ইসির কাজ দৃশ্যমান হতে হবে

দ্বিতীয় ধাপে গত শনিবার দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশিরভাগ পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কোন কোন নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতা ও অনিয়মের ঘটনাও ঘটেছে। সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় বিজয়ী কাউন্সিলর প্রতিপক্ষের হামলায় মারা গেছেন। এর আগে শৈলকুপায় দু’জন মারা গেছেন। সংঘাত-সংঘর্ষের অনেক ঘটনাই ঘটেছে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।

নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, সব মিলিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। দু-একটি জায়গায় দুষ্কৃতকারীরা অপচেষ্টা করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে; এটা খুবই নগণ্য ঘটনা।

প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফায়ও ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। এতে ইসির একটি দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে। তবে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচনী সংঘাত-সহিংসতা। যদিও ইসি সচিব একে ‘নগণ্য’ বলেছেন। অথচ সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় একজন কাউন্সিলর মারা গেছেন। এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একজন মারা গেছেন। এসব ঘটনায় ইসির যতটুকু তৎপর হওয়া দরকার ছিল সেটা তারা হয়নি। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে করার ক্ষেত্রে ইসির কাজ দৃশ্যমান হচ্ছে না। তফসিল ঘোষণা, কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছানো, ভোটগণনা আর ফল ঘোষণার মধ্যে তাদের কাজ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর বাইরে ইসির আর কোন দায়িত্ব আছে কিনা, থাকলে তারা তা পালন করছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

ইসিকে পুরো নির্বাচন পর্যবক্ষেণ করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তাদের তৎপর হতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধির কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। প্রতিটি প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ইসির দায়িত্ব। সব ভোটার যেন নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেটা দেখতে হবে ইসিকেই। তারা এখনই সক্রিয় না হলে আগামীতে ভোটাররা আবারও নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। গত নির্বাচনগুলোতে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। এ নিয়ে ইসিকে অনেক সমালোচনা সইতে হয়েছে। তাই ইসিকে এখনই সতর্ক হতে হবে। তাদের কাজ দৃশ্যমান হতে হবে। আইন প্রয়োগে হতে হবে কঠোর।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

পৌর নির্বাচন

ইসির কাজ দৃশ্যমান হতে হবে

দ্বিতীয় ধাপে গত শনিবার দেশের ৬০টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশিরভাগ পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কোন কোন নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতা ও অনিয়মের ঘটনাও ঘটেছে। সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় বিজয়ী কাউন্সিলর প্রতিপক্ষের হামলায় মারা গেছেন। এর আগে শৈলকুপায় দু’জন মারা গেছেন। সংঘাত-সংঘর্ষের অনেক ঘটনাই ঘটেছে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।

নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, সব মিলিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। দু-একটি জায়গায় দুষ্কৃতকারীরা অপচেষ্টা করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে; এটা খুবই নগণ্য ঘটনা।

প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফায়ও ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। এতে ইসির একটি দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে। তবে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচনী সংঘাত-সহিংসতা। যদিও ইসি সচিব একে ‘নগণ্য’ বলেছেন। অথচ সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় একজন কাউন্সিলর মারা গেছেন। এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একজন মারা গেছেন। এসব ঘটনায় ইসির যতটুকু তৎপর হওয়া দরকার ছিল সেটা তারা হয়নি। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে করার ক্ষেত্রে ইসির কাজ দৃশ্যমান হচ্ছে না। তফসিল ঘোষণা, কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছানো, ভোটগণনা আর ফল ঘোষণার মধ্যে তাদের কাজ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর বাইরে ইসির আর কোন দায়িত্ব আছে কিনা, থাকলে তারা তা পালন করছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

ইসিকে পুরো নির্বাচন পর্যবক্ষেণ করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তাদের তৎপর হতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধির কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। প্রতিটি প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ইসির দায়িত্ব। সব ভোটার যেন নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেটা দেখতে হবে ইসিকেই। তারা এখনই সক্রিয় না হলে আগামীতে ভোটাররা আবারও নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। গত নির্বাচনগুলোতে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। এ নিয়ে ইসিকে অনেক সমালোচনা সইতে হয়েছে। তাই ইসিকে এখনই সতর্ক হতে হবে। তাদের কাজ দৃশ্যমান হতে হবে। আইন প্রয়োগে হতে হবে কঠোর।