পাবনার চাটমোহরে করোনাকালীন এ সময়ে শাখা তৈরি কারিগরেরা হিমশিম খাচ্ছে। চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের ডেফলচড়া সুন্দর সুসজ্জিত গ্রামের মাঝ অংশে প্রায় ত্রিশ পঁয়ত্রিশ ঘর শংখ্যমনি সম্প্রদায় বসবাস করেন। যা ডেফলচড়া শাখারী পাড়া নামে মানুষের কাছে পরিচিত। এখানে প্রত্যেক ঘরে ঘরেই শাখা তৈরির এবং শাখার উপর বিভিন্ন নঁকশার কাজ করেন। পুরুষরা ব্যস্ত থাকে শাখা তৈরি ও বিক্রির কাজে আর মেয়েরা দিনের অধিকাংশ সময় ব্যহমশ থাকে শাখার উপর নকশার কাজে। বাপ ঠাকুর দার হাত ধরে বংশ পরম পরায় এই পেশায় নিয়জিত শাখা কারিগর হারাধন সেন বলেন, প্রথমে আমরা খুলনা থেকে কয়েক সাইজের শংখ্য কিনে ওখান থেকেই সাইজ মতো কেটে আনি তার পর বাড়িতে এনে মেশিনের সাহায্যে শাখা গুলো হাতে পরার মতো সাইজ করে নেই। পরে শাখার উপর নঁকশা করার জন্য পাশের বাড়িগুলোতে দেই। নারী নকশার কারিগররা বলেন, আমরা সারাদিন শাখার উপর নকশার কাজ করি। এই নকশার ও বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমন- মুগুর মুখা, পদ্মফুল, রুইতন, হাতি সুর, সোনাবান্ধা- এ রকম বাহারী শব নাম। তারা বলেন, এই করোনাকালীন সময়ে ব্যবসা একবারে মন্দ হওয়ায় সংসার চালাতে খুব হিমশিম খাচ্ছি। এই পেশার অনেকেই এখন অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। কেউ আবার চলে যাচ্ছে ঢাকায়। তবে সরকারী সহায়তা ও কোন অনুদান পেলে আবার বাপ-দাদার এ পেশা টিকিয়ে রাখা যাবে তা না হলে হয়তো এ পেশা ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১ , ৬ মাঘ ১৪২৭, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২
সংবাদদাতা, চাটমোহর (পাবনা)
পাবনার চাটমোহরে করোনাকালীন এ সময়ে শাখা তৈরি কারিগরেরা হিমশিম খাচ্ছে। চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের ডেফলচড়া সুন্দর সুসজ্জিত গ্রামের মাঝ অংশে প্রায় ত্রিশ পঁয়ত্রিশ ঘর শংখ্যমনি সম্প্রদায় বসবাস করেন। যা ডেফলচড়া শাখারী পাড়া নামে মানুষের কাছে পরিচিত। এখানে প্রত্যেক ঘরে ঘরেই শাখা তৈরির এবং শাখার উপর বিভিন্ন নঁকশার কাজ করেন। পুরুষরা ব্যস্ত থাকে শাখা তৈরি ও বিক্রির কাজে আর মেয়েরা দিনের অধিকাংশ সময় ব্যহমশ থাকে শাখার উপর নকশার কাজে। বাপ ঠাকুর দার হাত ধরে বংশ পরম পরায় এই পেশায় নিয়জিত শাখা কারিগর হারাধন সেন বলেন, প্রথমে আমরা খুলনা থেকে কয়েক সাইজের শংখ্য কিনে ওখান থেকেই সাইজ মতো কেটে আনি তার পর বাড়িতে এনে মেশিনের সাহায্যে শাখা গুলো হাতে পরার মতো সাইজ করে নেই। পরে শাখার উপর নঁকশা করার জন্য পাশের বাড়িগুলোতে দেই। নারী নকশার কারিগররা বলেন, আমরা সারাদিন শাখার উপর নকশার কাজ করি। এই নকশার ও বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমন- মুগুর মুখা, পদ্মফুল, রুইতন, হাতি সুর, সোনাবান্ধা- এ রকম বাহারী শব নাম। তারা বলেন, এই করোনাকালীন সময়ে ব্যবসা একবারে মন্দ হওয়ায় সংসার চালাতে খুব হিমশিম খাচ্ছি। এই পেশার অনেকেই এখন অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। কেউ আবার চলে যাচ্ছে ঢাকায়। তবে সরকারী সহায়তা ও কোন অনুদান পেলে আবার বাপ-দাদার এ পেশা টিকিয়ে রাখা যাবে তা না হলে হয়তো এ পেশা ধরে রাখা সম্ভব হবে না।