শিক্ষক হয়ে উঠুক আলোকবর্তিকা

একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তার অনুসারীদের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে। স্বীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদের দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন শিক্ষক। শিক্ষকদের জীবনে অর্থনৈতিক জৌলুস নেই কিন্তু মনে শান্তি আছে। প্রচুর ধন-সম্পত্তি নেই কিন্তু দুনিয়াজোড়া শিক্ষার্থী আছে, রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে পতাকা হাতে নিয়ে তাদের জন্য মেকি সম্মান প্রদর্শনের মহড়া নেই কিন্তু অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মানুষ হাত উঁচিয়ে সালাম দেয়।

শিক্ষকতা একটি মহান পেশা, কিন্তু এই পেশাকে এখন অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজের বেশিরভাগ শিক্ষক ক্লাসের চেয়ে বেশি ব্যস্ত কোচিংয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষায় সময় কম দিয়ে সান্ধ্যকালীন পাঠদানে বেশি সময় দিচ্ছেন। শিক্ষক হবেন ছাত্রের গর্ব, ছাত্র হবে শিক্ষকের অহঙ্কার। সেই শিক্ষক যখন আদর্শ থেকে বিচ্যুত হন তখন স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষাব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকরা যুক্তিযুক্ত যেকোনো পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু তাতে একটি দক্ষ জাতি গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদি সেখানে ব্যবসা মুখ্য হয়, তাহলে জাতি আরো পিছিয়ে পড়বে। এই শিক্ষার্থীরা একসময় বড় দুর্নীতিবাজ হবে। ঘুষখোর হবে। কেননা তাকে এই অবস্থানে আসতে তাদের শিক্ষাজীবন থেকেই ঘুষ দিতে হয়েছে। আবার শিক্ষকদের যদি তাদের চাকরি, বদলিসহ বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে ঘুষ দিতে হয়, তাহলে তাদের মধ্যেও যেকোনো উপায়ে টাকা উপার্জনের চিন্তা আসা স্বাভাবিক। সবার উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বচ্ছ ও সৎ হওয়া। অন্যায়ভাবে মানুষের অর্থ নিজের পকেটে আনার রীতি থেকে বেরিয়ে আসা।

ছিদ্দিক ফারুক

বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১ , ৬ মাঘ ১৪২৭, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শিক্ষক হয়ে উঠুক আলোকবর্তিকা

একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তার অনুসারীদের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে। স্বীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদের দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন শিক্ষক। শিক্ষকদের জীবনে অর্থনৈতিক জৌলুস নেই কিন্তু মনে শান্তি আছে। প্রচুর ধন-সম্পত্তি নেই কিন্তু দুনিয়াজোড়া শিক্ষার্থী আছে, রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে পতাকা হাতে নিয়ে তাদের জন্য মেকি সম্মান প্রদর্শনের মহড়া নেই কিন্তু অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মানুষ হাত উঁচিয়ে সালাম দেয়।

শিক্ষকতা একটি মহান পেশা, কিন্তু এই পেশাকে এখন অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজের বেশিরভাগ শিক্ষক ক্লাসের চেয়ে বেশি ব্যস্ত কোচিংয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষায় সময় কম দিয়ে সান্ধ্যকালীন পাঠদানে বেশি সময় দিচ্ছেন। শিক্ষক হবেন ছাত্রের গর্ব, ছাত্র হবে শিক্ষকের অহঙ্কার। সেই শিক্ষক যখন আদর্শ থেকে বিচ্যুত হন তখন স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষাব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকরা যুক্তিযুক্ত যেকোনো পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু তাতে একটি দক্ষ জাতি গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদি সেখানে ব্যবসা মুখ্য হয়, তাহলে জাতি আরো পিছিয়ে পড়বে। এই শিক্ষার্থীরা একসময় বড় দুর্নীতিবাজ হবে। ঘুষখোর হবে। কেননা তাকে এই অবস্থানে আসতে তাদের শিক্ষাজীবন থেকেই ঘুষ দিতে হয়েছে। আবার শিক্ষকদের যদি তাদের চাকরি, বদলিসহ বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে ঘুষ দিতে হয়, তাহলে তাদের মধ্যেও যেকোনো উপায়ে টাকা উপার্জনের চিন্তা আসা স্বাভাবিক। সবার উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বচ্ছ ও সৎ হওয়া। অন্যায়ভাবে মানুষের অর্থ নিজের পকেটে আনার রীতি থেকে বেরিয়ে আসা।

ছিদ্দিক ফারুক