জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২নং ডাহিয়া ইউনিয়নের সাত পুকুরিয়া গ্রামের পাশে চলন বিলের মধ্যেই ফসলি জমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। অপার সৌন্দর্যের মহিমায় মহিমান্বিত এই চলনবিলের মধ্যে পুকুর খনন করা হলে একদিকে যেমন সৌন্দর্য হারাবে বিল। অপরদিকে চারপাশের জমিতে সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতা, এমনটাই মনে করছেন গ্রামবাসী। খননকৃত জমির আশপাশের জমি মালিকরা বলছেন এইখানে ১৬-২০ বিঘা আবাদি জমির ওপরে খনন করা হচ্ছে পুকুর । আর এই পুকুর খনন করা হলে তাদের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। তাই প্রশাসনের নিকট তাদের আকুল আবেদন অনতিবিলম্বে যেন এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করে দেয়া হয় নইলে তারা বিপদগ্রস্ত হবেন। জমির মালিক আবুল কালাম হোসেন প্রতিবেদন কে জানান, তার জমি বিলের নিচু জায়গা। জলবদ্ধতা সবসময় হয়ে থাকে। এই জমি থেকে তিনি কোন কৃষি আবাদ করতে না। তাই বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত জমিতে খনন করছেন পুকুর। পাশের জমিতে যদি ফসল হয় তার জমিতে কেন ফসল হচ্ছে না এমন প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। পুকুর খননকারী সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদককে এই পুকুর খননের ছবি তুলতে দেখে চড়াও হয় এবং ছবি তোলার সময় ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তিনি জানান সকাল থেকে প্রায় ৫-১০ জন গণমাধ্যমকর্মী এসেছেন তাদের অর্থ দিয়ে বিদায় করা হয়েছে। তবে কোন কোন গণমাধ্যম কর্মী এসেছে তাদের নাম জিজ্ঞেস করলে, নাম বলতে অস্বীকার করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় ভেকুর কাছে এসে বেটারি খুলে নিয়ে যায় পরে নামমাত্র কিছু অর্থ জরিমানা করা হয় কিন্তু পরবর্তীতে আবারো একই জমিতে চলে ভেকু দ্বারা আবাদি জমি খনন ড্রম ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রয় করা হয়। এতে করে নষ্ট হয় রাস্তা ঘাট। এ ব্যাপারে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টা তিনি জানেন না, তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানালেন। এভাবেই শস্যভান্ডার খ্যাত নাটোরে সিংড়ার চলনবিলে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করলেও কোনোমতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না পুকুর খনন। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সিংড়ায় আবাদি জমি হারিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২
জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা
সংবাদদাতা, সিংড়া (নাটোর)
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২নং ডাহিয়া ইউনিয়নের সাত পুকুরিয়া গ্রামের পাশে চলন বিলের মধ্যেই ফসলি জমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। অপার সৌন্দর্যের মহিমায় মহিমান্বিত এই চলনবিলের মধ্যে পুকুর খনন করা হলে একদিকে যেমন সৌন্দর্য হারাবে বিল। অপরদিকে চারপাশের জমিতে সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতা, এমনটাই মনে করছেন গ্রামবাসী। খননকৃত জমির আশপাশের জমি মালিকরা বলছেন এইখানে ১৬-২০ বিঘা আবাদি জমির ওপরে খনন করা হচ্ছে পুকুর । আর এই পুকুর খনন করা হলে তাদের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। তাই প্রশাসনের নিকট তাদের আকুল আবেদন অনতিবিলম্বে যেন এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করে দেয়া হয় নইলে তারা বিপদগ্রস্ত হবেন। জমির মালিক আবুল কালাম হোসেন প্রতিবেদন কে জানান, তার জমি বিলের নিচু জায়গা। জলবদ্ধতা সবসময় হয়ে থাকে। এই জমি থেকে তিনি কোন কৃষি আবাদ করতে না। তাই বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত জমিতে খনন করছেন পুকুর। পাশের জমিতে যদি ফসল হয় তার জমিতে কেন ফসল হচ্ছে না এমন প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। পুকুর খননকারী সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদককে এই পুকুর খননের ছবি তুলতে দেখে চড়াও হয় এবং ছবি তোলার সময় ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তিনি জানান সকাল থেকে প্রায় ৫-১০ জন গণমাধ্যমকর্মী এসেছেন তাদের অর্থ দিয়ে বিদায় করা হয়েছে। তবে কোন কোন গণমাধ্যম কর্মী এসেছে তাদের নাম জিজ্ঞেস করলে, নাম বলতে অস্বীকার করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় ভেকুর কাছে এসে বেটারি খুলে নিয়ে যায় পরে নামমাত্র কিছু অর্থ জরিমানা করা হয় কিন্তু পরবর্তীতে আবারো একই জমিতে চলে ভেকু দ্বারা আবাদি জমি খনন ড্রম ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রয় করা হয়। এতে করে নষ্ট হয় রাস্তা ঘাট। এ ব্যাপারে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টা তিনি জানেন না, তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানালেন। এভাবেই শস্যভান্ডার খ্যাত নাটোরে সিংড়ার চলনবিলে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করলেও কোনোমতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না পুকুর খনন। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সিংড়ায় আবাদি জমি হারিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।