মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি কি মিলবে না

গত কয়েক বছর ধরে এডিস মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এবারও আশঙ্কা ছিল যে, এডিসের উপদ্রব বাড়তে পারে, ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে ডেঙ্গু। এ আশঙ্কা এখনও আছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কিউলেক্স মশা।

রাজধানীতে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এর যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। কিউলেক্স মশার প্রজনন মৌসুম হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে মার্চ। প্রতি বছর এ সময়ে এর উপদ্রব বাড়ে।

কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়ার কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, মশা নির্মূলে দুই সিটি করপোরেশন ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে কিনা। এ মশার প্রজনন হয় মূলত খাল ও নর্দমায়। নাগরিকদের অভিযোগ, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করা হয়নি বলেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। নাগরিকদের প্রশ্ন, মশার যন্ত্রণা থেকে কি মুক্তি মিলবে না।

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশনকে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে দেখা গেছে। এ কারণে হয়তো এখনো ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। তবে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে নগর কর্তৃপক্ষকে পাস মার্কস দিতে চাইছেন না নাগরিকরা।

বছরজুড়েই মশা মারার কাজ করতে হবে নগর কর্তৃপক্ষকে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা থাকতে হবে, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। মাঠপর্যায়ে মশা মারার কাজ নিয়মিত তদারকি করা দরকার। নিয়ম মেনে যথা স্থানে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। এ লক্ষ্যে দুই সিটি আলাদা থেকে বা এক হয়ে গঠন করতে পারে মনিটরিং সেল।

মশা মারার ওষুধ কতটা কার্যকর সেই প্রশ্ন উঠেছে। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, ফোর্থ জেনারেশনের ওষুধ ৩ মাস কার্যকর থাকার কথা থাকলেও সেটা ১ মাসের বেশি কার্যকর থাকছে না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ফোর্থ জেনারেশনের ওষুধ স্বচ্ছ পানিতে বেশ কার্যকর হলেও কচুরিপানাযুক্ত জলাশয়ে তেমন কাজ করছে না।

ওষুধ কাজ না করলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। কিউলেক্স মশার প্রজননস্থল হিসেবে পরিচিত নালা, খাল, জলাশয়, মজা পুকুর থেকে কচুরিপানাসহ অন্যান্য ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। যে ওষুধ ৩ মাস কার্যকর থাকার কথা সেটা মাত্র ১ মাস কার্যকর থাকছে কেন সেটা খতিয়ে দেখে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কচুরিপানাযুক্ত জলাশয়ে কাজ করবে এমন কীটনাশক উদ্ভাবনে চেষ্টা চালাতে হবে।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি কি মিলবে না

গত কয়েক বছর ধরে এডিস মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এবারও আশঙ্কা ছিল যে, এডিসের উপদ্রব বাড়তে পারে, ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে ডেঙ্গু। এ আশঙ্কা এখনও আছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কিউলেক্স মশা।

রাজধানীতে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এর যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। কিউলেক্স মশার প্রজনন মৌসুম হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে মার্চ। প্রতি বছর এ সময়ে এর উপদ্রব বাড়ে।

কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়ার কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, মশা নির্মূলে দুই সিটি করপোরেশন ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে কিনা। এ মশার প্রজনন হয় মূলত খাল ও নর্দমায়। নাগরিকদের অভিযোগ, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করা হয়নি বলেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। নাগরিকদের প্রশ্ন, মশার যন্ত্রণা থেকে কি মুক্তি মিলবে না।

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশনকে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে দেখা গেছে। এ কারণে হয়তো এখনো ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। তবে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে নগর কর্তৃপক্ষকে পাস মার্কস দিতে চাইছেন না নাগরিকরা।

বছরজুড়েই মশা মারার কাজ করতে হবে নগর কর্তৃপক্ষকে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা থাকতে হবে, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। মাঠপর্যায়ে মশা মারার কাজ নিয়মিত তদারকি করা দরকার। নিয়ম মেনে যথা স্থানে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। এ লক্ষ্যে দুই সিটি আলাদা থেকে বা এক হয়ে গঠন করতে পারে মনিটরিং সেল।

মশা মারার ওষুধ কতটা কার্যকর সেই প্রশ্ন উঠেছে। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, ফোর্থ জেনারেশনের ওষুধ ৩ মাস কার্যকর থাকার কথা থাকলেও সেটা ১ মাসের বেশি কার্যকর থাকছে না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ফোর্থ জেনারেশনের ওষুধ স্বচ্ছ পানিতে বেশ কার্যকর হলেও কচুরিপানাযুক্ত জলাশয়ে তেমন কাজ করছে না।

ওষুধ কাজ না করলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। কিউলেক্স মশার প্রজননস্থল হিসেবে পরিচিত নালা, খাল, জলাশয়, মজা পুকুর থেকে কচুরিপানাসহ অন্যান্য ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। যে ওষুধ ৩ মাস কার্যকর থাকার কথা সেটা মাত্র ১ মাস কার্যকর থাকছে কেন সেটা খতিয়ে দেখে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কচুরিপানাযুক্ত জলাশয়ে কাজ করবে এমন কীটনাশক উদ্ভাবনে চেষ্টা চালাতে হবে।