শ্রমমান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক রীতি মানতে হবে

সিপিডির অনলাইন আলোচনায় বক্তারা

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে হলে বাংলাদেশকে শ্রম আইন ও অধিকার বিষয়ে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সাতাশটি মানবাধিকার ও শ্রমমান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক রীতি মেনে চলতে হবে। গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর ইবিএ এবং জিএসপি-এর সম্ভাবনা : শ্রম আইন ও অধিকার সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনায় সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সিপিডি সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

আলোচনায় আরও বলা হয়, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে শ্রমমান পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিভিন্ন আইন, কাঠামোগত দুর্বলতা এবং প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। অন্যদিকে এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ রপ্তানির ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা পায়, তা সংকুচিত হবে। বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম রপ্তানি বাজার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি+ সুবিধার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত হতে পারলে উত্তরণ-পরবর্তী কালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাড়তি শুল্ক দেয়া থেকে সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে সাতাশটি মানবাধিকার ও শ্রমমান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক রীতি মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে পনেরটি আইএলওর শ্রমমানের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিগত প্রায় আট বছর সময় ধরে শোভন কাজ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে হয়রানি সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে আইনি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা, বাধ্যতামূলক শ্রম ইস্যু সঠিকভাবে মোকাবিলা, আইএলও বিশেষজ্ঞ কমিটির উদ্বেগের দিকে দৃষ্টি দেয়া এবং সার্বিক তদারকি ও বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়ার বিষয়গুলো ওঠে আসে এই আলোচনায়।

আলোচনার সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পেতে প্রাসঙ্গিক মানদ-গুলোর পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইনগত ত্রুটিগুলো পর্যালোচনা এবং শ্রমের মান সম্পর্কিত জিএসপি এর সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ বিষয়ে যৌথভাবে সিপিডি ও নেটওয়ার্কস ম্যাটার এই গবেষণা পরিচালনা করেছে।

মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনায় ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা একটি বাণিজ্য কাঠামো প্রদান করে, যা পেতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং সরকারকে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের সুরক্ষা এবং প্রচারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে হয়। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর জিএসপি সুবিধা পেতে শ্রম আইন নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। শিশু শ্রম, ট্রেড ইউনিয়ন আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিসহ শ্রম আইন ও অধিকারের সংস্কারের উন্নতির সুযোগ রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক এবং আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পটিয়াইনন সংলাপে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক-এর মতে, বাংলাদেশকে শ্রমিকবান্ধব একটি দেশ হিসেবে পরিচিত করার প্রয়োজন রয়েছে, যা শুধু জিএসপি সুবিধা পেতে নয় বরং শ্রমিকদের সামগ্রিক উন্নয়নে সাহায্য করবে। টুওমো পটিয়াইনন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দেন এবং শ্রম আইন ও অধিকার বিষয়ে সংলাপ চলমান রাখার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন। দেশে অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের ব্যাপকতার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান বলেন, এই খাতে শ্রমিক আইন বাস্তবায়ন করা সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শ্রম অধিদপ্তর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় পরিচালক মো. বেল্লাল হোসেন শেখ বলেন, মন্ত্রণালয় একটি ডাটাবেজ তৈরির কাজ শেষ করেছে। এর মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন ও বিরোধ নিষ্পত্তি সম্পর্কিত তথ্য ও উপাত্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়া সম্ভব হবে।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন মনে করেন, দেশের উন্নতি ও শ্রমিকের উন্নয়নের স্বার্থে শ্রম আইন প্রয়োগ করা উচিৎ। শুধু বাইরের চাপে নয়। আইন সংস্কার দেশীয় প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে করার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল দীপু। তবে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম মনে করেন, গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শিল্পে বৈশ্বিক সংযুক্তি থাকায়, আইন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলেই তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ)-এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সংলাপে আরেকজন আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করে বলেন, ক্রেতাদের আরও দায়িত্ববান ভূমিকা পালন করতে হবে। বৈশ্বিক পর্যায়ের শ্রমিক আইন মানতে, ক্রেতাদের বৈশ্বিক পর্যায়ের দাম নিশ্চিত করতে হবে, যা বাংলাদেশের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কাঠামোগত দুর্বলতা এবং প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জগুলোকে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার দরকার আছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে শ্রম আইন ও অধিকার নিশ্চিতের গুরুত্ব দেন।

সংলাপে সরকারি কর্মকর্তারা, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মতামত তুলে ধরেন

