ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল সংস্কার প্রকল্প

ব্যয় হবে এক হাজার কোটি টাকা

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খালগুলো সংস্কার করার প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)’র মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, খালগুলোকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে তা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠিয়েছি। প্রায় এক হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি এ প্রকল্পের আওতায় আমরা খালগুলোর পাশে সাইকেল লেন, ওয়াকওয়ে এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। সবকিছু মিলিয়ে এগুলো আবার যেন দখলের পাঁয়তারা না থাকে এবং জনগণ যেন একটি মানসম্পন্ন জীবনযাপন করতে পারে সে বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে আমরা প্রকল্প প্রণয়ন করেছি। আমরা আশাবাদী, আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিও যদি এই প্রকল্পটা পাস হয়, আমরা যদি আগামী বর্ষা মৌসুমের পরে সেপ্টেম্বর নাগাদ কাজ আরম্ভ করতে পারি, তাহলে আমরা দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।

গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ‘মতিঝিল পার্ক’ এর উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফি, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চলমান খাল দখলমুক্ত অভিযান এবং বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, গত বছর যে সব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছিল, সে সব জায়গায় আমরা কিছু অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছি এবং তার নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবায়ন করছি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, এ পর্যন্ত আমরা যত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি, তা নিজস্ব অর্থায়নে করেছি এবং আগামী মার্চ পর্যন্ত যে কার্যক্রমগুলো আমরা করব বলে পরিকল্পনা নিয়েছি, সেটাও পুরোটাই নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে। জলাবদ্ধতার দূরীকরণে এসব অবকাঠামো উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার মতো এবং বর্জ্য অপসারণে ২০-২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই পুরো খরচ আমরা নিজস্ব অর্থায়ন হতেই ব্যয় করব।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘পুরো এই দখলমুক্ত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য যে সব যান-যন্ত্রপাতি প্রয়োজন, সে রকম যান-যন্ত্রপাতি এখনও আমাদের কাছে নেই। যেমন- আমরা ওয়াসার কাছ থেকে লং-বুম চেয়েছি, সেটি এখনও আমরা পাইনি। যন্ত্রপাতি পেলে আমাদের কার্যক্রমটা আমরা ত্বরান্বিত করতে পারব। তারপরও আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রেখেছি। আগামী মার্চের মধ্যেই আমরা এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চাই। ২০৪১ সালের আগেই উন্নত ঢাকা উপহার দেয়া হবে।’ এর আগে তিনি নগরীর জিরানী খালের জোর ভিটা পয়েন্ট, কদমতলী ব্রিজসংলগ্ন উচ্ছেদ অভিযান ও মান্ডা ব্রিজসংলগ্ন উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন এবং নবনির্মিত যাত্রাবাড়ী ফুটওভার ব্রিজ, শাখারী বাজার ফুটওভার ব্রিজ ও নয়াবাজার ফুটওভার ব্রিজের উদ্বোধন করেন।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল সংস্কার প্রকল্প

ব্যয় হবে এক হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্কারের লক্ষ্যে খাল পরিদর্শনে ঢাকা উত্তরের মেয়র -সংবাদ

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খালগুলো সংস্কার করার প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)’র মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, খালগুলোকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে তা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠিয়েছি। প্রায় এক হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি এ প্রকল্পের আওতায় আমরা খালগুলোর পাশে সাইকেল লেন, ওয়াকওয়ে এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। সবকিছু মিলিয়ে এগুলো আবার যেন দখলের পাঁয়তারা না থাকে এবং জনগণ যেন একটি মানসম্পন্ন জীবনযাপন করতে পারে সে বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে আমরা প্রকল্প প্রণয়ন করেছি। আমরা আশাবাদী, আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিও যদি এই প্রকল্পটা পাস হয়, আমরা যদি আগামী বর্ষা মৌসুমের পরে সেপ্টেম্বর নাগাদ কাজ আরম্ভ করতে পারি, তাহলে আমরা দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।

গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ‘মতিঝিল পার্ক’ এর উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফি, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চলমান খাল দখলমুক্ত অভিযান এবং বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, গত বছর যে সব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছিল, সে সব জায়গায় আমরা কিছু অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছি এবং তার নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবায়ন করছি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, এ পর্যন্ত আমরা যত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি, তা নিজস্ব অর্থায়নে করেছি এবং আগামী মার্চ পর্যন্ত যে কার্যক্রমগুলো আমরা করব বলে পরিকল্পনা নিয়েছি, সেটাও পুরোটাই নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে। জলাবদ্ধতার দূরীকরণে এসব অবকাঠামো উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার মতো এবং বর্জ্য অপসারণে ২০-২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই পুরো খরচ আমরা নিজস্ব অর্থায়ন হতেই ব্যয় করব।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘পুরো এই দখলমুক্ত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য যে সব যান-যন্ত্রপাতি প্রয়োজন, সে রকম যান-যন্ত্রপাতি এখনও আমাদের কাছে নেই। যেমন- আমরা ওয়াসার কাছ থেকে লং-বুম চেয়েছি, সেটি এখনও আমরা পাইনি। যন্ত্রপাতি পেলে আমাদের কার্যক্রমটা আমরা ত্বরান্বিত করতে পারব। তারপরও আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রেখেছি। আগামী মার্চের মধ্যেই আমরা এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চাই। ২০৪১ সালের আগেই উন্নত ঢাকা উপহার দেয়া হবে।’ এর আগে তিনি নগরীর জিরানী খালের জোর ভিটা পয়েন্ট, কদমতলী ব্রিজসংলগ্ন উচ্ছেদ অভিযান ও মান্ডা ব্রিজসংলগ্ন উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন এবং নবনির্মিত যাত্রাবাড়ী ফুটওভার ব্রিজ, শাখারী বাজার ফুটওভার ব্রিজ ও নয়াবাজার ফুটওভার ব্রিজের উদ্বোধন করেন।