ঈশ্বরগঞ্জে রানীক্ষেত রোগে ১ হাজার মুরগির মৃত্যু, দিশেহারা খামারি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের দত্তপাড়ায় মুরগির খামারে ভাইরাসজনিত রানীক্ষেত রোগে ১ হাজার মুরগির মৃত্যু হয়েছে। ওষুধ ব্যবহারেও প্রতিকার না পাওয়া খামারি দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

খামারি সাইফুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে তার খামারে মুরগির মৃত্যু দেখা দিলে প্রথমে তিনি স্কয়ার কোম্পানির ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হন। কোম্পানির লোকজন মুরগির নমুনা পরীক্ষা করে, রানীক্ষেত রোগের কথা বলে চিকিৎসা দেন। তাদের কথামতো ওষুধ প্রয়োগেও সুফল না পেয়ে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিসে মুরগি নিয়ে গেলে তারা পরীক্ষা করে রক্ত আমাশয়জনিত রোগ দেখা দিয়েছে বলে চিকিৎসা করেন। কিন্তু এতেও কোন প্রতিকার পাননি খামারি।

তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহে তার খামারে সোনালি কক জাতের ১ হাজার বয়লার মুরগির মৃত্যু হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ডাক্তারের চিকিৎসা মতো হাজার হাজার টাকার ওষুধ কিনে খাওয়ানোর পরও কোন প্রতিকার পেলাম না। আমি এখন সর্বস্বান্ত। এ ব্যাপারে স্কয়ার কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার আবদুল ওয়াহাব জানান, মুরগির খামারে গিয়ে সরেজমিন বাস্তবতা দেখে তাদের কোম্পানির কর্মরত ডাক্তারের পরামর্শে রানীক্ষেত রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ সম্পর্কে স্কয়ার কোম্পানির ডাক্তার কামরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তারা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সাদাত মো. সায়েম জানান, সাইফুল ইসলাম নামে একজন মুরগির খামারি মৃত মুরগি নিয়ে এসেছিলেন, তা পরীক্ষা করে দেখা যায়, রক্ত আমাশয় আক্রন্ত হওয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের বিষয়টি জানানো হয়নি।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১ , ৬ মাঘ ১৪২৭, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ঈশ্বরগঞ্জে রানীক্ষেত রোগে ১ হাজার মুরগির মৃত্যু, দিশেহারা খামারি

প্রতিনিধি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের দত্তপাড়ায় মুরগির খামারে ভাইরাসজনিত রানীক্ষেত রোগে ১ হাজার মুরগির মৃত্যু হয়েছে। ওষুধ ব্যবহারেও প্রতিকার না পাওয়া খামারি দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

খামারি সাইফুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে তার খামারে মুরগির মৃত্যু দেখা দিলে প্রথমে তিনি স্কয়ার কোম্পানির ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হন। কোম্পানির লোকজন মুরগির নমুনা পরীক্ষা করে, রানীক্ষেত রোগের কথা বলে চিকিৎসা দেন। তাদের কথামতো ওষুধ প্রয়োগেও সুফল না পেয়ে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিসে মুরগি নিয়ে গেলে তারা পরীক্ষা করে রক্ত আমাশয়জনিত রোগ দেখা দিয়েছে বলে চিকিৎসা করেন। কিন্তু এতেও কোন প্রতিকার পাননি খামারি।

তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহে তার খামারে সোনালি কক জাতের ১ হাজার বয়লার মুরগির মৃত্যু হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ডাক্তারের চিকিৎসা মতো হাজার হাজার টাকার ওষুধ কিনে খাওয়ানোর পরও কোন প্রতিকার পেলাম না। আমি এখন সর্বস্বান্ত। এ ব্যাপারে স্কয়ার কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার আবদুল ওয়াহাব জানান, মুরগির খামারে গিয়ে সরেজমিন বাস্তবতা দেখে তাদের কোম্পানির কর্মরত ডাক্তারের পরামর্শে রানীক্ষেত রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ সম্পর্কে স্কয়ার কোম্পানির ডাক্তার কামরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তারা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সাদাত মো. সায়েম জানান, সাইফুল ইসলাম নামে একজন মুরগির খামারি মৃত মুরগি নিয়ে এসেছিলেন, তা পরীক্ষা করে দেখা যায়, রক্ত আমাশয় আক্রন্ত হওয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের বিষয়টি জানানো হয়নি।