রাস্তায় ফেলে রাখা বৃদ্ধার পাশে ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটি-ইউএনও

রাস্তায় ফেলে রাখা এক বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটি। গত বুধবার দুপুরে জেলার হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা উপস্থিত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এ সময় খবর পেয়ে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ থানা পুলিশের কর্মকর্তারা। আশ^স্ত করা হয় তার বাকি জীবনের দায়ভার বহনের।

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের মৃত কেংকর আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৭০) এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতো নারগুন গ্রামে। এরমধ্যে ছেলে আব্দুস ছালাম (২৫) ঢাকায় কাজের সন্ধানে গিয়ে মারা যায়। পরে প্রতিবেশী তোফায়েল হোসেন ওই বৃদ্ধ নারীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তার বাকি জীবন দেখভালের কথা বলে বসতভিটাসহ ৬ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। এ বিষয়ে হরিপুর থানায় একাধিকবার গিয়েও কোন বিচার পায়নি।

পরে গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ওই ইউনিয়নের ঘাগড় তলা রাস্তায় পরে থাকা অসুস্থ অবস্থায় ফেলে দেয় তোফায়েলসহ কয়েকজন।

পরে পথচারীরা ভোর রাতে তাকে দেখতে পেয়ে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। দীর্ঘ এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলে কেউ তার খবর নেয়নি। ঘটনা জেনে রিপোর্টার ইউনিটির নেতারা ছুটে গিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করলে খবর পেয়ে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তার বাকি জীবন দেখভাল ও জমি উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন। ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, জমি রেজিস্ট্রি নেয়ার পর কয়েকবার থানায় গিয়ে সাহায্য চেয়েছি পুলিশ কোন সহযোগিতা করেনি। আপনারা আমার পাশে আসছেন আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনারাও ভাল থাকবেন। বাকি জীবনটা যেন আমার ভাল কাটে আপনারা ব্যবস্থা করে দেন।

রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম সুজন জানান, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ফাতেমা বেগমকে আর্থিক সহযোগীয় এগিয়ে এসেছি। আমাদের সাহায্যের কথা শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছুটে এসেছেন এবং তিনি আশ্বস্ত করেছে তার জমি উদ্ধারসহ বাকি জীবনের চলার বিষয়ে। হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আসাদুজ্জামান জানান ফাতেমা বেগম এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। তার চিকিৎসার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি।

এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল করিম জানান, তিনি পুরোপুরি সুস্থ হলে আমরা জমি উদ্ধারের বিষয়টিসহ তার বাকি জীবন চলার বিষয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করবো।

নারীকে আর্থিক সহযোগিতার সময় রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম সুজন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ লিটু, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, অর্থ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বকুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুস্প ও সাদেকুলসহ অনেকে।

আরও খবর
পবিস কর্তাদের যোগসাজশে বাড়ির সংযোগে সেচযন্ত্রে বিদ্যুৎ : মৃত্যু ৩
সিলেটে বিচারককে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা এসআই ক্লোজড
ভাণ্ডারিয়ায় বধ্যভূমি দখলে বাধা দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ওপর হামালা
চাটমোহরে মেয়র কাউন্সিলর শপথ
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে টেন্ডার অনিয়মের অভিযোগ
ছাত্র আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট থাকায় অপসারণ হচ্ছেন খুবির তিন শিক্ষক
টেকনাফে অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক
নড়াইলে শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
গ্রামে বসে পাইপে সুপেয় পানি পাচ্ছেন সাড়ে ৩ হাজার পরিবার
মির্জাপুরে জমি বিবাদে বোন খুন ভাই আটক
৩ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
বিষমুক্ত সবজি ফেরি ৪৫ বছর ধরে ক্রেতার ভরসা আরশেদ-গফুর
ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক : উৎপাদন হুমকিতে
৪ জেলায় সুখের নীড় পাচ্ছে ১২৭০ গৃহহীন পরিবার

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

রাস্তায় ফেলে রাখা বৃদ্ধার পাশে ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটি-ইউএনও

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, ঠাকুরগাঁও

রাস্তায় ফেলে রাখা এক বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটি। গত বুধবার দুপুরে জেলার হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা উপস্থিত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এ সময় খবর পেয়ে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ থানা পুলিশের কর্মকর্তারা। আশ^স্ত করা হয় তার বাকি জীবনের দায়ভার বহনের।

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের মৃত কেংকর আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৭০) এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতো নারগুন গ্রামে। এরমধ্যে ছেলে আব্দুস ছালাম (২৫) ঢাকায় কাজের সন্ধানে গিয়ে মারা যায়। পরে প্রতিবেশী তোফায়েল হোসেন ওই বৃদ্ধ নারীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তার বাকি জীবন দেখভালের কথা বলে বসতভিটাসহ ৬ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। এ বিষয়ে হরিপুর থানায় একাধিকবার গিয়েও কোন বিচার পায়নি।

পরে গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ওই ইউনিয়নের ঘাগড় তলা রাস্তায় পরে থাকা অসুস্থ অবস্থায় ফেলে দেয় তোফায়েলসহ কয়েকজন।

পরে পথচারীরা ভোর রাতে তাকে দেখতে পেয়ে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। দীর্ঘ এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলে কেউ তার খবর নেয়নি। ঘটনা জেনে রিপোর্টার ইউনিটির নেতারা ছুটে গিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করলে খবর পেয়ে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তার বাকি জীবন দেখভাল ও জমি উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন। ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, জমি রেজিস্ট্রি নেয়ার পর কয়েকবার থানায় গিয়ে সাহায্য চেয়েছি পুলিশ কোন সহযোগিতা করেনি। আপনারা আমার পাশে আসছেন আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনারাও ভাল থাকবেন। বাকি জীবনটা যেন আমার ভাল কাটে আপনারা ব্যবস্থা করে দেন।

রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম সুজন জানান, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ফাতেমা বেগমকে আর্থিক সহযোগীয় এগিয়ে এসেছি। আমাদের সাহায্যের কথা শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছুটে এসেছেন এবং তিনি আশ্বস্ত করেছে তার জমি উদ্ধারসহ বাকি জীবনের চলার বিষয়ে। হরিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আসাদুজ্জামান জানান ফাতেমা বেগম এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। তার চিকিৎসার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি।

এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল করিম জানান, তিনি পুরোপুরি সুস্থ হলে আমরা জমি উদ্ধারের বিষয়টিসহ তার বাকি জীবন চলার বিষয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করবো।

নারীকে আর্থিক সহযোগিতার সময় রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম সুজন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ লিটু, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, অর্থ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বকুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুস্প ও সাদেকুলসহ অনেকে।