রাজশাহীতে বিয়ের শর্তে চিকিৎসকের জামিন

রাজশাহীতে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীকে বিয়ের শর্তে কারাগারে থাকা এক চিকিৎসকের জামিন দেয়া হয়েছে। গতকাল রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মনসুর আলম এই আদেশ দেন। কারাগার থেকে জামিন পাওয়ার পর আদালত চত্বরেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জামিন পাওয়া ওই চিকিৎসকের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। ভুক্তভোগী (২৭) একজন আইনজীবী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন রানার সঙ্গে ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিচয় ঘটে। এরপর তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। সেই ভিডিও চিত্র ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই নারীকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন সাখাওয়াত হোসেন।

পরে ওই নারী সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই মাসে মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এতদিন ওই চিকিৎসক কারাগারে ছিলেন। ওই নারীকে বিয়ের শর্তে গতকাল আদালত সাখাওয়াত হোসেনকে জামিন দেন। পরে আদালত চত্বরে ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন চিকিৎসক সাখাওয়াত।

আরও খবর
সময়োচিত পদক্ষেপে করোনাকালেও বিশ্বমন্দা এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী
ইশরাত নিশাত স্মরণে ‘এক জীবনের থিয়েটার’ অনুষ্ঠান
বরগুনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মনোজ্ঞ প্রকাশনা
কুষ্টিয়ার এসপিকে হাইকোর্টে তলব
প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে করোনা বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ অর্থমন্ত্রী
মাদকের এডিসহ বরখাস্ত ৫
ঘাতক চালক রিমান্ডে
২৭টি ফ্ল্যাট কর্মচারীদের অবৈধ দখলে
কারাগারে নয়, বই হাতে সংশোধনে পাঠালেন আদালত
খেলার মাঠ ও বিনোদনকেন্দ্রের উদ্যোগ নেয়া হবে রেজাউল
হতদরিদ্রদের আবাসন সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেব শাহাদাত
সব ছিনিয়ে নিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দিত ওরা
সবুজ শাকের ডগায় বেঁচে থাকার স্বপ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ধর্ষণ ঘটনায়

রাজশাহীতে বিয়ের শর্তে চিকিৎসকের জামিন

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহীতে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীকে বিয়ের শর্তে কারাগারে থাকা এক চিকিৎসকের জামিন দেয়া হয়েছে। গতকাল রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মনসুর আলম এই আদেশ দেন। কারাগার থেকে জামিন পাওয়ার পর আদালত চত্বরেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জামিন পাওয়া ওই চিকিৎসকের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। ভুক্তভোগী (২৭) একজন আইনজীবী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন রানার সঙ্গে ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিচয় ঘটে। এরপর তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। সেই ভিডিও চিত্র ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই নারীকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন সাখাওয়াত হোসেন।

পরে ওই নারী সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই মাসে মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এতদিন ওই চিকিৎসক কারাগারে ছিলেন। ওই নারীকে বিয়ের শর্তে গতকাল আদালত সাখাওয়াত হোসেনকে জামিন দেন। পরে আদালত চত্বরে ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই নারীকে বিয়ে করেন চিকিৎসক সাখাওয়াত।