কুষ্টিয়ার এসপিকে হাইকোর্টে তলব

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসীন হাসানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ও মারমুখী আচরণ করায় পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এর আগে কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের দুর্ব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগ তুলে বিচার চেয়ে আবেদন করেন কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসান। গত ১৯ জানুয়ারি ওই এসপির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরকেও অভিযোগপত্রের একটি অনুলিপি পাঠানো হয়। এছাড়াও একই ঘটনায় আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের আইজির দপ্তরেও আবেদনটির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। এরপর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এসপির ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে তলবের আদেশ দিলেন।

এদিকে এসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আবেদনে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসান বলেন, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। এরপরে ১৬ জানুয়ারি আমার দায়িত্বপালন অবস্থায় সকাল ১০টায় ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে অবস্থান কালে জনৈক ভোটারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করি। সেখানে কিছু ব্যক্তিকে ভোটকেন্দ্রের বুথের ভেতর লম্বা বেঞ্চে পুলিং এজেন্টদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখি। তখন তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তারা পরিচয়পত্র না দেখিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরিত এ ফোর সাইজের কাগজ দেখান।

আমি সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বুথের বাইরে ডাকি। কথা বলা শুরু করতেই ওই ভোট কেন্দ্রে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত ৪০/৫০ জন ফোর্সসহ প্রবেশ করেন। তিনি প্রবেশ করেই প্রিজাইডিং অফিসারকে উচ্চস্বরে তলব করেন। তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন ফোর্স প্রিজাইডিং অফিসারকে আমার সঙ্গে কথা বলতে না দিয়েই তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপাচাপি করেন। তখন আমি নিজের পরিচয় দিয়ে বলি প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে একটি বিষয়ে কথা বলছি। কথা শেষ হলে উনাকে নিয়ে যান।

আরও খবর
সময়োচিত পদক্ষেপে করোনাকালেও বিশ্বমন্দা এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী
ইশরাত নিশাত স্মরণে ‘এক জীবনের থিয়েটার’ অনুষ্ঠান
বরগুনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মনোজ্ঞ প্রকাশনা
প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে করোনা বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ অর্থমন্ত্রী
মাদকের এডিসহ বরখাস্ত ৫
রাজশাহীতে বিয়ের শর্তে চিকিৎসকের জামিন
ঘাতক চালক রিমান্ডে
২৭টি ফ্ল্যাট কর্মচারীদের অবৈধ দখলে
কারাগারে নয়, বই হাতে সংশোধনে পাঠালেন আদালত
খেলার মাঠ ও বিনোদনকেন্দ্রের উদ্যোগ নেয়া হবে রেজাউল
হতদরিদ্রদের আবাসন সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেব শাহাদাত
সব ছিনিয়ে নিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দিত ওরা
সবুজ শাকের ডগায় বেঁচে থাকার স্বপ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ

কুষ্টিয়ার এসপিকে হাইকোর্টে তলব

আদালত বার্তা পরিবেশক

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসীন হাসানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ও মারমুখী আচরণ করায় পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এর আগে কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের দুর্ব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগ তুলে বিচার চেয়ে আবেদন করেন কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসান। গত ১৯ জানুয়ারি ওই এসপির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরকেও অভিযোগপত্রের একটি অনুলিপি পাঠানো হয়। এছাড়াও একই ঘটনায় আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের আইজির দপ্তরেও আবেদনটির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। এরপর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এসপির ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে তলবের আদেশ দিলেন।

এদিকে এসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আবেদনে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসান বলেন, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। এরপরে ১৬ জানুয়ারি আমার দায়িত্বপালন অবস্থায় সকাল ১০টায় ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে অবস্থান কালে জনৈক ভোটারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করি। সেখানে কিছু ব্যক্তিকে ভোটকেন্দ্রের বুথের ভেতর লম্বা বেঞ্চে পুলিং এজেন্টদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখি। তখন তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তারা পরিচয়পত্র না দেখিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরিত এ ফোর সাইজের কাগজ দেখান।

আমি সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বুথের বাইরে ডাকি। কথা বলা শুরু করতেই ওই ভোট কেন্দ্রে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত ৪০/৫০ জন ফোর্সসহ প্রবেশ করেন। তিনি প্রবেশ করেই প্রিজাইডিং অফিসারকে উচ্চস্বরে তলব করেন। তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন ফোর্স প্রিজাইডিং অফিসারকে আমার সঙ্গে কথা বলতে না দিয়েই তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপাচাপি করেন। তখন আমি নিজের পরিচয় দিয়ে বলি প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে একটি বিষয়ে কথা বলছি। কথা শেষ হলে উনাকে নিয়ে যান।