হত্যা মামলায় নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

মানিকগঞ্জের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ আলী দেওয়ান হত্যা মামলায় নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহানা হক সিদ্দীকা আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফুলহাড়া গ্রামের মো. শহীদের ছেলে মো. মঞ্জুর রহমান (৩০), ছুরমান খাঁর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৮), রহিজ উদ্দিনের ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৩৯), গগন খাঁর ছেলে মো. আজিজুল হক (২৫) এবং গগন খাঁর মেয়ে ফেলী বেগম (২১)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকেলে ঘিওর উপজেলার ফুলহাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ আলীকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

পরে তার ভাই মনসুর আলম বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে ঘিওর থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৩১ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক হাসমত আলী ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন এবং ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন এপিপি অ্যাড. নিরঞ্জন বসাক ও অ্যাড. আফসারুল ইসলাম মনি এবং আসামিপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাড. লুৎফর রহমান।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১ , ৬ মাঘ ১৪২৭, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মানিকগঞ্জে

হত্যা মামলায় নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ আলী দেওয়ান হত্যা মামলায় নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহানা হক সিদ্দীকা আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফুলহাড়া গ্রামের মো. শহীদের ছেলে মো. মঞ্জুর রহমান (৩০), ছুরমান খাঁর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৮), রহিজ উদ্দিনের ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৩৯), গগন খাঁর ছেলে মো. আজিজুল হক (২৫) এবং গগন খাঁর মেয়ে ফেলী বেগম (২১)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকেলে ঘিওর উপজেলার ফুলহাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ আলীকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

পরে তার ভাই মনসুর আলম বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে ঘিওর থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৩১ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক হাসমত আলী ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন এবং ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন এপিপি অ্যাড. নিরঞ্জন বসাক ও অ্যাড. আফসারুল ইসলাম মনি এবং আসামিপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাড. লুৎফর রহমান।