চাটখিল পৌরসভার ডাক বাংলার পাশে ভাড়া বাসায় বসবাসকারী প্রতিবন্ধী পঙ্গু রিক্সা চালক জামালকে সাহায্য-সহযোগিতার আশ^াস দিয়ে তার ছবি ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউব-এ দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা সহযোগিতা আদায় করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। আত্মসাতকারীদের হুমকি-ধামকির ভয়ে রিক্সা চালক জামাল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে প্রতিবন্ধী অসহায় গরিব জামালকে সাহায্য-সহযোগিতা এনে দিবে বলে চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী তপাদারের ছেলে আলাউদ্দিন ও একই গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম রিয়াদ জামালের ভিডিও ও ছবি তুলে তাদের ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে কৌশলে রিয়াদ ও আলাউদ্দিন তাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশ নাম্বার ব্যবহার করে এসব টাকা হাতিয়ে নেয়। আদায়কৃত টাকা থেকে তারা জামালকে একটি রিক্সা ও কয়েক কিস্তিতে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়। জামাল তাদের কাছে বাকি টাকা দাবি করলে তারা ভূমিহীন জামালকে পৌর এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জমি কিনে না দেয়ায় জামাল ও তার স্ত্রী তাদের কাছে টাকা চাইলে তারা বিভিন্ন তালবাহনা শুরু করে। এরপর জামালের স্ত্রী গৃহকর্মী বিউটি আক্তার চাটখিল প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন। তখন আলাউদ্দিন দেশের বাহিরে ছিল। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন দেশে আসার পর প্রেসক্লাবের সভাপতি তাকে ডেকে এনে জামালের প্রাপ্য টাকা ফেরত দিতে বলেন। আলাউদ্দিন টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, এই টাকার হিসাব রিয়াদের কাছে আমি বিষয়টি সমাধান করে দেবো। কিন্তু অদ্যাবধি তা সমাধান করা হয়নি। এদিকে প্রতিবন্ধী জামাল বর্তমানে অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং কয়েকদিন আগে জামাল হোসেন চাটখিল প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের সূত্র ধরে সাংবাদিকরা স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান। এই ব্যাপারে জামাল ও তার স্ত্রীর সাথে সাংবাদিকরা আলোচনা করলে তারা জানান, আলাউদ্দিন ও রিয়াদ সরাসরি ও বিভিন্ন লোকজনের মাধমে তাদের ভয়-ভীতি দেখায়। তাই তারা ভয়ে থানা অথবা আদালতে মামলা দায়ের করার সাহস পাচ্ছেন না। তারা তাদের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম রিয়াদের সাথে কথা বললে সে কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি।
সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, চাটখিল (নোয়াখালী)
চাটখিল পৌরসভার ডাক বাংলার পাশে ভাড়া বাসায় বসবাসকারী প্রতিবন্ধী পঙ্গু রিক্সা চালক জামালকে সাহায্য-সহযোগিতার আশ^াস দিয়ে তার ছবি ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউব-এ দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা সহযোগিতা আদায় করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। আত্মসাতকারীদের হুমকি-ধামকির ভয়ে রিক্সা চালক জামাল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে প্রতিবন্ধী অসহায় গরিব জামালকে সাহায্য-সহযোগিতা এনে দিবে বলে চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী তপাদারের ছেলে আলাউদ্দিন ও একই গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম রিয়াদ জামালের ভিডিও ও ছবি তুলে তাদের ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে কৌশলে রিয়াদ ও আলাউদ্দিন তাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশ নাম্বার ব্যবহার করে এসব টাকা হাতিয়ে নেয়। আদায়কৃত টাকা থেকে তারা জামালকে একটি রিক্সা ও কয়েক কিস্তিতে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়। জামাল তাদের কাছে বাকি টাকা দাবি করলে তারা ভূমিহীন জামালকে পৌর এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জমি কিনে না দেয়ায় জামাল ও তার স্ত্রী তাদের কাছে টাকা চাইলে তারা বিভিন্ন তালবাহনা শুরু করে। এরপর জামালের স্ত্রী গৃহকর্মী বিউটি আক্তার চাটখিল প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন। তখন আলাউদ্দিন দেশের বাহিরে ছিল। পরবর্তীতে আলাউদ্দিন দেশে আসার পর প্রেসক্লাবের সভাপতি তাকে ডেকে এনে জামালের প্রাপ্য টাকা ফেরত দিতে বলেন। আলাউদ্দিন টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, এই টাকার হিসাব রিয়াদের কাছে আমি বিষয়টি সমাধান করে দেবো। কিন্তু অদ্যাবধি তা সমাধান করা হয়নি। এদিকে প্রতিবন্ধী জামাল বর্তমানে অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং কয়েকদিন আগে জামাল হোসেন চাটখিল প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের সূত্র ধরে সাংবাদিকরা স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান। এই ব্যাপারে জামাল ও তার স্ত্রীর সাথে সাংবাদিকরা আলোচনা করলে তারা জানান, আলাউদ্দিন ও রিয়াদ সরাসরি ও বিভিন্ন লোকজনের মাধমে তাদের ভয়-ভীতি দেখায়। তাই তারা ভয়ে থানা অথবা আদালতে মামলা দায়ের করার সাহস পাচ্ছেন না। তারা তাদের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম রিয়াদের সাথে কথা বললে সে কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি।