নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কোল ঘেঁষে বহমান চাড়ালকাটা-ধাইজান নদীর বুকে জেগে উঠা চর এখন ফসলের মাঠ। নদী বিধৌত বিস্তীর্ণ চরে কৃষকেরা থরে থরে চাষাবাদ করছেন আলু, ভুট্টা,গম,সরিষা, পেয়াজ,রসুন,সাথী ফসল করলা, চিচিঙ্গা,মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের বাহারি সব শীতের সবজি। ফলে বেড়েছে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। উৎপাদিত ফসল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলা শহরে। এ চরে উৎপাদিত আলু,পেয়াজসহ অন্যান্য ফসলের বাম্পার ফলন, ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। ঘুরে দাঁড়ানো এ জনপদের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে হচ্ছেন অনেকেই স্বাবলম্বী এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এনেছেন আমূল পরিবর্তন। বর্তমানে চাড়াল কাটা, ধাইজান নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে খুইয়ে যাওয়া জমি আবারো মাতৃরুপে ফিরিয়ে দিয়েছেন গ্রামীণ অববাহিকার কৃষকের মাঝে। চাড়াল কাটা ও ধাইজান নদীর মমতাময়ী আঁচল ঘেরা পলি-দোআঁশে পরিপূর্ণ মাটিতে চাষাবাদ করে কৃষাণ-কৃষাণিরা সবুজ বিপ্লবের হাতছানিতে প্রাণের স্পন্দনে টইটুম্বুর।
সরেজমিনে উপজেলার চাড়ালকাটা ধাইজান নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিতাই ডাঙ্গা পাড়া, পুটিমারীর কালিকাপুর, কিশোরগঞ্জ সদরের কেসবা যদুমণি, উত্তর দুরাকুটি,দক্ষিন বাহাগিলী, গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীর কূল ঘেঁষে জেগে উঠা অসংখ্য চরে দিগন্তজুড়ে ফসলি জমি সবুজ সম্ভার ও মায়া ছড়ানো সৌন্দর্য হাত ছানি দিয়ে ডাকে। নদীর বুকে ফসলের চাষাবাদ এবং নয়নাভিরাম সবুজের সম্ভার দেখে মনে হয় না যেন এটা কোন চর এলাকা। নদী এলাকায় অনেক হত দরিদ্র পরিবার শুষ্ক মৌসুমে মরা গাঙ্গে ইরি- বোরো ধান চাষাবাদ করে তিন/চার মাসের খাদ্য সংস্থানের জন্য বীজতলা পরিচর্যা,জমি প্রস্তত করনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক, আব্দুল আজিজ জানান, গত কয়েক বছর থেকে জেগে ওঠা চরএখন উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়ে তিন/চার ফসলি জমিতে রুপ নেওয়া এখানে ফলানো হচ্ছে সোনার ফসল। এই চাড়ালকাটা চরে আবাদ করে আমাদের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে এবং শুরু হয়েছে কৃষক তথা কৃষি শ্রমিকের দিনবদলের পালা। উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জেগে ওঠা হাজার হাজার বিঘা চরের জমিতে নানান জাতের ফসলের চাষ হচ্ছে। এখানে আগাম আলুসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করে কৃষকেরা দিন দিন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।
বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২
তপন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কোল ঘেঁষে বহমান চাড়ালকাটা-ধাইজান নদীর বুকে জেগে উঠা চর এখন ফসলের মাঠ। নদী বিধৌত বিস্তীর্ণ চরে কৃষকেরা থরে থরে চাষাবাদ করছেন আলু, ভুট্টা,গম,সরিষা, পেয়াজ,রসুন,সাথী ফসল করলা, চিচিঙ্গা,মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের বাহারি সব শীতের সবজি। ফলে বেড়েছে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। উৎপাদিত ফসল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলা শহরে। এ চরে উৎপাদিত আলু,পেয়াজসহ অন্যান্য ফসলের বাম্পার ফলন, ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। ঘুরে দাঁড়ানো এ জনপদের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে হচ্ছেন অনেকেই স্বাবলম্বী এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এনেছেন আমূল পরিবর্তন। বর্তমানে চাড়াল কাটা, ধাইজান নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে খুইয়ে যাওয়া জমি আবারো মাতৃরুপে ফিরিয়ে দিয়েছেন গ্রামীণ অববাহিকার কৃষকের মাঝে। চাড়াল কাটা ও ধাইজান নদীর মমতাময়ী আঁচল ঘেরা পলি-দোআঁশে পরিপূর্ণ মাটিতে চাষাবাদ করে কৃষাণ-কৃষাণিরা সবুজ বিপ্লবের হাতছানিতে প্রাণের স্পন্দনে টইটুম্বুর।
সরেজমিনে উপজেলার চাড়ালকাটা ধাইজান নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিতাই ডাঙ্গা পাড়া, পুটিমারীর কালিকাপুর, কিশোরগঞ্জ সদরের কেসবা যদুমণি, উত্তর দুরাকুটি,দক্ষিন বাহাগিলী, গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীর কূল ঘেঁষে জেগে উঠা অসংখ্য চরে দিগন্তজুড়ে ফসলি জমি সবুজ সম্ভার ও মায়া ছড়ানো সৌন্দর্য হাত ছানি দিয়ে ডাকে। নদীর বুকে ফসলের চাষাবাদ এবং নয়নাভিরাম সবুজের সম্ভার দেখে মনে হয় না যেন এটা কোন চর এলাকা। নদী এলাকায় অনেক হত দরিদ্র পরিবার শুষ্ক মৌসুমে মরা গাঙ্গে ইরি- বোরো ধান চাষাবাদ করে তিন/চার মাসের খাদ্য সংস্থানের জন্য বীজতলা পরিচর্যা,জমি প্রস্তত করনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক, আব্দুল আজিজ জানান, গত কয়েক বছর থেকে জেগে ওঠা চরএখন উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়ে তিন/চার ফসলি জমিতে রুপ নেওয়া এখানে ফলানো হচ্ছে সোনার ফসল। এই চাড়ালকাটা চরে আবাদ করে আমাদের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে এবং শুরু হয়েছে কৃষক তথা কৃষি শ্রমিকের দিনবদলের পালা। উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জেগে ওঠা হাজার হাজার বিঘা চরের জমিতে নানান জাতের ফসলের চাষ হচ্ছে। এখানে আগাম আলুসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করে কৃষকেরা দিন দিন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।