থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় বালু দস্যুরা দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে নদীর ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলন করছে। এসব বালু উত্তোলন করে নদী পাড়েই ঢিবি দিয়ে মজুদ করে লাখ লাখ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বালু বিক্রি করে কতিপয় ব্যক্তি অল্প সময়েই লক্ষপতি/কোটিপতি বনে গেছেন। বালুদস্যুরা জানায়, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন আাটঘাট বেঁধেই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হলে বালু উত্তোলন ২-১ দিন বন্ধ থাকলেও পরে বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে আবারও শুরু করা হয়। গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এমএ মোতিন মোল্লা জানান, উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার সহযোগিতায় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে কোটিপতি বনে যাচ্ছেন।

অপরদিকে বালু উত্তোলনে করতোয়া বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি ও নদী তীরবর্তী ঘর-বাড়ি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়লেও দেখার যেন কেউ নেই। নদী এবং ভূগর্ভ থেকে বালু তোলা বন্ধে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন আন্দোলন করেও প্রতিকার না হওয়ায় এ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছি। প্রশাসনের ম্যানেজের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও রামকৃষ্ণ বর্মন জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়াও উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনেও মামলা করা হয়েছে। পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের বিরুদ্ধের জরিমানাসহ নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।

image

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : মেরী নরেঙ্গাবাদ করতোয়ার ঘাট থেকে এভাবেই ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন -সংবাদ

আরও খবর
বালুমহল ইজারায় হুমকিতে শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু : ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী
এক বছরে টেকনাফ সীমান্তে ২১১ কোটি টাকার মাদক স্বর্ণ-অস্ত্র জব্দ ধৃত ২৪৪ : হত ১৪
সিদ্ধিরগঞ্জেই সর্বপ্রথম ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে মেয়র আইভী
চাটমোহরে সড়কে ঝরলেন বৃদ্ধ
কিশোরগঞ্জে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে আরও ৮৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত
বগুড়ায় জেলা জজের অসৌজন্য আচরণের প্রতিবাদে আইনজীবীদের মানববন্ধন
বাগেরহাটের গাঁজাসহ আটক ২
লাকসাম সড়কে গড়ে উঠেছে অবাধে ওয়েলডিং কারখানা
বিএনপির মেয়রপ্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে তৃণমূলের বিক্ষোভ শতাধিক নেতার গণপদত্যাগের হুমকি
নন্দীগ্রামে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
সেশন ফি না দেয়ায় বই পায়নি ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী
চাটখিলে পঙ্গু রিকশাচালকের নাম ভাঙিয়ে টাকা আত্মসাৎ
বাঁশখালীতে মুজিববর্ষে ঘর পাচ্ছে ২৫ গৃহহীন

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

করতোয়া-কাটাখালী-বাঙালিজুড়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

প্রতিনিধি, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা

image

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : মেরী নরেঙ্গাবাদ করতোয়ার ঘাট থেকে এভাবেই ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন -সংবাদ

গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া, কাটাখালী ও বাঙালী নদীর বুক জুড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় অসাধু নেতার ছত্রছায়ায় করতোয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে এ বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করে অবৈধ বালুদস্যুরা এদিকে যেমন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হচ্ছে অন্যদিকে বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি ও নদীতীরবর্তী ঘর-বাড়ি ভাঙনে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ফুলাহার থেকে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানতলা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার করতোয়া নদীর বুক জুড়ে প্রায় অর্ধশত স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর ভূগর্ভ থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় বালু দস্যুরা দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে নদীর ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলন করছে। এসব বালু উত্তোলন করে নদী পাড়েই ঢিবি দিয়ে মজুদ করে লাখ লাখ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বালু বিক্রি করে কতিপয় ব্যক্তি অল্প সময়েই লক্ষপতি/কোটিপতি বনে গেছেন। বালুদস্যুরা জানায়, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন আাটঘাট বেঁধেই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হলে বালু উত্তোলন ২-১ দিন বন্ধ থাকলেও পরে বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে আবারও শুরু করা হয়। গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এমএ মোতিন মোল্লা জানান, উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার সহযোগিতায় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে কোটিপতি বনে যাচ্ছেন।

অপরদিকে বালু উত্তোলনে করতোয়া বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি ও নদী তীরবর্তী ঘর-বাড়ি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়লেও দেখার যেন কেউ নেই। নদী এবং ভূগর্ভ থেকে বালু তোলা বন্ধে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন আন্দোলন করেও প্রতিকার না হওয়ায় এ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছি। প্রশাসনের ম্যানেজের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও রামকৃষ্ণ বর্মন জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়াও উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনেও মামলা করা হয়েছে। পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের বিরুদ্ধের জরিমানাসহ নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।