সহযোগীদের ক্ষমা করছেন ট্রাম্প

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার শেষ মুহূর্তে প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে ক্ষমা করতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ট্রাম্পের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিভ ব্যানন ও রুডি জুলিয়ানি। সিএনএন

ডানপন্থি সংবাদমাধ্যম ব্রেইবার্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ব্যানন। তিনি ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সাবেক উপদেষ্টা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রচারণার সময় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ব্যাননের বিরুদ্ধে।

রুডি জুলিয়ানি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী। তিনি নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র ছিলেন। রুডির বিরুদ্ধে ইউক্রেনের ব্যবসাসংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে তার দুই সহযোগীকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। এ দু’জন ছাড়াও আর কারা সাধারণ ক্ষমার তালিকায় রয়েছেন সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের ক্ষমতা ছাড়ার আগে সাধারণ ক্ষমার তালিকায় স্থান পেতে হাজার হাজার ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন অনেক সাজাপ্রাপ্ত। নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের ক্ষমা পাইয়ে দিতে জোর তদবির করছেন হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারাও।

ক্ষমতা ছাড়ার শেষ মুহূর্তে অপরাধীদের সাজা কমাতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি প্রচলিত বিষয়।

সাজার আসামি ছাড়াও সাজা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের আগাম ক্ষমা করতে পারেন প্রেসিডেন্ট। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী শুধু কেন্দ্রীয় আদালতে সাজা পাওয়াদেরই এ ক্ষমার সুযোগ রয়েছে। কোন অঙ্গরাজ্যের আদালতে সাজা পাওয়া কাউকে ক্ষমার এখতিয়ার নেই প্রেসিডেন্টের।

দেশটির বেশিরভাগ প্রেসিডেন্ট তাদের ঘনিষ্ঠজনদের সাজা কমাতে এই সাধারণ ক্ষমা ব্যবহার করেছেন।

এর আগে ৯৪ জনকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। এদের বেশিরভাগই তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের বাবা চার্লস কুশনার।

নির্বাচনী প্রচারে অবৈধ দান, ট্যাক্স ফাঁকি ও সাক্ষ্য গ্রহণকে প্রভাবিত করায় ২০০৫ সালে তাকে দুই বছরের জেল দিয়েছিল আদালত।

নিজেকে ক্ষমা করা নিয়ে ২০১৭ সাল থেকেই সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছেন ট্রাম্প।

সম্প্রতি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সিন হ্যানিটি ফক্স নিউজকে বলেন, ট্রাম্পের নিজেকে ক্ষমা করা উচিত। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প নিজেও টুইট করেছিলেন। মনে করে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে এমন ক্ষমতা তার আছে।

২০১৮ সালে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আইনবিদরা বলেছেন, নিজেকে ক্ষমা করার সর্বময় ক্ষমতা আমার আছে। কিন্তু আমি যেহেতু কোন ভুল করিনি, তাহলে কেন এটা করব?’

তবে প্রেসিডেন্টের নিজেকে ক্ষমতা করার বিষয়টি এখনও পরীক্ষিত নয়। এ ব্যাপারে সাংবিধানিক বিধিবিধান নিয়ে বিভক্ত বিশেষজ্ঞরাও।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১ , ৬ মাঘ ১৪২৭, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সহযোগীদের ক্ষমা করছেন ট্রাম্প

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার শেষ মুহূর্তে প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে ক্ষমা করতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ট্রাম্পের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিভ ব্যানন ও রুডি জুলিয়ানি। সিএনএন

ডানপন্থি সংবাদমাধ্যম ব্রেইবার্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ব্যানন। তিনি ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সাবেক উপদেষ্টা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রচারণার সময় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ব্যাননের বিরুদ্ধে।

রুডি জুলিয়ানি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী। তিনি নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র ছিলেন। রুডির বিরুদ্ধে ইউক্রেনের ব্যবসাসংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে তার দুই সহযোগীকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। এ দু’জন ছাড়াও আর কারা সাধারণ ক্ষমার তালিকায় রয়েছেন সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের ক্ষমতা ছাড়ার আগে সাধারণ ক্ষমার তালিকায় স্থান পেতে হাজার হাজার ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন অনেক সাজাপ্রাপ্ত। নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের ক্ষমা পাইয়ে দিতে জোর তদবির করছেন হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারাও।

ক্ষমতা ছাড়ার শেষ মুহূর্তে অপরাধীদের সাজা কমাতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি প্রচলিত বিষয়।

সাজার আসামি ছাড়াও সাজা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের আগাম ক্ষমা করতে পারেন প্রেসিডেন্ট। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী শুধু কেন্দ্রীয় আদালতে সাজা পাওয়াদেরই এ ক্ষমার সুযোগ রয়েছে। কোন অঙ্গরাজ্যের আদালতে সাজা পাওয়া কাউকে ক্ষমার এখতিয়ার নেই প্রেসিডেন্টের।

দেশটির বেশিরভাগ প্রেসিডেন্ট তাদের ঘনিষ্ঠজনদের সাজা কমাতে এই সাধারণ ক্ষমা ব্যবহার করেছেন।

এর আগে ৯৪ জনকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। এদের বেশিরভাগই তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের বাবা চার্লস কুশনার।

নির্বাচনী প্রচারে অবৈধ দান, ট্যাক্স ফাঁকি ও সাক্ষ্য গ্রহণকে প্রভাবিত করায় ২০০৫ সালে তাকে দুই বছরের জেল দিয়েছিল আদালত।

নিজেকে ক্ষমা করা নিয়ে ২০১৭ সাল থেকেই সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছেন ট্রাম্প।

সম্প্রতি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সিন হ্যানিটি ফক্স নিউজকে বলেন, ট্রাম্পের নিজেকে ক্ষমা করা উচিত। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প নিজেও টুইট করেছিলেন। মনে করে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে এমন ক্ষমতা তার আছে।

২০১৮ সালে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আইনবিদরা বলেছেন, নিজেকে ক্ষমা করার সর্বময় ক্ষমতা আমার আছে। কিন্তু আমি যেহেতু কোন ভুল করিনি, তাহলে কেন এটা করব?’

তবে প্রেসিডেন্টের নিজেকে ক্ষমতা করার বিষয়টি এখনও পরীক্ষিত নয়। এ ব্যাপারে সাংবিধানিক বিধিবিধান নিয়ে বিভক্ত বিশেষজ্ঞরাও।