বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ে অর্থনীতিবিদরা
করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার আরও দুটি প্রণোদনা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে সরকার। এ প্যাকেজের আওতায় দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র, বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হবে। তবে এই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে করোনাকালীন সংকট মোকাবিলা করার জন্য। কিন্তু এর সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে তদন্ত করা উচিত। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়নে অতীত ইতিহাস ভালো নয়। প্রকৃত ভুক্তভোগী যেন এই প্রণোদনা পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল এই প্রণোদনা অনুমোদন হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন অনুমোদিত প্রথম প্যাকেজটির আকার এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর আওতায় ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য গৃহীত কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থাকে (বিসিক) ১০০ কোটি টাকা এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে এনজিও ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ১০০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে ৩০০ কোটি টাকা দেয়া হবে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘এটাকে নতুন প্রণোদনা বলা যাবে না। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কিছু সুবিধা দেয়া হতো। সেটার আওতা হয়তো বৃদ্ধি করেছে। এখন এটার সঠিক বাস্তবায়ন হয় কিনা, সেটা দেখার বিষয়। এই সময় সরকার অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। কিন্তু এসব প্যাকেজের সঠিক বাস্তবায়ন না হলে তা হবে না। লক্ষ্য রাখতে হবে, যাদের জন্য এই প্রণোদনা ঘোষণা করা হলো, তারা যেন এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ঘোষিত প্রণোদনা যেন পয়সাওয়ালারা পকেটে ভরে না নেয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
অনুমোদিত দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশের ১৫০টি উপজেলায় দরিদ্র সব বয়স্কদের এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা সব নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। এছাড়া নতুন অনুমোদিত এ দুটিসহ মোট প্রণোদনা প্যাকেজের সংখ্যা হলো ২৩টি। এর মোট আর্থিক পরিমাণ এক লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা (জিডিপির ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ)।
জানতে চাইলে গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর সংবাদকে বলেন, ‘প্যাকেজটি যেহেতু ব্যাংকের মাধ্যমে হচ্ছে না, সেহেতু বলা যাবে না, এটা কতটা বাস্তবায়ন হবে। তবে যেসব সংস্থার মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে তারা যদি অতীতে ঋণ বিতরণ করার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে পারবে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বলে, ফের হয়তো প্রকৃত ভুক্তভোগীরা এই সুবিধা পাবে না। এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা তাদের পরিচিত মানুষদেরকেই এই সুবিধা দিবে এবং এসব টাকা উঠে আসবে না। আর সরকারি টাকা নষ্ট হলে তাদের কোন দায়ও থাকবে না। প্যাকেজ ঘোষণা হলো, সেটা কোন বিষয় নয়, দেখার বিষয় তা কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রণোদনা প্যাকেজের যাবতীয় দিক নিয়ে অর্থবিভাগ সম্প্রতি তিনটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করে। এ সভাগুলোতে উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, ব্যাংক, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন খাতের অংশীজন, প্রেস ও মিডিয়া প্রতিনিধিসহ সাংবাদিকরা। সভাগুলোতে করোনা মোকাবিলায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে বেগবান করার লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও আধাসরকারি সংস্থা/ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো, নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেয়া এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অব্যাহত রাখতে পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র অসহায় পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের জন্য সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কয়েক দফায় এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এরমধ্যে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণে ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়। এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেয়ার লক্ষ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণসুবিধা প্রণয়ন করা হয়েছে। আর স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণসুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কর্মসৃজন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চারটি ব্যাংকে মোট ২ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা বরাদ্দ করা হয়। এরপর গতকাল আরও ২ হাজার ৭শ’ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা এলো।
সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২
বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ে অর্থনীতিবিদরা
রেজাউল করিম
করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার আরও দুটি প্রণোদনা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে সরকার। এ প্যাকেজের আওতায় দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র, বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হবে। তবে এই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে করোনাকালীন সংকট মোকাবিলা করার জন্য। কিন্তু এর সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে তদন্ত করা উচিত। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়নে অতীত ইতিহাস ভালো নয়। প্রকৃত ভুক্তভোগী যেন এই প্রণোদনা পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল এই প্রণোদনা অনুমোদন হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন অনুমোদিত প্রথম প্যাকেজটির আকার এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর আওতায় ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য গৃহীত কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থাকে (বিসিক) ১০০ কোটি টাকা এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে এনজিও ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ১০০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে ৩০০ কোটি টাকা দেয়া হবে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘এটাকে নতুন প্রণোদনা বলা যাবে না। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কিছু সুবিধা দেয়া হতো। সেটার আওতা হয়তো বৃদ্ধি করেছে। এখন এটার সঠিক বাস্তবায়ন হয় কিনা, সেটা দেখার বিষয়। এই সময় সরকার অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। কিন্তু এসব প্যাকেজের সঠিক বাস্তবায়ন না হলে তা হবে না। লক্ষ্য রাখতে হবে, যাদের জন্য এই প্রণোদনা ঘোষণা করা হলো, তারা যেন এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ঘোষিত প্রণোদনা যেন পয়সাওয়ালারা পকেটে ভরে না নেয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
অনুমোদিত দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশের ১৫০টি উপজেলায় দরিদ্র সব বয়স্কদের এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা সব নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। এছাড়া নতুন অনুমোদিত এ দুটিসহ মোট প্রণোদনা প্যাকেজের সংখ্যা হলো ২৩টি। এর মোট আর্থিক পরিমাণ এক লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা (জিডিপির ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ)।
জানতে চাইলে গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর সংবাদকে বলেন, ‘প্যাকেজটি যেহেতু ব্যাংকের মাধ্যমে হচ্ছে না, সেহেতু বলা যাবে না, এটা কতটা বাস্তবায়ন হবে। তবে যেসব সংস্থার মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে তারা যদি অতীতে ঋণ বিতরণ করার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে পারবে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বলে, ফের হয়তো প্রকৃত ভুক্তভোগীরা এই সুবিধা পাবে না। এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা তাদের পরিচিত মানুষদেরকেই এই সুবিধা দিবে এবং এসব টাকা উঠে আসবে না। আর সরকারি টাকা নষ্ট হলে তাদের কোন দায়ও থাকবে না। প্যাকেজ ঘোষণা হলো, সেটা কোন বিষয় নয়, দেখার বিষয় তা কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রণোদনা প্যাকেজের যাবতীয় দিক নিয়ে অর্থবিভাগ সম্প্রতি তিনটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করে। এ সভাগুলোতে উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, ব্যাংক, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন খাতের অংশীজন, প্রেস ও মিডিয়া প্রতিনিধিসহ সাংবাদিকরা। সভাগুলোতে করোনা মোকাবিলায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে বেগবান করার লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও আধাসরকারি সংস্থা/ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো, নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেয়া এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অব্যাহত রাখতে পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র অসহায় পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের জন্য সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কয়েক দফায় এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এরমধ্যে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণে ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়। এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেয়ার লক্ষ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণসুবিধা প্রণয়ন করা হয়েছে। আর স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণসুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কর্মসৃজন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চারটি ব্যাংকে মোট ২ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা বরাদ্দ করা হয়। এরপর গতকাল আরও ২ হাজার ৭শ’ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা এলো।