প্রত্যাবর্তন ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা টাইগারদের

স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২২ (৩২.২ ওভার) : বাংলাদেশ ১২৩/৪ (৩৩.৫ ওভার) ফল : বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী

বাংলাদেশ সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলটা যে প্রথম সারির নয়, তা বলা বাহুল্য। এমন একটা দলের বিপক্ষে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রত্যাবর্তন ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। এই ম্যাচটা আবার তার ঘরের মাটিতে শততম ম্যাচ। জ্বলে উঠেছিলেন তিনি ব্যাটে-বলে। মাত্র আট রানে পতন ঘটিয়েছেন চারটি উইকেটের। ব্যাট হাতে যোগ করেছেন ১৯ রান। তার সঙ্গে অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ এক মেডেনসহ শিকার করলেন তিনটি উইকেট। কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের শিকার হলেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার। ভাঙ্গাচোরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটা ৩২.২ ওভার ব্যাটিং করে মাত্র ১২২ রানে অল আউট হলো। কিন্তু ক্যালিপসো ক্রিকেটের সেই দায়ভার কোনটা না থাকলেও মামুলি ১২৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চারজন আউট হলেন। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছয় উইকেটের জয় দিয়ে কোভিড-১৯ পরবর্তী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা বাংলাদেশ দল উদযাপন করলেও ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট যে তিনশ’ দিন ধরে ২২ গজের বাইরে, তা স্পষ্ট। অবশ্য মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল একদিকে যেমন ছিল কুয়াশায় ঢাকা, তেমনি হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে কোন ওভার কাটা না পড়লেও বেলা ১১টা থেকেই জ্বালিয়ে দিতে হয়েছিল ফ্লাড লাইট। কন্ডিশন যে ব্যাটিং উপযোগী ছিল না, তাও বুঝা গেছে। আবার মিরপুরের দর্শক পরিপূর্ণ যে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের উৎসাহের মাঝে খেলে অভ্যস্ত টাইগাররা, সেই চিরচেনা গ্যালরিতে ছিল সুনসান নীরবতা। তবে, সবকিছু ছাপিয়ে রেকর্ড বইয়ে কোভিড-১৯ পরবর্তী প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের ছয় উইকেটের জয়টাই কিন্তু লেখা থাকবে। প্রায় এক বছর পর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গতকালের ওডিআইতে টস জিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান, বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বল ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে ক্যারিবিয়ান দলের সহ-অধিনায়ক সুনিল অ্যামব্রিস ঝড় তোলার আভাস দিয়েছিলেন। কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে থেমে যায় অ্যামব্রিসের ব্যাট। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি অ্যামব্রিস (৭)। দ্বিতীয় উইকেটটিরও পতন ঘটান মুস্তাফিজ। তার বলে আরেক ওপেনার জসুয়া ডা সিলভাকে (৯) গালিতে তালুবন্দী করেন লিটন দাস।

দুই ওপেনার বিদায়ের পর আইসিসির এক বছরের নিষেষাজ্ঞা ও করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৬ মাস পর খেলতে নেমে ক্যারিবিয়ানদের চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব আল হাসান।

প্রথম ওভারে উইকেট না পেলেও, পরে সাকিবের ঘূর্ণিতেই বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম স্পেলে টানা ৭ ওভার বল করেছেন তিনি। ক্যারিবিয়ান ইনিংসের ২৩তম ওভারে যখন আক্রমণ থেকে সরানো হয় সাকিবকে, তখন তার নামের পাশে সাত ওভারে দুই মেডেনসহ আট রানের বিনিময়ে চার উইকেট।

মাঝে মেহেদি মিরাজ একটি উইকেটের পতন ঘটানোর পর তিন উইকেট শিকার করেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। ৩৩তম ওভারে বল হাতে পেয়েই সফরকারীদের শেষ ব্যাটসম্যানটিকে ক্রিজ ছাড়া করেন সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ১২২ রানে। বোলিং সহায়ক কন্ডিশনে টাইগার বোলারদের সামনে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ (১৭), কাইল মায়ার্স (৪০) ও রভম্যান পাওয়েল (২৮)। দুই ব্যাটসম্যান ফিরেছেন রানের খাতা না খুলে। আর অপরাজিত ব্যাটসম্যানটিরও নামের পাশে রান লেখার কষ্ট করতে হয়নি স্কোরারকে।

ব্যাটসম্যানরা লড়াইয়ের জন্য বড় পুঁজি না দিলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা সাধ্যমত লড়াই করার পথে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন। অভিজ্ঞতার বিচারে বাংলাদেশ থেকে অনেক পিছিয়ে থাকা ক্যারিবিয়ান বোলিং ডিপার্টমেন্টের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১২৩ রানের টার্গেটে পৌঁছাতে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের খেলতে হয়েছে তেত্রিশ ওভার পাঁচ বল।

বাংলাদেশের ইনিংসের শুরু থেকে টানা ৮ ওভার বোলিং করেন তরুণ পেসার আলঝারি জোসেফ। প্রথম ৬ ওভারে এই ক্যারিবিয়ান বোলার রান দেন মাত্র সাতটি। তার এই স্পেলে মেডেন ওভারই ছিল তিনটি। তার নিখুঁত লাইন-লেন্থের বোলিংয়ে কখনও কখনও দুই টাইগার ওপেনার তামিম-লিটনকে অসহায় মনে হয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৭ রান করতে আসে ৮০ বলে। মনে হচ্ছিল যেন টেস্ট ক্রিকেটের ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা।

ইনিংসের ১৪তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন লিটন। বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনের আচমকা বাঁক খাওয়া বলটি ৩৮ বলে ১৪ রান করা লিটনের স্ট্যাম্পের একেবারে ওপরে আঘাত করে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও (১) এই ক্যারিবিয়ান বোলারের শিকার হন। একপ্রান্তে লিটন, শান্তকে ফিরতে দেখে অধিনায়ক তামিম ইকবাল কন্ডিশন ও পিচের অবস্থা বুঝে অনেকটাই খোলসের মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানের মাথায় সফরকারী দলের অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তামিম। তখনও জয় থেকে ৪০ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ। তামিমের পর দলীয় ১০৫ রানে ফিরে যান সাকিবও। নিজের কোটার দশ ওভারের শেষ বলে বাংলাদেশের পতন হওয়া চতুর্থ উইকেট হিসাবে সাকিবকে (১৯) বোল্ড করেন আকিল হোসেন।

তবে পঞ্চম উইকেটে আর কোন বিপদ ঘটতে না দিয়ে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম (১৯) ও মাহমুদুল্লাহ (৯) অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

আর হ্যাঁ, প্রত্যাবর্তন ম্যাচে চারটি উইকেটের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে ১৯ রান যোগ করে ঘরের মাঠের শততম ম্যাচে সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারটা জিতেছেন সাকিব আল হাসান।

সম্পাদিত///নির্জন

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

প্রত্যাবর্তন ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা টাইগারদের

বিশেষ প্রতিনিধি

image

ব্যাটিংয়ে সাকিব ও তামিম

স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২২ (৩২.২ ওভার) : বাংলাদেশ ১২৩/৪ (৩৩.৫ ওভার) ফল : বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী

বাংলাদেশ সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলটা যে প্রথম সারির নয়, তা বলা বাহুল্য। এমন একটা দলের বিপক্ষে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রত্যাবর্তন ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। এই ম্যাচটা আবার তার ঘরের মাটিতে শততম ম্যাচ। জ্বলে উঠেছিলেন তিনি ব্যাটে-বলে। মাত্র আট রানে পতন ঘটিয়েছেন চারটি উইকেটের। ব্যাট হাতে যোগ করেছেন ১৯ রান। তার সঙ্গে অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ এক মেডেনসহ শিকার করলেন তিনটি উইকেট। কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের শিকার হলেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার। ভাঙ্গাচোরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটা ৩২.২ ওভার ব্যাটিং করে মাত্র ১২২ রানে অল আউট হলো। কিন্তু ক্যালিপসো ক্রিকেটের সেই দায়ভার কোনটা না থাকলেও মামুলি ১২৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চারজন আউট হলেন। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছয় উইকেটের জয় দিয়ে কোভিড-১৯ পরবর্তী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা বাংলাদেশ দল উদযাপন করলেও ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট যে তিনশ’ দিন ধরে ২২ গজের বাইরে, তা স্পষ্ট। অবশ্য মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল একদিকে যেমন ছিল কুয়াশায় ঢাকা, তেমনি হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে কোন ওভার কাটা না পড়লেও বেলা ১১টা থেকেই জ্বালিয়ে দিতে হয়েছিল ফ্লাড লাইট। কন্ডিশন যে ব্যাটিং উপযোগী ছিল না, তাও বুঝা গেছে। আবার মিরপুরের দর্শক পরিপূর্ণ যে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের উৎসাহের মাঝে খেলে অভ্যস্ত টাইগাররা, সেই চিরচেনা গ্যালরিতে ছিল সুনসান নীরবতা। তবে, সবকিছু ছাপিয়ে রেকর্ড বইয়ে কোভিড-১৯ পরবর্তী প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের ছয় উইকেটের জয়টাই কিন্তু লেখা থাকবে। প্রায় এক বছর পর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গতকালের ওডিআইতে টস জিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান, বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বল ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে ক্যারিবিয়ান দলের সহ-অধিনায়ক সুনিল অ্যামব্রিস ঝড় তোলার আভাস দিয়েছিলেন। কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে থেমে যায় অ্যামব্রিসের ব্যাট। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি অ্যামব্রিস (৭)। দ্বিতীয় উইকেটটিরও পতন ঘটান মুস্তাফিজ। তার বলে আরেক ওপেনার জসুয়া ডা সিলভাকে (৯) গালিতে তালুবন্দী করেন লিটন দাস।

দুই ওপেনার বিদায়ের পর আইসিসির এক বছরের নিষেষাজ্ঞা ও করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৬ মাস পর খেলতে নেমে ক্যারিবিয়ানদের চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব আল হাসান।

প্রথম ওভারে উইকেট না পেলেও, পরে সাকিবের ঘূর্ণিতেই বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম স্পেলে টানা ৭ ওভার বল করেছেন তিনি। ক্যারিবিয়ান ইনিংসের ২৩তম ওভারে যখন আক্রমণ থেকে সরানো হয় সাকিবকে, তখন তার নামের পাশে সাত ওভারে দুই মেডেনসহ আট রানের বিনিময়ে চার উইকেট।

মাঝে মেহেদি মিরাজ একটি উইকেটের পতন ঘটানোর পর তিন উইকেট শিকার করেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। ৩৩তম ওভারে বল হাতে পেয়েই সফরকারীদের শেষ ব্যাটসম্যানটিকে ক্রিজ ছাড়া করেন সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ১২২ রানে। বোলিং সহায়ক কন্ডিশনে টাইগার বোলারদের সামনে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ (১৭), কাইল মায়ার্স (৪০) ও রভম্যান পাওয়েল (২৮)। দুই ব্যাটসম্যান ফিরেছেন রানের খাতা না খুলে। আর অপরাজিত ব্যাটসম্যানটিরও নামের পাশে রান লেখার কষ্ট করতে হয়নি স্কোরারকে।

ব্যাটসম্যানরা লড়াইয়ের জন্য বড় পুঁজি না দিলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা সাধ্যমত লড়াই করার পথে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন। অভিজ্ঞতার বিচারে বাংলাদেশ থেকে অনেক পিছিয়ে থাকা ক্যারিবিয়ান বোলিং ডিপার্টমেন্টের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১২৩ রানের টার্গেটে পৌঁছাতে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের খেলতে হয়েছে তেত্রিশ ওভার পাঁচ বল।

বাংলাদেশের ইনিংসের শুরু থেকে টানা ৮ ওভার বোলিং করেন তরুণ পেসার আলঝারি জোসেফ। প্রথম ৬ ওভারে এই ক্যারিবিয়ান বোলার রান দেন মাত্র সাতটি। তার এই স্পেলে মেডেন ওভারই ছিল তিনটি। তার নিখুঁত লাইন-লেন্থের বোলিংয়ে কখনও কখনও দুই টাইগার ওপেনার তামিম-লিটনকে অসহায় মনে হয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৭ রান করতে আসে ৮০ বলে। মনে হচ্ছিল যেন টেস্ট ক্রিকেটের ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা।

ইনিংসের ১৪তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন লিটন। বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনের আচমকা বাঁক খাওয়া বলটি ৩৮ বলে ১৪ রান করা লিটনের স্ট্যাম্পের একেবারে ওপরে আঘাত করে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও (১) এই ক্যারিবিয়ান বোলারের শিকার হন। একপ্রান্তে লিটন, শান্তকে ফিরতে দেখে অধিনায়ক তামিম ইকবাল কন্ডিশন ও পিচের অবস্থা বুঝে অনেকটাই খোলসের মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানের মাথায় সফরকারী দলের অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তামিম। তখনও জয় থেকে ৪০ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ। তামিমের পর দলীয় ১০৫ রানে ফিরে যান সাকিবও। নিজের কোটার দশ ওভারের শেষ বলে বাংলাদেশের পতন হওয়া চতুর্থ উইকেট হিসাবে সাকিবকে (১৯) বোল্ড করেন আকিল হোসেন।

তবে পঞ্চম উইকেটে আর কোন বিপদ ঘটতে না দিয়ে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম (১৯) ও মাহমুদুল্লাহ (৯) অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

আর হ্যাঁ, প্রত্যাবর্তন ম্যাচে চারটি উইকেটের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে ১৯ রান যোগ করে ঘরের মাঠের শততম ম্যাচে সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারটা জিতেছেন সাকিব আল হাসান।

সম্পাদিত///নির্জন