দক্ষ জনশক্তির অভাবে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে অন্যদেশে

কিশোরগঞ্জে ‘উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনার হয়েছে। সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, আমাদের দেশে দক্ষ জনশক্তির অভাবে বিদেশিরা এদেশে কাজ করায় প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির (নাসিব) যৌথ উদ্যোগে গতকাল সকালে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. আল আমিন সরকার। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অপর যুগ্ম-সচিব নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর প্রধান অতিথিসহ আলোচনায় অংশ নেন বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, নাসিব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মির্জা নূরুল গণি শোভন, জেলা চেম্বারের সভাপতি মুজিবুর রহমান বেলাল, জেলা নাসিব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

প্রবন্ধে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য উন্নত দেশের কাতারে যাওয়া। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল। সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অর্জন। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। যেকোন দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে অধিক উৎপাদনশীলতা। প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব বলে প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে উন্নয়নকামী বেশিরভাগ দেশ তার নাগরিকদের শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

অথচ শ্রমের উৎপাদনশীলতা বাংলাদেশে এখনও কম। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেলে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের অন্যান্য আর্থিক সুযোগ বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত শ্রমিকের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় আমরা উৎপাদনশীলতায় পিছিয়ে আছি।

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কিশোরগঞ্জে সেমিনারে বক্তারা

দক্ষ জনশক্তির অভাবে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে অন্যদেশে

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে ‘উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনার হয়েছে। সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, আমাদের দেশে দক্ষ জনশক্তির অভাবে বিদেশিরা এদেশে কাজ করায় প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির (নাসিব) যৌথ উদ্যোগে গতকাল সকালে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. আল আমিন সরকার। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অপর যুগ্ম-সচিব নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর প্রধান অতিথিসহ আলোচনায় অংশ নেন বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, নাসিব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মির্জা নূরুল গণি শোভন, জেলা চেম্বারের সভাপতি মুজিবুর রহমান বেলাল, জেলা নাসিব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

প্রবন্ধে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য উন্নত দেশের কাতারে যাওয়া। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল। সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অর্জন। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। যেকোন দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে অধিক উৎপাদনশীলতা। প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব বলে প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে উন্নয়নকামী বেশিরভাগ দেশ তার নাগরিকদের শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

অথচ শ্রমের উৎপাদনশীলতা বাংলাদেশে এখনও কম। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেলে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের অন্যান্য আর্থিক সুযোগ বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত শ্রমিকের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় আমরা উৎপাদনশীলতায় পিছিয়ে আছি।