মা-বাবার যত্ন নিন

বাবা-মা সন্তানের জন্য সেরা আশীর্বাদ। সন্তানের উন্নত জীবনের জন্য এবং তাদের সুস্থ, সুন্দর ও ভালো রাখতেই চলে বাবা-মায়ের যত সংগ্রাম। তাদের জীবনের সব কিছু ত্যাগ করেন সন্তানের মঙ্গলের জন্য।

দুর্ভাগ্যবশত অনেক সন্তানই বাবা-মার সহযোগিতার ক্ষেত্রে পুরোপুরি বিপরীতে অবস্থান করেন। যে বাবা-মা সন্তানের সুখের জন্য তাদের সুখ বিসর্জন দেয়, সে সন্তানই বড় হয়ে সেভাবে বাবা-মার খোঁজ খবর রাখে না। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে না।

এমনকি অনেক বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে থাকতেও পারে না। তাদের স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রমে। এমন খবরও শোনা যায় যে, সন্তানমা-বাবাকে পাটিতে মুড়িয়ে জঙ্গলে ফেলে এসেছে, রাস্তায় বের করে দিয়েছে, জালিয়াতি কওে বাবার সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ বাবা-মা তাদের জীবনের সব সুখ-স্বপ্ন বিসর্জন দেন সন্তানের প্রতিপালনে।

বাবা-মা কখনো সন্তানের কাছে টাকা-পয়সা, বিলাসিতা কিংবা দুষ্প্রাপ্য কিছু চায় না। তারা চায় সন্তানের সঙ্গ, ভালোবাসা। কাজের ব্যস্ততা কিংবা অন্যকোন ওজুহাতে কখনো মা-বাবার সেবা-যতে্নর অবহেলা করা উচিত নয়। মা-বাবা যাতে কোনো ধরনের কষ্ট না পান, তা দেখা প্রত্যেক সন্তানের দায়িত্ব। নিয়মিত হাঁটা, সঠিক সময়ে ঘুমানো এগুলো ঠিকমতো করছেন কিনা, তা খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানের জন্যই মা-বাবার সুস্থতা প্রয়োজন, সেটা তাদের উপলব্ধি করতে হবে।

মুন্সী মুহাম্মদ জুয়েল

বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১ , ৬ মাঘ ১৪২৭, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মা-বাবার যত্ন নিন

বাবা-মা সন্তানের জন্য সেরা আশীর্বাদ। সন্তানের উন্নত জীবনের জন্য এবং তাদের সুস্থ, সুন্দর ও ভালো রাখতেই চলে বাবা-মায়ের যত সংগ্রাম। তাদের জীবনের সব কিছু ত্যাগ করেন সন্তানের মঙ্গলের জন্য।

দুর্ভাগ্যবশত অনেক সন্তানই বাবা-মার সহযোগিতার ক্ষেত্রে পুরোপুরি বিপরীতে অবস্থান করেন। যে বাবা-মা সন্তানের সুখের জন্য তাদের সুখ বিসর্জন দেয়, সে সন্তানই বড় হয়ে সেভাবে বাবা-মার খোঁজ খবর রাখে না। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে না।

এমনকি অনেক বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে থাকতেও পারে না। তাদের স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রমে। এমন খবরও শোনা যায় যে, সন্তানমা-বাবাকে পাটিতে মুড়িয়ে জঙ্গলে ফেলে এসেছে, রাস্তায় বের করে দিয়েছে, জালিয়াতি কওে বাবার সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ বাবা-মা তাদের জীবনের সব সুখ-স্বপ্ন বিসর্জন দেন সন্তানের প্রতিপালনে।

বাবা-মা কখনো সন্তানের কাছে টাকা-পয়সা, বিলাসিতা কিংবা দুষ্প্রাপ্য কিছু চায় না। তারা চায় সন্তানের সঙ্গ, ভালোবাসা। কাজের ব্যস্ততা কিংবা অন্যকোন ওজুহাতে কখনো মা-বাবার সেবা-যতে্নর অবহেলা করা উচিত নয়। মা-বাবা যাতে কোনো ধরনের কষ্ট না পান, তা দেখা প্রত্যেক সন্তানের দায়িত্ব। নিয়মিত হাঁটা, সঠিক সময়ে ঘুমানো এগুলো ঠিকমতো করছেন কিনা, তা খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানের জন্যই মা-বাবার সুস্থতা প্রয়োজন, সেটা তাদের উপলব্ধি করতে হবে।

মুন্সী মুহাম্মদ জুয়েল