চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী বিপাকে মানুষ

সরকার চালের দাম সহসনীয় করতে ভারত থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিলেও বাজারে চালের দাম কমেনি। বাজারে আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের উর্ধমুখী মূল্যে বিপাকে পড়েছে মানুষ। জাতভেদে চালের মূল্য কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক এক মাস থেকে দফায় দফায় লাগামহীনভাবে বেড়েছে চালের দাম। চাল আমদানির পরও দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বাজারে। দামের এই উর্ধমুখী প্রবণতায় শ্রমজীবী মানুষ আয়ে টান পড়েছে। তাদের মজুরি না বাড়ায় চাল কিনতে চলে যাচ্ছে আয়ের সিংহভাগ টাকা।

শহরের চাল মার্কেটের পাইকারি ও ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, এক মাস আগে চালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে জাতভেদে প্রতিটি চালের দর। বর্তমানে সব ধরনের চাল কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা যায় সাধারণ মানুষ সহনীয় দামের বিআর ২৮, স্বর্ণ ও গুটি স্বর্ণ চাল বেশি ক্রয় করে থাকে। বাজারে সেইসব চালের দর উচ্চহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাজারে বিআর ২৮ চাল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে এর দাম ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। বিআর ২৯ চাল ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ টাকায়, মিনিকেট চাল ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬২ টাকায়, স্বর্ণা-৫ চাল ৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ টাকায় ও গুটি স্বর্ণা চাল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সরু ও আতব চালের দাম নতুন করে বাড়েনি। এসব চাল আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চালের দাম যথেচ্ছভাবে বেড়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছেন। খাদ্য সংস্থান করতে গিয়ে মুদি পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। আয়ে টান পড়ায় সীমিত আয়ের মানুষও স্বস্তিতে নেই। দাম বৃদ্ধি বিষয়ে চাল মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. তানভীর দাম বৃদ্ধির জন্য বড় বড় মিলারদের দায়ী করে বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি করা হলেও চালের বাজারে দামে কোন প্রভাব পড়েনি। মিলারদের সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় চাল মূল্য উর্ধমুখী হয়েছে। মিলাররা ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখালেও তা সঠিক নয়। কারণ ধানের মওসুমেই তারা পর্যাপ্ত ধান মজুদ করে রাখে। বাজারে ধানের দাম কিছুটা বাড়লেও চালের দাম কেজিতে ৫-৬ টাকা বাড়ার কথা না। মিলাররা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে চাহিদামতো চাল বিক্রি না করায় চালের দর উর্ধমুখী থাকছে।

শহরের গেট বাজার চাল মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের জানান, সরকার দাম কমাতে ভারত থেকে চাল আমদানির সুবিধা দিলেও আমরা কম দামে চাল পাচ্ছি না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চাল বিক্রি করায় খুচরা বাজারে চালের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের দর বৃদ্ধিতে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাত নেই। অসাধু মিলারদের কারসাজির কারণে চাল দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল বিক্রি শুরু করলে দাম কমবে বলে মন্তব্য করেন এই ব্যবসায়ী।

আরও খবর
মধুখালীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব
কিশোরগঞ্জের ৬ উপজেলা করোনামুক্ত
নবাবগঞ্জে নতুন করে করোনা শনাক্ত এক
দুপচাঁচিয়ায় এক যুবকের আত্মহত্যা
ইয়াবাসহ যুবক গ্রেপ্তার
শৈলকুপা উপজেলা পরি. উপনির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারি
কালীগঞ্জে মসলা ব্যবসায়ীর জরিমানা
ব্যর্থ হচ্ছে খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহ অভিযান
উলিপুরে ভিজিল্যান্স টিমের সভা
নবাবগঞ্জে পূর্বের সীমানায় নয়নশ্রী ইউপির নির্বাচন দাবিতে মানববন্ধন
চিলাহাটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু হয়নি উদ্বোধনের ২৭ মাসেও
গোপালগঞ্জে সড়কে ঝরল ২ প্রাণ
ফেনীতে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রাজশাহীতে চার বিদ্রোহী বিব্রত আওয়ামী লীগ
মাধবদীতে শীত উপেক্ষা করে চলছে প্রচার
শিবগঞ্জে তিন মেয়রসহ ৫৮ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
করোনায় জীবিকা সংকটে শাঁখা শিল্পীরা মানবেতর জীবনে
চার জেলায় ১৮৭ গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর সৈয়দপুর

বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১ , ৬ মাঘ ১৪২৭, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী বিপাকে মানুষ

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

সরকার চালের দাম সহসনীয় করতে ভারত থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিলেও বাজারে চালের দাম কমেনি। বাজারে আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের উর্ধমুখী মূল্যে বিপাকে পড়েছে মানুষ। জাতভেদে চালের মূল্য কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক এক মাস থেকে দফায় দফায় লাগামহীনভাবে বেড়েছে চালের দাম। চাল আমদানির পরও দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বাজারে। দামের এই উর্ধমুখী প্রবণতায় শ্রমজীবী মানুষ আয়ে টান পড়েছে। তাদের মজুরি না বাড়ায় চাল কিনতে চলে যাচ্ছে আয়ের সিংহভাগ টাকা।

শহরের চাল মার্কেটের পাইকারি ও ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, এক মাস আগে চালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে জাতভেদে প্রতিটি চালের দর। বর্তমানে সব ধরনের চাল কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা যায় সাধারণ মানুষ সহনীয় দামের বিআর ২৮, স্বর্ণ ও গুটি স্বর্ণ চাল বেশি ক্রয় করে থাকে। বাজারে সেইসব চালের দর উচ্চহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাজারে বিআর ২৮ চাল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে এর দাম ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। বিআর ২৯ চাল ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ টাকায়, মিনিকেট চাল ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬২ টাকায়, স্বর্ণা-৫ চাল ৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ টাকায় ও গুটি স্বর্ণা চাল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সরু ও আতব চালের দাম নতুন করে বাড়েনি। এসব চাল আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চালের দাম যথেচ্ছভাবে বেড়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছেন। খাদ্য সংস্থান করতে গিয়ে মুদি পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। আয়ে টান পড়ায় সীমিত আয়ের মানুষও স্বস্তিতে নেই। দাম বৃদ্ধি বিষয়ে চাল মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. তানভীর দাম বৃদ্ধির জন্য বড় বড় মিলারদের দায়ী করে বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি করা হলেও চালের বাজারে দামে কোন প্রভাব পড়েনি। মিলারদের সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় চাল মূল্য উর্ধমুখী হয়েছে। মিলাররা ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখালেও তা সঠিক নয়। কারণ ধানের মওসুমেই তারা পর্যাপ্ত ধান মজুদ করে রাখে। বাজারে ধানের দাম কিছুটা বাড়লেও চালের দাম কেজিতে ৫-৬ টাকা বাড়ার কথা না। মিলাররা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে চাহিদামতো চাল বিক্রি না করায় চালের দর উর্ধমুখী থাকছে।

শহরের গেট বাজার চাল মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের জানান, সরকার দাম কমাতে ভারত থেকে চাল আমদানির সুবিধা দিলেও আমরা কম দামে চাল পাচ্ছি না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চাল বিক্রি করায় খুচরা বাজারে চালের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের দর বৃদ্ধিতে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাত নেই। অসাধু মিলারদের কারসাজির কারণে চাল দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল বিক্রি শুরু করলে দাম কমবে বলে মন্তব্য করেন এই ব্যবসায়ী।