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

উন্নয়নশীল দেশ হতে

শ্রমমান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক রীতি মানতে হবে

সিপিডির অনলাইন আলোচনায় বক্তারা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে হলে বাংলাদেশকে শ্রম আইন ও অধিকার বিষয়ে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সাতাশটি মানবাধিকার ও শ্রমমান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক রীতি মেনে চলতে হবে। গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর ইবিএ এবং জিএসপি-এর সম্ভাবনা : শ্রম আইন ও অধিকার সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনায় সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সিপিডি সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

আলোচনায় আরও বলা হয়, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে শ্রমমান পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিভিন্ন আইন, কাঠামোগত দুর্বলতা এবং প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। অন্যদিকে এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ রপ্তানির ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা পায়, তা সংকুচিত হবে। বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম রপ্তানি বাজার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি+ সুবিধার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত হতে পারলে উত্তরণ-পরবর্তী কালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাড়তি শুল্ক দেয়া থেকে সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে সাতাশটি মানবাধিকার ও শ্রমমান সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক রীতি মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে পনেরটি আইএলওর শ্রমমানের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিগত প্রায় আট বছর সময় ধরে শোভন কাজ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে হয়রানি সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে আইনি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা, বাধ্যতামূলক শ্রম ইস্যু সঠিকভাবে মোকাবিলা, আইএলও বিশেষজ্ঞ কমিটির উদ্বেগের দিকে দৃষ্টি দেয়া এবং সার্বিক তদারকি ও বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়ার বিষয়গুলো ওঠে আসে এই আলোচনায়।

আলোচনার সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পেতে প্রাসঙ্গিক মানদ-গুলোর পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইনগত ত্রুটিগুলো পর্যালোচনা এবং শ্রমের মান সম্পর্কিত জিএসপি এর সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ বিষয়ে যৌথভাবে সিপিডি ও নেটওয়ার্কস ম্যাটার এই গবেষণা পরিচালনা করেছে।

মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনায় ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা একটি বাণিজ্য কাঠামো প্রদান করে, যা পেতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং সরকারকে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের সুরক্ষা এবং প্রচারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে হয়। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর জিএসপি সুবিধা পেতে শ্রম আইন নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। শিশু শ্রম, ট্রেড ইউনিয়ন আইন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিসহ শ্রম আইন ও অধিকারের সংস্কারের উন্নতির সুযোগ রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক এবং আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পটিয়াইনন সংলাপে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক-এর মতে, বাংলাদেশকে শ্রমিকবান্ধব একটি দেশ হিসেবে পরিচিত করার প্রয়োজন রয়েছে, যা শুধু জিএসপি সুবিধা পেতে নয় বরং শ্রমিকদের সামগ্রিক উন্নয়নে সাহায্য করবে। টুওমো পটিয়াইনন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দেন এবং শ্রম আইন ও অধিকার বিষয়ে সংলাপ চলমান রাখার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন। দেশে অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের ব্যাপকতার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান বলেন, এই খাতে শ্রমিক আইন বাস্তবায়ন করা সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শ্রম অধিদপ্তর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় পরিচালক মো. বেল্লাল হোসেন শেখ বলেন, মন্ত্রণালয় একটি ডাটাবেজ তৈরির কাজ শেষ করেছে। এর মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন ও বিরোধ নিষ্পত্তি সম্পর্কিত তথ্য ও উপাত্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়া সম্ভব হবে।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন মনে করেন, দেশের উন্নতি ও শ্রমিকের উন্নয়নের স্বার্থে শ্রম আইন প্রয়োগ করা উচিৎ। শুধু বাইরের চাপে নয়। আইন সংস্কার দেশীয় প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে করার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল দীপু। তবে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম মনে করেন, গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শিল্পে বৈশ্বিক সংযুক্তি থাকায়, আইন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলেই তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ)-এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সংলাপে আরেকজন আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করে বলেন, ক্রেতাদের আরও দায়িত্ববান ভূমিকা পালন করতে হবে। বৈশ্বিক পর্যায়ের শ্রমিক আইন মানতে, ক্রেতাদের বৈশ্বিক পর্যায়ের দাম নিশ্চিত করতে হবে, যা বাংলাদেশের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কাঠামোগত দুর্বলতা এবং প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জগুলোকে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার দরকার আছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে শ্রম আইন ও অধিকার নিশ্চিতের গুরুত্ব দেন।

সংলাপে সরকারি কর্মকর্তারা, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মতামত তুলে ধরেন