সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয় এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগান

দফায় দফায় ব্যয় বাড়ানো উন্নয়ন প্রকল্পের অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। এই ‘নিয়মের’ ব্যত্যয় ঘটতে যাচ্ছে ‘দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতু’ প্রকল্পে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, আট হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার এ প্রকল্পের ব্যয় কমে হবে সাত হাজার ২২ কোটি টাকা। সাশ্রয় হবে এক হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের অধীন তিন সেতুর ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ব্যয় কমানোর এ-সংক্রান্ত একটি সংশোধনী প্রস্তাব উঠবে পরবর্তী একনেক সভায়।

সাধারণত ব্যয় বাড়ানোর উদ্দেশে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করা হয়। ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ নামের এক প্রকল্পের অধীনে ৩ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩০টি সেতু নির্মাণের কথা ছিল। সেই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা। সমীক্ষা না করার কারণে উক্ত প্রকল্পে অতিরিক্ত ২ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সেতু তৈরির কাজে এক প্রকল্পে যখন ব্যয় কমছে, তখন একই ধরনের আরেক প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। ‘দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতু’ প্রকল্পের পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, যথাযথ সমীক্ষা করে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, এটা বাস্তবায়নে জোরদার নজরদারি চালানো হয়েছে। সঠিক সমীক্ষা আর কড়া নজরদারি যে প্রকল্প বাস্তবায়নে কতটা জরুরি সেটা তার বক্তব্যে প্রকাশ পায়। ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে অতি সহজেই রাষ্ট্রের টাকা সাশ্রয় করা যায়, ঠিক সময়ে নিশ্চিত করা যায় জনগণের কল্যাণ। দেশে রাজনৈতিক চাপে অনেক প্রকল্প নেয়া হয়। সিংহভাগ প্রকল্পই নির্ধারিত সময় বা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হয় না। বছরের পর বছর কাজ ঝুলে থাকে।

উন্নয়ন প্রকল্পে বারবার ব্যয় বাড়ানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকবার প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি প্রাক্কলিত ব্যয় ও সময়ে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ‘দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতু’ প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়া গেলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয় এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগান

দফায় দফায় ব্যয় বাড়ানো উন্নয়ন প্রকল্পের অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। এই ‘নিয়মের’ ব্যত্যয় ঘটতে যাচ্ছে ‘দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতু’ প্রকল্পে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, আট হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার এ প্রকল্পের ব্যয় কমে হবে সাত হাজার ২২ কোটি টাকা। সাশ্রয় হবে এক হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের অধীন তিন সেতুর ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ব্যয় কমানোর এ-সংক্রান্ত একটি সংশোধনী প্রস্তাব উঠবে পরবর্তী একনেক সভায়।

সাধারণত ব্যয় বাড়ানোর উদ্দেশে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করা হয়। ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ নামের এক প্রকল্পের অধীনে ৩ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩০টি সেতু নির্মাণের কথা ছিল। সেই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা। সমীক্ষা না করার কারণে উক্ত প্রকল্পে অতিরিক্ত ২ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সেতু তৈরির কাজে এক প্রকল্পে যখন ব্যয় কমছে, তখন একই ধরনের আরেক প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। ‘দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতু’ প্রকল্পের পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, যথাযথ সমীক্ষা করে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, এটা বাস্তবায়নে জোরদার নজরদারি চালানো হয়েছে। সঠিক সমীক্ষা আর কড়া নজরদারি যে প্রকল্প বাস্তবায়নে কতটা জরুরি সেটা তার বক্তব্যে প্রকাশ পায়। ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে অতি সহজেই রাষ্ট্রের টাকা সাশ্রয় করা যায়, ঠিক সময়ে নিশ্চিত করা যায় জনগণের কল্যাণ। দেশে রাজনৈতিক চাপে অনেক প্রকল্প নেয়া হয়। সিংহভাগ প্রকল্পই নির্ধারিত সময় বা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হয় না। বছরের পর বছর কাজ ঝুলে থাকে।

উন্নয়ন প্রকল্পে বারবার ব্যয় বাড়ানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকবার প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি প্রাক্কলিত ব্যয় ও সময়ে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ‘দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতু’ প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়া গেলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।