শপথ নেয়ার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ১৭টি নির্বাহী আদেশ জারি করেন বাইডেন। উদ্দেশ্য ট্রাম্প আমলের নীতিগুলো যত দ্রুত সম্ভব বদলে ফেলা। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে বাইডেন যত নির্বাহী আদেশ দিচ্ছেন, স্মারক ও নির্দেশনায় স্বাক্ষর দিচ্ছেন, তার একটি বড় অংশ করোনা মহামারী মোকাবিলাবিষয়ক এবং ট্রাম্প যেই নীতিগুলো প্রবর্তন করেছেন সেগুলো বাতিল করতে। শপথ নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ওভাল অফিসে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকেই অনেক কিছু শুরু করতে হবে। পরে হবে না। আমি যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের কাছে যেসব অঙ্গীকার করেছি, সেগুলো দিয়েই শুরু করছি, ‘বলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। কলমের খোঁচাতে তিনি ট্রাম্পের দেয়াল বানানোতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম দেশগুলো থেকে আসা মানুষদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেন। অনেকগুলো প্রগতিশীল নীতি এবং পরিবেশ ও বৈচিত্র্য বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত ট্রাম্প আমলে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল সেগুলো আবার গ্রহণ করেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার যে প্রক্রিয়া ট্রাম্প শুরু করেছিলেন সেগুলোও বাতিল করেন এ সময়। জলবায়ুবিষয়ক প্যারিস চুক্তিতে আবার যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার যে প্রক্রিয়া ট্রাম্প শুরু করেছিলেন সেটাও বাতিল করে দিয়েছেন বাইডেন। বরং সংক্রামক ব্যাধির আলোচিত বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় নেতৃত্ব দেবেন বলেও ঠিক করে দেন।
করোনা মহামারী বিষয়ে তার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে সরকারি কর্মক্ষেত্রে সব জায়গায় মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা। যেটা বরাবরই ট্রাম্প পাত্তা না দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বাইডেন করোনোভাইরাস মোকাবিলায় টিকা ও চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণে হোয়াইট হাউজে সমন্বয়কও নিয়োগ দেন। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এবং বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রথম দিনে বাইডেন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তার সবই ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি বাতিল ও জনগণকে দেয়া বাইডেনের প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রক্রিয়ার শুরু। জানুয়ারির প্রতিদিনই কোন না কোন সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করবেন বাইডেন। তার কার্যতালিকা দেখে জানিয়েছে সিএনএন। যেমন বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম পূর্ণাঙ্গ কার্যদিবসে করোনা মহামারী নিয়ে কাজ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট। এর পরের দিন কাজ করবেন অর্থনৈতিক ত্রাণ নিয়ে। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মীদের অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী যেমন ওষুধ ও বেকার বীমা নিয়ে কাজ করবেন। ফেব্রুয়ারিতে তিনি গুরুত্ব দেবেন বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুনরুদ্ধারে।
শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২
সংবাদ ডেস্ক |
শপথ নেয়ার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ১৭টি নির্বাহী আদেশ জারি করেন বাইডেন। উদ্দেশ্য ট্রাম্প আমলের নীতিগুলো যত দ্রুত সম্ভব বদলে ফেলা। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে বাইডেন যত নির্বাহী আদেশ দিচ্ছেন, স্মারক ও নির্দেশনায় স্বাক্ষর দিচ্ছেন, তার একটি বড় অংশ করোনা মহামারী মোকাবিলাবিষয়ক এবং ট্রাম্প যেই নীতিগুলো প্রবর্তন করেছেন সেগুলো বাতিল করতে। শপথ নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ওভাল অফিসে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকেই অনেক কিছু শুরু করতে হবে। পরে হবে না। আমি যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের কাছে যেসব অঙ্গীকার করেছি, সেগুলো দিয়েই শুরু করছি, ‘বলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। কলমের খোঁচাতে তিনি ট্রাম্পের দেয়াল বানানোতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম দেশগুলো থেকে আসা মানুষদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেন। অনেকগুলো প্রগতিশীল নীতি এবং পরিবেশ ও বৈচিত্র্য বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত ট্রাম্প আমলে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল সেগুলো আবার গ্রহণ করেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার যে প্রক্রিয়া ট্রাম্প শুরু করেছিলেন সেগুলোও বাতিল করেন এ সময়। জলবায়ুবিষয়ক প্যারিস চুক্তিতে আবার যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার যে প্রক্রিয়া ট্রাম্প শুরু করেছিলেন সেটাও বাতিল করে দিয়েছেন বাইডেন। বরং সংক্রামক ব্যাধির আলোচিত বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় নেতৃত্ব দেবেন বলেও ঠিক করে দেন।
করোনা মহামারী বিষয়ে তার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে সরকারি কর্মক্ষেত্রে সব জায়গায় মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা। যেটা বরাবরই ট্রাম্প পাত্তা না দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বাইডেন করোনোভাইরাস মোকাবিলায় টিকা ও চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণে হোয়াইট হাউজে সমন্বয়কও নিয়োগ দেন। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এবং বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রথম দিনে বাইডেন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তার সবই ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি বাতিল ও জনগণকে দেয়া বাইডেনের প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রক্রিয়ার শুরু। জানুয়ারির প্রতিদিনই কোন না কোন সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করবেন বাইডেন। তার কার্যতালিকা দেখে জানিয়েছে সিএনএন। যেমন বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম পূর্ণাঙ্গ কার্যদিবসে করোনা মহামারী নিয়ে কাজ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট। এর পরের দিন কাজ করবেন অর্থনৈতিক ত্রাণ নিয়ে। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মীদের অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী যেমন ওষুধ ও বেকার বীমা নিয়ে কাজ করবেন। ফেব্রুয়ারিতে তিনি গুরুত্ব দেবেন বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুনরুদ্ধারে।