যশোরের চৌগাছার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে সেখানে থেকে বাঁশের খুটিতে তার টেনে সেচযন্ত্রে সংযোগ দিয়ে চাষাবাদ করা হচ্ছে, যা অবৈধ। সরু তার দিয়ে মাঠে সংযোগ নেয়ায় ইতোমধ্যে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তিনজন। অভিযোগ পল্লী বিদ্যুত অফিসের এক কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে তাদের এই লাইন নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। যদিও ওই কর্মকর্তা তা অস্বীকার করছেন।
জানা গেছে, যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের মাকাপুর, মাধবপুর, রাজাপুর, বল্লভপুর, পুড়াপাড়াসহ আশেপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ বাড়িতে বিদ্যুত লাইনের সংযোগ নিয়ে পরে সেখান থেকে সরু তার টেনে মাঠে সেচযন্ত্র চালাচ্ছে। বাঁশের খুটি পুঁতে অর্ধকিলোমিটার এমনকি ১ কিলোমিটার দূরে লাইন টেনে নিয়েছেন। পল্লী বিদ্যুত আইনে যা অবৈধ। এলাকার মানুষের অভিযোগ পল্লী বিদ্যুতের পুড়াপাড়া অফিসের একজন কর্মকর্তা এভাবে অবৈধ লাইন নিয়ে যারা সেচযন্ত্র চালাচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তা চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন।
কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ি থেকে মাঠ পর্যন্ত নেয়া সরু তার এমনভাবে আইলের ওপর পড়ে থাকে যা সহজে দেখা যায় না। তারগুলোও অনেক সময় ছেঁড়া থাকে। দুই তারের সংযোগগুলোতেও অনেক সময় টেপ দেয়া থাকে না। মাঠ ঘুরে এমন অনেক তার দেখা গেছে। এসব তারে জড়িয়ে ইতোমধ্যে তিনজন মারা গেছে। এরা হলেন রাজাপুরের দুখু মিয়া, বল্লভপুরের আব্দার রহমান এবং মাকাপুরের মানোয়ার রহমান। মাকাপুর গ্রামের চাষী রহমান মিয়া, শহিদুল ইসলাম বলেন, মাঠে কাজ করতে গিয়ে অসতর্ক অবস্থায় যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই সাইড লাইনগুলো বন্ধ করা উচিত। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের কিছু কর্মকর্তা ওইসব চাষীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুযোগ নিয়ে তাদের সেচযন্ত্র চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন। পলী বিদ্যুত পুড়াপাড়া অফিসের ইনচার্জ জামাত আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখন বোরো মৌসুম। কেউ বাড়ির লাইন দিয়ে মাঠে নিয়ে সেচযন্ত্র চালাচ্ছে কিনা তার কাছে কোন তথ্য নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২
যশোর অফিস
যশোরের চৌগাছার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে সেখানে থেকে বাঁশের খুটিতে তার টেনে সেচযন্ত্রে সংযোগ দিয়ে চাষাবাদ করা হচ্ছে, যা অবৈধ। সরু তার দিয়ে মাঠে সংযোগ নেয়ায় ইতোমধ্যে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তিনজন। অভিযোগ পল্লী বিদ্যুত অফিসের এক কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে তাদের এই লাইন নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। যদিও ওই কর্মকর্তা তা অস্বীকার করছেন।
জানা গেছে, যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের মাকাপুর, মাধবপুর, রাজাপুর, বল্লভপুর, পুড়াপাড়াসহ আশেপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ বাড়িতে বিদ্যুত লাইনের সংযোগ নিয়ে পরে সেখান থেকে সরু তার টেনে মাঠে সেচযন্ত্র চালাচ্ছে। বাঁশের খুটি পুঁতে অর্ধকিলোমিটার এমনকি ১ কিলোমিটার দূরে লাইন টেনে নিয়েছেন। পল্লী বিদ্যুত আইনে যা অবৈধ। এলাকার মানুষের অভিযোগ পল্লী বিদ্যুতের পুড়াপাড়া অফিসের একজন কর্মকর্তা এভাবে অবৈধ লাইন নিয়ে যারা সেচযন্ত্র চালাচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তা চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন।
কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ি থেকে মাঠ পর্যন্ত নেয়া সরু তার এমনভাবে আইলের ওপর পড়ে থাকে যা সহজে দেখা যায় না। তারগুলোও অনেক সময় ছেঁড়া থাকে। দুই তারের সংযোগগুলোতেও অনেক সময় টেপ দেয়া থাকে না। মাঠ ঘুরে এমন অনেক তার দেখা গেছে। এসব তারে জড়িয়ে ইতোমধ্যে তিনজন মারা গেছে। এরা হলেন রাজাপুরের দুখু মিয়া, বল্লভপুরের আব্দার রহমান এবং মাকাপুরের মানোয়ার রহমান। মাকাপুর গ্রামের চাষী রহমান মিয়া, শহিদুল ইসলাম বলেন, মাঠে কাজ করতে গিয়ে অসতর্ক অবস্থায় যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই সাইড লাইনগুলো বন্ধ করা উচিত। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের কিছু কর্মকর্তা ওইসব চাষীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুযোগ নিয়ে তাদের সেচযন্ত্র চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন। পলী বিদ্যুত পুড়াপাড়া অফিসের ইনচার্জ জামাত আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখন বোরো মৌসুম। কেউ বাড়ির লাইন দিয়ে মাঠে নিয়ে সেচযন্ত্র চালাচ্ছে কিনা তার কাছে কোন তথ্য নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।