দুই কার্যদিবস পতনের পর গতকাল উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার পরিমাণে আগের কার্যদিবস থেকেও কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ২৯০ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ২২৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯.০৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮২০.৮০ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৮.৩৬ পয়েন্ট বাড়লেও শরিয়াহ সূচক ২.১১ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচক ১৭.৯৪ পয়েন্ট কমেছে। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৮১টির বা ৫০.৭০ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১০৬টির বা ২৯.৬৯ শতাংশের এবং ৭০টির বা ১৯.৬০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯.৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৬.২০ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ২৭৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯০টির আর ৫৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই ব্লক মার্কেট ৩৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ২১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ২৩৩টি শেয়ার ৬৫ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২১ কোটি ৩৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ কোটি ৭০ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকার সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসিআইয়ের।

এছাড়া এবি ব্যাংকের ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, একটিভ ফাইনের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৯৮ লাখ ১৭ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ৩৬ লাখ ২০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ২০ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৯৮ লাখ টাকার, ডিবিএইচের ১০ লাখ ২৬ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৪৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, আইডিএলসির ৪৩ লাখ ৮ হাজার টাকার, আইএফআইসির ২২ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, ইসলামিক ফাইন্যান্সের ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১৬ হাজার টাকার, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ২০ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিমের ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলসের ১১ লাখ টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ টাকার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৮১ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের ৫৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, রহিমা ফুডের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, সী পার্লের ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ১৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ১২ লাখ ১৯ হাজার টাকার এবং ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।