কেডিএ’র ৩০ প্লটের বরাদ্দ বাতিলের দাবি খুলনা আওয়ামী লীগের

সম্প্রতি খুলনার ময়ূরী আবাসিক প্রকল্পের ৩০টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। ওই কার্যক্রমকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন খুলনা আওয়ামী লীগের নেতারা। পাশাপাশি কেডিএ’র সেবার মান বাড়ানোর কথা বলেছেন তারা। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ জানান, মহানগর আওয়ামী লীগ জানতে পেরেছে, কেডিএর বিদায়ী চেয়ারম্যান আবদুল মুকিম দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মীয়স্বজন ও পছন্দের ব্যক্তিকে লটারি ছাড়া ময়ূরী আবাসিক প্রকল্পের ৩০টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া ময়ূরীতে প্লটের মূল্যের ক্ষেত্রে উচ্চহারে সুদ নির্ধারণ করে গ্রাহকদের নাস্তানাবুদ করেছেন তিনি। সোহাগ বলেন, নগরীর রূপসা বাইপাস সড়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনবার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। সেখানে এখনও কাজ শুরু হয়নি। নিরালা ও গল্লামারী থেকে রায়েরমহল এবং আড়ংঘাটা থেকে রায়েরমহল সড়ক করার জন্য ৩৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও কাজ শুরু হয়নি। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত এসব প্রকল্পের কাজ শুরু করতে কেডিএর প্রতিও আহ্বান জানান খুলনা আওয়ামী লীগ নেতারা। এর আগে ২৪ ডিসেম্বর খুলনা প্রেসক্লাবে কেডিএ’র কারণে খুলনার উন্নয়ন পিছিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।

সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বরাদ্দের অর্থ পাওয়ার পরও বছরের পর বছর কেডিএ সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে না। এতে খুলনার মানুষ মনে করছে, সব সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতা।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১ , ৬ মাঘ ১৪২৭, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কেডিএ’র ৩০ প্লটের বরাদ্দ বাতিলের দাবি খুলনা আওয়ামী লীগের

খুলনা ব্যুরো

সম্প্রতি খুলনার ময়ূরী আবাসিক প্রকল্পের ৩০টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। ওই কার্যক্রমকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন খুলনা আওয়ামী লীগের নেতারা। পাশাপাশি কেডিএ’র সেবার মান বাড়ানোর কথা বলেছেন তারা। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ জানান, মহানগর আওয়ামী লীগ জানতে পেরেছে, কেডিএর বিদায়ী চেয়ারম্যান আবদুল মুকিম দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মীয়স্বজন ও পছন্দের ব্যক্তিকে লটারি ছাড়া ময়ূরী আবাসিক প্রকল্পের ৩০টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া ময়ূরীতে প্লটের মূল্যের ক্ষেত্রে উচ্চহারে সুদ নির্ধারণ করে গ্রাহকদের নাস্তানাবুদ করেছেন তিনি। সোহাগ বলেন, নগরীর রূপসা বাইপাস সড়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনবার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। সেখানে এখনও কাজ শুরু হয়নি। নিরালা ও গল্লামারী থেকে রায়েরমহল এবং আড়ংঘাটা থেকে রায়েরমহল সড়ক করার জন্য ৩৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও কাজ শুরু হয়নি। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত এসব প্রকল্পের কাজ শুরু করতে কেডিএর প্রতিও আহ্বান জানান খুলনা আওয়ামী লীগ নেতারা। এর আগে ২৪ ডিসেম্বর খুলনা প্রেসক্লাবে কেডিএ’র কারণে খুলনার উন্নয়ন পিছিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।

সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বরাদ্দের অর্থ পাওয়ার পরও বছরের পর বছর কেডিএ সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে না। এতে খুলনার মানুষ মনে করছে, সব সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতা।