অবৈধ গ্যাস সংযোগ যারা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

অবৈধ গ্যাসের লাইন রাজধানীর গণ্ডি পেরিয়েছে অনেক আগেই। ঢাকা ছাড়িয়ে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জেও পারি জমিয়েছে হাজারো অবৈধ লাইন। লাইন গেছে ব্রিজের ওপর দিয়ে, গাছের ওপর দিয়ে। প্রকাশ্যে চুরি হচ্ছে গ্যাস। তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। বাস্তবে অনেক অবৈধ সংযোগ বহাল তবিয়তে আছে।

গ্যাস সংকটের কারণে আবাসিক খাতে নতুন সংযোগ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অথচ বছরের পর বছর ধরে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে রয়েছে হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এসব সংযোগ দেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানির আওতাভুক্ত এলাকায়। এর আগে শুধু রাজধানীর আশপাশ এলাকায় ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অবৈধ গ্যাসলাইন শনাক্ত করা হয়েছিল। টাকার বিনিময়ে অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়। বলাবাহুল্য এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। তিতাসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঠিকাদার, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট এই টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। অবৈধ সংযোগের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, মামলাও করে। সংযোগ নেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কখনও কখনও ব্যবস্থা নেয়া হলেও যারা অবৈধ সংযোগ দেয় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এ কারণেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে না।

অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে যে চক্র তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তিতাসের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোম্পানিটির দুর্নীতির ২২টি উৎস চিহ্নিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৯ সালের এপ্রিলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বন্ধে দুদক ১২ দফা সুপারিশও করেছিল। এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে কিনা সেটা জানা জরুরি।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

অবৈধ গ্যাস সংযোগ যারা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

অবৈধ গ্যাসের লাইন রাজধানীর গণ্ডি পেরিয়েছে অনেক আগেই। ঢাকা ছাড়িয়ে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জেও পারি জমিয়েছে হাজারো অবৈধ লাইন। লাইন গেছে ব্রিজের ওপর দিয়ে, গাছের ওপর দিয়ে। প্রকাশ্যে চুরি হচ্ছে গ্যাস। তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। বাস্তবে অনেক অবৈধ সংযোগ বহাল তবিয়তে আছে।

গ্যাস সংকটের কারণে আবাসিক খাতে নতুন সংযোগ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অথচ বছরের পর বছর ধরে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে রয়েছে হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এসব সংযোগ দেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানির আওতাভুক্ত এলাকায়। এর আগে শুধু রাজধানীর আশপাশ এলাকায় ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অবৈধ গ্যাসলাইন শনাক্ত করা হয়েছিল। টাকার বিনিময়ে অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়। বলাবাহুল্য এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। তিতাসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঠিকাদার, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট এই টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। অবৈধ সংযোগের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, মামলাও করে। সংযোগ নেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কখনও কখনও ব্যবস্থা নেয়া হলেও যারা অবৈধ সংযোগ দেয় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এ কারণেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে না।

অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে যে চক্র তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তিতাসের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোম্পানিটির দুর্নীতির ২২টি উৎস চিহ্নিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৯ সালের এপ্রিলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বন্ধে দুদক ১২ দফা সুপারিশও করেছিল। এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে কিনা সেটা জানা জরুরি।