প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে করোনা বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে অপ্রত্যাশিত বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বির্পযয় থেকে বাংলাদেশ সফলভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলন, করোনা সংকট মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অর্থমন্ত্রী আজ সংসদে বাজেট ২০২০-২১ : প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলেন। তিনি এ প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কিংবদন্তি ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরর্দশী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে অসামান্য সাফল্যের সঙ্গে অতি সম্প্রতি সরকার পরিচালনায় এক যুগ অতিক্রম করেছে। অপ্রত্যাশিত অভিঘাত করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বির্পযয় হতে ঘুরে দাঁড়ানোর যুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। তার বিচক্ষণ দূরদৃষ্টিতে এই সংকটময় পরিস্থিতির ভয়াবহতা শুরুতেই অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী র্নিদেশনায় সরকার এ বৈশ্বিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সফল হচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকা- চালু রাখার জন্য একের পর এক তিনি এ পর্যন্ত মোট ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা, যা দেশের জিডিপি’র ৪.৪৪ শতাংশ। সবাইকে স্বীকার করতে হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি বিরল এবং সাহসী পদক্ষেপ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী থেকে উত্তরণে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে, প্রবাস আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ, মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক চলকসমূহের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। টাকা-ডলার বিনিময় হার দীর্ঘদিন যাবত স্থিতিশীল রয়েছে।

তিনি বলেন, কোভিডপূর্ব এক দশক ধরে দেশের জিডিপি ক্রমাগত হারে বেড়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮.১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল। এটা ছিল এশিয়ার মধ্যে সর্ব্বোচ্চ। করোনা মহামারীজনিত বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশের উচ্চপ্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা কিছুটা শ্লথ হয়েছে। তারপরেও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, যেখানে চীন ও ভিয়েতনাম ছাড়া এশিয়ার উল্লেখযোগ্য অন্য সব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক। মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে।

আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, উচ্চপ্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন শেষে সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে করোনা বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ অর্থমন্ত্রী

বাসস

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে অপ্রত্যাশিত বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বির্পযয় থেকে বাংলাদেশ সফলভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলন, করোনা সংকট মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অর্থমন্ত্রী আজ সংসদে বাজেট ২০২০-২১ : প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলেন। তিনি এ প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কিংবদন্তি ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরর্দশী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে অসামান্য সাফল্যের সঙ্গে অতি সম্প্রতি সরকার পরিচালনায় এক যুগ অতিক্রম করেছে। অপ্রত্যাশিত অভিঘাত করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বির্পযয় হতে ঘুরে দাঁড়ানোর যুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। তার বিচক্ষণ দূরদৃষ্টিতে এই সংকটময় পরিস্থিতির ভয়াবহতা শুরুতেই অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী র্নিদেশনায় সরকার এ বৈশ্বিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সফল হচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকা- চালু রাখার জন্য একের পর এক তিনি এ পর্যন্ত মোট ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা, যা দেশের জিডিপি’র ৪.৪৪ শতাংশ। সবাইকে স্বীকার করতে হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি বিরল এবং সাহসী পদক্ষেপ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী থেকে উত্তরণে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে, প্রবাস আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ, মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক চলকসমূহের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। টাকা-ডলার বিনিময় হার দীর্ঘদিন যাবত স্থিতিশীল রয়েছে।

তিনি বলেন, কোভিডপূর্ব এক দশক ধরে দেশের জিডিপি ক্রমাগত হারে বেড়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮.১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল। এটা ছিল এশিয়ার মধ্যে সর্ব্বোচ্চ। করোনা মহামারীজনিত বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশের উচ্চপ্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা কিছুটা শ্লথ হয়েছে। তারপরেও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, যেখানে চীন ও ভিয়েতনাম ছাড়া এশিয়ার উল্লেখযোগ্য অন্য সব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক। মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে।

আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, উচ্চপ্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন শেষে সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।