চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগরকে পরিবর্তন করে গতবারের মেয়র প্রার্থী তৌহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে পটিয়া পৌরসভা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শতাধিক বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা কর্মী দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির নেতারা জানান, তৌহিদুল আলম বিএনপির একজন সম্ভাবনায় নেতা। ২০১৫ সালে পৌর নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ছিলেন তৌহিদুল আলম ৭৭৩৫ ভোট পেয়ে বিজয় হলেও প্রশাসন ভোটের ফলাফল পাল্টে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যাপক হারুনুর রশীদকে বিজয় ঘোষণা করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌরসভা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবছার উদ্দিন, পটিয়া পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাকিম, এনামুল হক এনাম, জমির উদ্দিন আহমদ, নুরুল কবির, নুরুল আলম, আলমগীর বাবু, মো. আলী, নাজিম উদ্দিন, আবদুল মোমেন, দিদারুল ইসলাম, মো. ফোরকান, ইলিয়াছ ওসমান, মোকাররম, রনি, ওমর ফারুক সুমন, জমির উদ্দন, শরীফ, নাজিম উদ্দিন নাজু, বেলাল উদ্দিন, শহীদ, বাবলু, এস এম রেজা রিপন, মিজান, মন্নান, ইদ্রিস, জিয়া, দিল মোহাম্মদ, মো. সেলিম, মো. হাসান, ইরফান হোসেন, রিজুয়ানুল ইসলাম, বাবু, জাহেদুল ইসলাম নয়ন, জুয়েল, আজিম, তানবীর রিয়াদ, রায়হান, বাবু, সাকিব, মাহিন, মারুফ, সাকিব, মানিক, সায়েম, ইফতেখার, হিজবুল বাহার প্রমুখ। তারা প্রার্থী পরিবর্তন না হলে গণপদত্যাগের হুশিয়ারি দেন। বিষয়টি বিএনপির হাইকমান্ডের নিকট বিবেচনা করার দাবি জানান।
শুক্রবার রাতে পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগরের নামটি চলে আসায় শনিবার বিএনপির নেতা কর্মীদের বিক্ষোভ আরো বেড়ে যায়। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর বদরুল খায়ের চৌধুরী বলেন, গত নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করার মত কোন লোক পাওয়া যায়নি, তৌহিদুল আলমকে বাধ্য করে মেয়র পদে নির্বাচন করানো হয়েছিল। নির্বাচনের পর থেকে বিগত ৫টি বছর দলীয় নেতা কর্মীদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছে, গত নির্বাচনে তৌহিদু বিপুল ভোটে বিজয়ও হয়েছিল কিন্তু তার বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
পৌরবাসীর অন্তরে তৌহিদুল এখনো আছে, গরিব অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। তৌহিদকে মনোনয়ন না দিয়ে দল তার প্রতি অবিচার করেছে, আশা করি দলের হাইকমান্ড তৌহিদুল আলমকে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেবেন বলে আশা করেন। এ বিষয়ে বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনধি, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগরকে পরিবর্তন করে গতবারের মেয়র প্রার্থী তৌহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে পটিয়া পৌরসভা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শতাধিক বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা কর্মী দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির নেতারা জানান, তৌহিদুল আলম বিএনপির একজন সম্ভাবনায় নেতা। ২০১৫ সালে পৌর নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ছিলেন তৌহিদুল আলম ৭৭৩৫ ভোট পেয়ে বিজয় হলেও প্রশাসন ভোটের ফলাফল পাল্টে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যাপক হারুনুর রশীদকে বিজয় ঘোষণা করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌরসভা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবছার উদ্দিন, পটিয়া পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাকিম, এনামুল হক এনাম, জমির উদ্দিন আহমদ, নুরুল কবির, নুরুল আলম, আলমগীর বাবু, মো. আলী, নাজিম উদ্দিন, আবদুল মোমেন, দিদারুল ইসলাম, মো. ফোরকান, ইলিয়াছ ওসমান, মোকাররম, রনি, ওমর ফারুক সুমন, জমির উদ্দন, শরীফ, নাজিম উদ্দিন নাজু, বেলাল উদ্দিন, শহীদ, বাবলু, এস এম রেজা রিপন, মিজান, মন্নান, ইদ্রিস, জিয়া, দিল মোহাম্মদ, মো. সেলিম, মো. হাসান, ইরফান হোসেন, রিজুয়ানুল ইসলাম, বাবু, জাহেদুল ইসলাম নয়ন, জুয়েল, আজিম, তানবীর রিয়াদ, রায়হান, বাবু, সাকিব, মাহিন, মারুফ, সাকিব, মানিক, সায়েম, ইফতেখার, হিজবুল বাহার প্রমুখ। তারা প্রার্থী পরিবর্তন না হলে গণপদত্যাগের হুশিয়ারি দেন। বিষয়টি বিএনপির হাইকমান্ডের নিকট বিবেচনা করার দাবি জানান।
শুক্রবার রাতে পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগরের নামটি চলে আসায় শনিবার বিএনপির নেতা কর্মীদের বিক্ষোভ আরো বেড়ে যায়। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর বদরুল খায়ের চৌধুরী বলেন, গত নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করার মত কোন লোক পাওয়া যায়নি, তৌহিদুল আলমকে বাধ্য করে মেয়র পদে নির্বাচন করানো হয়েছিল। নির্বাচনের পর থেকে বিগত ৫টি বছর দলীয় নেতা কর্মীদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছে, গত নির্বাচনে তৌহিদু বিপুল ভোটে বিজয়ও হয়েছিল কিন্তু তার বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
পৌরবাসীর অন্তরে তৌহিদুল এখনো আছে, গরিব অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। তৌহিদকে মনোনয়ন না দিয়ে দল তার প্রতি অবিচার করেছে, আশা করি দলের হাইকমান্ড তৌহিদুল আলমকে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেবেন বলে আশা করেন। এ বিষয়ে বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সওদাগরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।