ঝুঁকিপূর্ণ ৫৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর আগ্রাবাদ মোগলটুলিতে সহিংসতায় একজনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। সহিংসতাপ্রবণ এলাকার কেন্দ্রগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের দৃষ্টিতে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ নয় কিছু কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নগরীর চার প্রবেশ পথে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। পুলিশ কমিশনার নিজেই রাতে বের হয়ে থানা পুলিশের কার্যক্রম নজরদারি করছেন। এদিকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি এবার ভোটের আগে পরে ৫ দিনের জন্য ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচন শুরুর দুই দিন আগে থেকে পরের দুই দিনও মাঠে থাকবেন। নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব (আইন) আফরোজা শিউলী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে জানা গেছে, আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থীসহ মোট ২৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ৪১টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭৩৫টি। মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে নারী ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা ২০১২ এ বিধি ৮৬তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন- ১, ২ নম্বর ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজা, ৩, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কায়সার, ৭, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আঞ্জুমান আরা, ৯, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহম্মদ খন্দকার, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারাফ উদ্দিন আহমদ, ১৩, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফেনী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খান, ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান চৌধুরী, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব, ১৯, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বান্দরবানের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম এমরান, ২১, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলম, ২৩, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান। এছাড়া ২৫, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোয়েব উদ্দীন খান, ২৭, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নোয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাহী, ২৯, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইরফানুল হক চৌধুরী, ৩১, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুর রহমান, ৩৩, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাঙ্গামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তী, ৩৫, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাঙ্গামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ পাল, ৩৭, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে চাঁদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসাইন, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কার্তিক চন্দ্র ঘোষ।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি থেকেই আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করতে ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। প্রত্যেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি সংরক্ষিত ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের অধীন তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সংরক্ষিত-১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। সংরক্ষিত- ২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ। সংরক্ষিত- ৩ (সাধারণ দুটি ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান। সংরক্ষিত-৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। সংরক্ষিত- ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলমগীর। সংরক্ষিত-৬ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল হাসান। সংরক্ষিত-৭ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায়।

সংরক্ষিত- ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন। সংরক্ষিত-৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। সংরক্ষিত-১০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান। সংরক্ষিত-১১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। সংরক্ষিত-১২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার। সংরক্ষিত-১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন- ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। সংরক্ষিত-১৪ এবং অধীন তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে- ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরীকে।

জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে প্রায় ৫৭ শতাংশ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর বাইরে হাটহাজারী থানা এলাকার একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে সেই কেন্দ্রকেও ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে জেলা পুলিশ।

আর নগরীর ৭২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ৩১৩টি ভোটকেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে নগর পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রেখে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নয় হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। এর বাইরে থাকবে আনসার বাহিনীর সদস্য। নির্বাচনে দায়িত্বপালনে পুলিশ সদস্যরা আসবেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থাকে। তাদের অন্তত চারদিন অবস্থান করতে হবে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য রাখতে নগর পুলিশের চার জোনে সুবিধাজনক স্থানে চাহিদা অনুযায়ী কমিউনিটি সেন্টার নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, পাহাড়তলী ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রের ভোটের দায়িত্ব পালন করবে জেলা পুলিশ। ওই কেন্দ্রটিকে আমার ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছি। সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোন ভোটকেন্দ্রকে আমরা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে দেখছি না। তবে কিছু ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নগরীর ৭২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪১০টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ৩১৩টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আরও এক সপ্তাহ বাকি। এরমধ্যে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রের সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে প্রসঙ্গে নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) আবদুল ওয়ারিশ জানান, গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছুই করা হবে। কোন ধরনের সহিংসতা কিংবা অঘটন ছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমাদের চেষ্টা থাকবে।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চসিক নির্বাচন

ঝুঁকিপূর্ণ ৫৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্র

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর আগ্রাবাদ মোগলটুলিতে সহিংসতায় একজনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। সহিংসতাপ্রবণ এলাকার কেন্দ্রগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের দৃষ্টিতে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ নয় কিছু কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নগরীর চার প্রবেশ পথে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। পুলিশ কমিশনার নিজেই রাতে বের হয়ে থানা পুলিশের কার্যক্রম নজরদারি করছেন। এদিকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি এবার ভোটের আগে পরে ৫ দিনের জন্য ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচন শুরুর দুই দিন আগে থেকে পরের দুই দিনও মাঠে থাকবেন। নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব (আইন) আফরোজা শিউলী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে জানা গেছে, আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থীসহ মোট ২৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ৪১টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭৩৫টি। মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে নারী ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা ২০১২ এ বিধি ৮৬তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন- ১, ২ নম্বর ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজা, ৩, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কায়সার, ৭, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আঞ্জুমান আরা, ৯, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহম্মদ খন্দকার, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারাফ উদ্দিন আহমদ, ১৩, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফেনী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খান, ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান চৌধুরী, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব, ১৯, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বান্দরবানের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম এমরান, ২১, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলম, ২৩, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান। এছাড়া ২৫, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোয়েব উদ্দীন খান, ২৭, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নোয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাহী, ২৯, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইরফানুল হক চৌধুরী, ৩১, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুর রহমান, ৩৩, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাঙ্গামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট প্রবাল চক্রবর্তী, ৩৫, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাঙ্গামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ পাল, ৩৭, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে চাঁদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসাইন, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কার্তিক চন্দ্র ঘোষ।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি থেকেই আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করতে ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। প্রত্যেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি সংরক্ষিত ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের অধীন তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সংরক্ষিত-১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। সংরক্ষিত- ২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ। সংরক্ষিত- ৩ (সাধারণ দুটি ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান। সংরক্ষিত-৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। সংরক্ষিত- ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলমগীর। সংরক্ষিত-৬ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল হাসান। সংরক্ষিত-৭ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায়।

সংরক্ষিত- ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন। সংরক্ষিত-৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। সংরক্ষিত-১০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান। সংরক্ষিত-১১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। সংরক্ষিত-১২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন, ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার। সংরক্ষিত-১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন- ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। সংরক্ষিত-১৪ এবং অধীন তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে- ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরীকে।

জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে প্রায় ৫৭ শতাংশ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর বাইরে হাটহাজারী থানা এলাকার একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে সেই কেন্দ্রকেও ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে জেলা পুলিশ।

আর নগরীর ৭২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ৩১৩টি ভোটকেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে নগর পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রেখে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নয় হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। এর বাইরে থাকবে আনসার বাহিনীর সদস্য। নির্বাচনে দায়িত্বপালনে পুলিশ সদস্যরা আসবেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থাকে। তাদের অন্তত চারদিন অবস্থান করতে হবে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য রাখতে নগর পুলিশের চার জোনে সুবিধাজনক স্থানে চাহিদা অনুযায়ী কমিউনিটি সেন্টার নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, পাহাড়তলী ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রের ভোটের দায়িত্ব পালন করবে জেলা পুলিশ। ওই কেন্দ্রটিকে আমার ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছি। সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোন ভোটকেন্দ্রকে আমরা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে দেখছি না। তবে কিছু ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নগরীর ৭২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪১০টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ৩১৩টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আরও এক সপ্তাহ বাকি। এরমধ্যে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রের সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে প্রসঙ্গে নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) আবদুল ওয়ারিশ জানান, গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছুই করা হবে। কোন ধরনের সহিংসতা কিংবা অঘটন ছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমাদের চেষ্টা থাকবে।