তিন মামলা : আসামি শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী 

চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজির দেউড়ির নুর আহমদ সড়ক এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নগর ছাত্রলীগের সদস্য মোশাররফুল হক চৌধুরী পাভেল। গতকাল সকালে কোতোয়ালি থানায় তিনি এ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন। সর্বমোট শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। নগরীর কোতোয়ালিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাকলিয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর যুবদলের নেতাকর্মীদের হামলা এবং আকবর শাহ এলাকায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ওপর মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের প্রচারণা থেকে হামলার অভিযোগে এসব মামলা দায়ের হয়েছে।

গত বুধবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় ৩৫ জন, বাকলিয়া থানায় ২৪ জন এবং আকবর শাহ থানায় ৮১ জনকে আসামি করে আলাদাভাবে এসব মামলা দায়ের হয়েছে। গত বুধবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার নুর আহমদ সড়কে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমনের একটি যৌথ নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, মেয়র প্রার্থীর ক্যাম্প ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোশারুফুল হক চৌধুরী পাভেল বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ওসি নেজাম জানিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে নগরীর বাকলিয়া থানার বলিরহাটে কাছাকাছি স্থানে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের পক্ষে যুবদলের নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। প্রচারণার একপর্যায়ে যুবদল নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগ এনে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা করে।

বাকলিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, ইমাম হোসেন সাগর নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াছিন চৌধুরী আছুর ছেলে সানাউল্লাহ সানিসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে একজনসহ মোট চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন এজাহারভুক্ত এবং বাকি দু’জন পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি রুহুল আমিন।

ওইদিন দুপুরে নগরীর আকবর শাহ থানার পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলাকালে অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের গণসংযোগের সময় স্কুলের ভেতরে ঢুকতে চেয়ে বাধা পেয়ে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা বলে এই হামলা করে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ ফজলুল করিম।

আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় নগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলমসহ ৮১ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। কলেজের অফিস সহকারী বাপ্পু কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চসিক নির্বাচন : মেয়র প্রার্থীর ক্যাম্প ভাঙচুর-হামলা

তিন মামলা : আসামি শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী 

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজির দেউড়ির নুর আহমদ সড়ক এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নগর ছাত্রলীগের সদস্য মোশাররফুল হক চৌধুরী পাভেল। গতকাল সকালে কোতোয়ালি থানায় তিনি এ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন। সর্বমোট শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। নগরীর কোতোয়ালিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাকলিয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর যুবদলের নেতাকর্মীদের হামলা এবং আকবর শাহ এলাকায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ওপর মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের প্রচারণা থেকে হামলার অভিযোগে এসব মামলা দায়ের হয়েছে।

গত বুধবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় ৩৫ জন, বাকলিয়া থানায় ২৪ জন এবং আকবর শাহ থানায় ৮১ জনকে আসামি করে আলাদাভাবে এসব মামলা দায়ের হয়েছে। গত বুধবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার নুর আহমদ সড়কে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমনের একটি যৌথ নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, মেয়র প্রার্থীর ক্যাম্প ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় নগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোশারুফুল হক চৌধুরী পাভেল বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ওসি নেজাম জানিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে নগরীর বাকলিয়া থানার বলিরহাটে কাছাকাছি স্থানে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের পক্ষে যুবদলের নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। প্রচারণার একপর্যায়ে যুবদল নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগ এনে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা করে।

বাকলিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, ইমাম হোসেন সাগর নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াছিন চৌধুরী আছুর ছেলে সানাউল্লাহ সানিসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে একজনসহ মোট চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন এজাহারভুক্ত এবং বাকি দু’জন পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি রুহুল আমিন।

ওইদিন দুপুরে নগরীর আকবর শাহ থানার পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলাকালে অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের গণসংযোগের সময় স্কুলের ভেতরে ঢুকতে চেয়ে বাধা পেয়ে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা বলে এই হামলা করে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ ফজলুল করিম।

আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় নগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলমসহ ৮১ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। কলেজের অফিস সহকারী বাপ্পু কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।