নীলফামারী ও দিনাজপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত

বাড়ছে শীতজনিত রোগ

তীব্র শীতে উত্তরবঙ্গের নীলফামারী ও দিনাজপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডায় সাধারণ মানুষ কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বেরুতে পারছে না। তাদের জন্য প্রয়োজন জরুরি শীতবস্ত্র। কিন্তু পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগ। জেলা বার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

নীলফামারী : মৃদু শৈতপ্রবাহে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরের জনজীবন। নীলফামারীতে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয়ের হিমবায়ু সক্রিয় থাকায় প্রতিনিয়ত এই এলাকায় বাড়ছে শীত।

গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল প্রকৃতি। দুপুরের পরে কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য দেখা দিলেও ছড়াতে পারেনি উত্তাপ। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশাপাত শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

দুর্ঘটনা এড়াতে সকাল ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন যানবাহনকে হেডলাইট জ¦ালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। নেহায়েত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউই। তবে শ্রমজীবী মানুষ আর ক্ষেত মজুররা জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে কাজে নেমেছে। নীলফামারীর ডিমলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ১৫ জানুয়ারি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ডিমলা আবহাওয়া দপ্তরের পর্যবেক্ষক জামাল উদ্দীন মুঠো ফোনে জানান, গত চার দিন থেকে উঠানামা করছে তাপমাত্রা। আগামীতে আরও কয়েকদিন আবহাওয়া এরকম স্থিতাবস্থায় থাকবে।

ডিমলা (নীলফামারী) : হিমালয়ের চারদিক দিয়ে অক্টোপাসের মতো ধেয়ে আসছে শীতের সাঁড়াশি আক্রমণ। পারদ নিম্নমুখী হওয়ায় রীতিমত শৈত্যপ্রবাহ দিনদিন বেড়েই চলছে, আর থরথরে কাঁপছে হিমালয়ঘেঁষা নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার মানুষজন।

শীতের এই সামগ্রিক দাপটে আকাশ মেঘাছন্ন হয়ে যাওয়ায় উত্তরী হাওয়ার অবাধ গতিতে মানুষের শরীরে হাড় কাঁপানো কাঁপুনী ধরেছে। গত ৩ দিন ধরে সূর্য়ের দেখা মেলেনি এই উপজেলায়। উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট বরাবরই বেশি থাকে। তার ব্যতিক্রম এবারও ঘটেনি, তবে এবারের গত কয়েক দিনের শীত গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে হিমালয়সংলগ্ন নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার মানুষজন হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় কাঁপছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইতোমধ্যে সরকারের ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৪শ কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রতুল।

গতকাল বেলা ১১টায় নীলফামারীর ডিমলায় আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তাপমাত্রা ছিল ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যের চেয়েও আরও কম বলে মনে করছেন, নীলফামারীর হিমালয়ঘেঁষা ডিমলা উপজেলার সাধারণ মানুষজন।

ডিমলার তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর চর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনের কুণ্ডলি জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছে অসহায় পরিবারগুলো।

সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে সহায়-সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। শীতের পুরানো গরম কাপড়ের দোকানে শুরু হয়েছে উপচেপড়া ভিড়। এছাড়া শীতজনিত রোগে বয়স্ক ও শিশুদের নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ক্লোড ডায়রিয়া, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। জেলা-উপজেলা থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এদিকে সরকারের ত্রাণভাণ্ডার থেকে এ উপজেলায় ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৪শ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ডিমলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সূত্রমতে, আরও শীতবস্ত্র চেয়ে ঢাকায় ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়েছে নীলফামারী জেলা প্রশাসক।

দিনাজপুর : কনকনে শীত, হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় দিনাজপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, যেন শীতে কাঁপছে দিনাজপুর। গতকাল দিনাজপুরে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সন্ধ্যার পর থেকে জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চল কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়তে শুরু করে আগের দিনের রাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত জেলার সড়ক ও মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। শহর-গ্রামে শীতার্ত মানুষ-জনকে রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

কনকনে শীতে কাতর হয়ে পড়ায় দিনমজুররা কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। শীতজনিত কারণে বৃদ্ধ-শিশুরা শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

এদিকে দিনাজপুর জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এবিএম আকরাম হোসেন জানান, দিনাজপুরে ১৩ উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়ন ও ৯টি পৌরসভার শীতার্ত মানুষের কষ্ট নিবারণে সরকারি সাহায্য হিসেবে ৫১ হাজার ৫২০টি কম্বল বিতরণের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৭৮ লাখ টাকা, ৯টি পৌরসভার জন্য ১৫ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকার কম্বল ক্রয় করে বিতরণের কাজ চলছে।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

