ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬

ইন্দোনেশিয়ার সুলায়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। গতকাল দিনভর উদ্ধার অভিযানে আরও ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধ্বংস স্তূপের নিচে আরও কেউ আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভূমিকম্পে দেশটির অন্তত ৮২০ জন আহত হয়েছেন। গৃহহারা হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ হাজরেরও বেশি মানুষ। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে সুলাওসি দ্বীপে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। ভূমিকম্পের পর কয়েক হাজার মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে, ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের একদিন পর পশ্চিম সুলায়েসি জেলা এবং মামুজু ও মাজিনে এলাকায় ৫ মাত্রার পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। তবে এ থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গত শুক্রবার মামুজু থেকে ৩৬ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ১৮ কিলোমিটার। প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে থাকে। এর আগে ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও এরপর সুনামির আঘাতে ৪ হাজার তিনশো জনের মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হয়।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬

image

ইন্দোনেশিয়ার সুলায়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। গতকাল দিনভর উদ্ধার অভিযানে আরও ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধ্বংস স্তূপের নিচে আরও কেউ আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভূমিকম্পে দেশটির অন্তত ৮২০ জন আহত হয়েছেন। গৃহহারা হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ হাজরেরও বেশি মানুষ। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে সুলাওসি দ্বীপে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। ভূমিকম্পের পর কয়েক হাজার মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে, ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের একদিন পর পশ্চিম সুলায়েসি জেলা এবং মামুজু ও মাজিনে এলাকায় ৫ মাত্রার পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। তবে এ থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গত শুক্রবার মামুজু থেকে ৩৬ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ১৮ কিলোমিটার। প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে থাকে। এর আগে ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও এরপর সুনামির আঘাতে ৪ হাজার তিনশো জনের মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হয়।