চালক তসিকুল লাইসেন্স ছাড়াই বাস চালাত

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীকে চাপা দেয়া আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের বাসের সেই ঘাতক চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম তসিকুল ইসলাম (২৮)।

গত সোমবার রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। উপযুক্ত লাইসেন্স ছাড়াই তিনি আজমেরী পরিবহনের বাসটি চালাতেন। হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে ১০ বছর ধরে বাস চালিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন কুঁয়াশার কারণে মোটরসাইকেলটি দেখতে পাননি বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জানিয়েছেন তসিকুল। এ ঘটনায় হেলপার ও কন্ডাক্টার এখনও পলাতক রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকাল ৭টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের পদ্মা অয়েল গেইটের পাশে যাত্রীবাহী বাস চাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী আকাশ ইকবাল (৩৩) ও স্ত্রী মায়া হাজারিকা (২৫)।

গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক জানান, বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দম্পতি নিহতের ঘটনায় আজমেরী পরিবহনের বাসটির ঘাতক চালক তসিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাসের হেলপার ও কন্ডাক্টার পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তসিকুলকে গ্রেপ্তারের নেতৃত্ব দেয়া সিআইডির এলআইসি শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, দুর্ঘটনার পরেই পালিয়ে যান চালক তসিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়াতদন্ত শুরু করে সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্য, প্রথাগত ও প্রযুক্তিগত তদন্তের ভিত্তিতে অবস্থান শনাক্ত করে তসিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে তসিকুল চাপা দেয়ার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলটি হঠাৎ বাসের সামনে চলে আসে, কুয়াশার কারণে তিনি দেখতে না পারায় চাপা পড়ে যায়। তবে, বাস চালানোর জন্য তার উপযুক্ত লাইসেন্স নেই। হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে ১০ বছর ধরে বাস চালিয়ে আসছিলেন। তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান মুক্তা ধর।

কান্না থামছে না আফরানের- মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আকাশ ও মায়া নিহত হওয়ার পর তাদের ৪ বছর বয়সী একমাত্র কন্যা আফরান এখন গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদি এলাকায় দাদা-দাদির কাছে রয়েছে। তবে, বাবা-মাকে কাছে না পেয়ে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছে সে। নিহত আকাশের ফুপাতো ভাই মো. মিজানুর রহমান মিন্টু মুঠোফোনে জানান, বাবা-মাকে কাছে না পেয়ে কিছু খেতে চাইছে না আফরান। কিছুতেই তার কান্না থামাতে পারছেন না দাদা জাফর ইকবালসহ অন্যরা।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১ , ৬ মাঘ ১৪২৭, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দুর্ঘটনায় দম্পতি নিহত

চালক তসিকুল লাইসেন্স ছাড়াই বাস চালাত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীকে চাপা দেয়া আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের বাসের সেই ঘাতক চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম তসিকুল ইসলাম (২৮)।

গত সোমবার রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। উপযুক্ত লাইসেন্স ছাড়াই তিনি আজমেরী পরিবহনের বাসটি চালাতেন। হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে ১০ বছর ধরে বাস চালিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন কুঁয়াশার কারণে মোটরসাইকেলটি দেখতে পাননি বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জানিয়েছেন তসিকুল। এ ঘটনায় হেলপার ও কন্ডাক্টার এখনও পলাতক রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকাল ৭টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের পদ্মা অয়েল গেইটের পাশে যাত্রীবাহী বাস চাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী আকাশ ইকবাল (৩৩) ও স্ত্রী মায়া হাজারিকা (২৫)।

গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক জানান, বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দম্পতি নিহতের ঘটনায় আজমেরী পরিবহনের বাসটির ঘাতক চালক তসিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাসের হেলপার ও কন্ডাক্টার পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তসিকুলকে গ্রেপ্তারের নেতৃত্ব দেয়া সিআইডির এলআইসি শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, দুর্ঘটনার পরেই পালিয়ে যান চালক তসিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়াতদন্ত শুরু করে সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্য, প্রথাগত ও প্রযুক্তিগত তদন্তের ভিত্তিতে অবস্থান শনাক্ত করে তসিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে তসিকুল চাপা দেয়ার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলটি হঠাৎ বাসের সামনে চলে আসে, কুয়াশার কারণে তিনি দেখতে না পারায় চাপা পড়ে যায়। তবে, বাস চালানোর জন্য তার উপযুক্ত লাইসেন্স নেই। হালকা যান চালানোর লাইসেন্স নিয়ে ১০ বছর ধরে বাস চালিয়ে আসছিলেন। তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান মুক্তা ধর।

কান্না থামছে না আফরানের- মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আকাশ ও মায়া নিহত হওয়ার পর তাদের ৪ বছর বয়সী একমাত্র কন্যা আফরান এখন গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদি এলাকায় দাদা-দাদির কাছে রয়েছে। তবে, বাবা-মাকে কাছে না পেয়ে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছে সে। নিহত আকাশের ফুপাতো ভাই মো. মিজানুর রহমান মিন্টু মুঠোফোনে জানান, বাবা-মাকে কাছে না পেয়ে কিছু খেতে চাইছে না আফরান। কিছুতেই তার কান্না থামাতে পারছেন না দাদা জাফর ইকবালসহ অন্যরা।