তীব্র শীত

নীলফামারী ও দিনাজপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত

বাড়ছে শীতজনিত রোগ

সংবাদ ডেস্ক |

তীব্র শীতে উত্তরবঙ্গের নীলফামারী ও দিনাজপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডায় সাধারণ মানুষ কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বেরুতে পারছে না। তাদের জন্য প্রয়োজন জরুরি শীতবস্ত্র। কিন্তু পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগ। জেলা বার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

নীলফামারী : মৃদু শৈতপ্রবাহে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরের জনজীবন। নীলফামারীতে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয়ের হিমবায়ু সক্রিয় থাকায় প্রতিনিয়ত এই এলাকায় বাড়ছে শীত।

গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল প্রকৃতি। দুপুরের পরে কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য দেখা দিলেও ছড়াতে পারেনি উত্তাপ। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশাপাত শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

দুর্ঘটনা এড়াতে সকাল ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন যানবাহনকে হেডলাইট জ¦ালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। নেহায়েত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউই। তবে শ্রমজীবী মানুষ আর ক্ষেত মজুররা জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে কাজে নেমেছে। নীলফামারীর ডিমলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ১৫ জানুয়ারি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ডিমলা আবহাওয়া দপ্তরের পর্যবেক্ষক জামাল উদ্দীন মুঠো ফোনে জানান, গত চার দিন থেকে উঠানামা করছে তাপমাত্রা। আগামীতে আরও কয়েকদিন আবহাওয়া এরকম স্থিতাবস্থায় থাকবে।

ডিমলা (নীলফামারী) : হিমালয়ের চারদিক দিয়ে অক্টোপাসের মতো ধেয়ে আসছে শীতের সাঁড়াশি আক্রমণ। পারদ নিম্নমুখী হওয়ায় রীতিমত শৈত্যপ্রবাহ দিনদিন বেড়েই চলছে, আর থরথরে কাঁপছে হিমালয়ঘেঁষা নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার মানুষজন।

শীতের এই সামগ্রিক দাপটে আকাশ মেঘাছন্ন হয়ে যাওয়ায় উত্তরী হাওয়ার অবাধ গতিতে মানুষের শরীরে হাড় কাঁপানো কাঁপুনী ধরেছে। গত ৩ দিন ধরে সূর্য়ের দেখা মেলেনি এই উপজেলায়। উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট বরাবরই বেশি থাকে। তার ব্যতিক্রম এবারও ঘটেনি, তবে এবারের গত কয়েক দিনের শীত গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে হিমালয়সংলগ্ন নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার মানুষজন হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় কাঁপছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইতোমধ্যে সরকারের ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৪শ কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রতুল।

গতকাল বেলা ১১টায় নীলফামারীর ডিমলায় আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তাপমাত্রা ছিল ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যের চেয়েও আরও কম বলে মনে করছেন, নীলফামারীর হিমালয়ঘেঁষা ডিমলা উপজেলার সাধারণ মানুষজন।

ডিমলার তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর চর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনের কুণ্ডলি জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছে অসহায় পরিবারগুলো।

সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে সহায়-সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। শীতের পুরানো গরম কাপড়ের দোকানে শুরু হয়েছে উপচেপড়া ভিড়। এছাড়া শীতজনিত রোগে বয়স্ক ও শিশুদের নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ক্লোড ডায়রিয়া, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। জেলা-উপজেলা থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এদিকে সরকারের ত্রাণভাণ্ডার থেকে এ উপজেলায় ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৪শ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ডিমলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সূত্রমতে, আরও শীতবস্ত্র চেয়ে ঢাকায় ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়েছে নীলফামারী জেলা প্রশাসক।

দিনাজপুর : কনকনে শীত, হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় দিনাজপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, যেন শীতে কাঁপছে দিনাজপুর। গতকাল দিনাজপুরে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সন্ধ্যার পর থেকে জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চল কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়তে শুরু করে আগের দিনের রাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত জেলার সড়ক ও মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। শহর-গ্রামে শীতার্ত মানুষ-জনকে রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস বলছে, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

কনকনে শীতে কাতর হয়ে পড়ায় দিনমজুররা কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। শীতজনিত কারণে বৃদ্ধ-শিশুরা শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

এদিকে দিনাজপুর জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এবিএম আকরাম হোসেন জানান, দিনাজপুরে ১৩ উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়ন ও ৯টি পৌরসভার শীতার্ত মানুষের কষ্ট নিবারণে সরকারি সাহায্য হিসেবে ৫১ হাজার ৫২০টি কম্বল বিতরণের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৭৮ লাখ টাকা, ৯টি পৌরসভার জন্য ১৫ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকার কম্বল ক্রয় করে বিতরণের কাজ চলছে।