বাইডেনের জন্য একটি ‘ঔদার্যপূর্ণ’ চিঠি লিখে গেছেন ট্রাম্প

বাইরে যা কিছুই চলুক না কেন, যাওয়ার বেলায় বাইডেনকে একটি চিঠি লিখে গেছেন ট্রাম্প। সেই চিঠি তিনি লিখেছেন ‘অত্যন্ত আন্তরিক ভাষায়, হৃদয়ের ঔদার্য’ দিয়ে। একথা স্বয়ং বাইডেন জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।

দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিনের নির্বাহী আদেশগুলোতে স্বাক্ষরের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে খুব আন্তরিক একটি চিঠি লিখে গেছেন। ‘কিন্তু যেহেতু চিঠিটি ব্যক্তিগত, তাই তার সঙ্গে কথা বলার আগে আমি এ নিয়ে বিস্তারিত বলব না। তবে সেটি খুবই ঔদার্যের সঙ্গে লিখেছেন তিনি,’ বলেন বাইডেন। ট্রাম্পের একজন ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন ব্যক্তিগতভাবে লেখা ওই চিঠিতে ট্রাম্প দেশের সাফল্য কামনা করেছেন এবং দেশের প্রতি খেয়াল রাখতে নতুন প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রেখেছেন।

ট্রাম্প মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার আগে তার কার্যতালিকায় যে অনেকগুলো বিষয় ছিল তার মধ্যে এ চিঠি ছিল একটি।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টকে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের চিঠি লেখার রীতিটি আধুনিক। এ চিঠি বিদায়ী প্রেসিডেন্টরা পরবর্তী প্রেসিডেন্টের জন্য তাদের দাপ্তরিক টেবিলে রেখে যান। চিঠি বিষয়ে জো বাইডেনের বক্তব্যের পর চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে বুধবার রাতে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কিছু বলতে রাজি হননি হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।

তিনি বলেন, এ চিঠিটা ব্যক্তিগত। বাইডেন আপনাদের সবাইকে জানিয়েছেন, এটি খুবই উদার ও অমায়িক ভাষায় লেখা। চিঠিটি পড়ে তার এ অনুভূতি হয়েছে। তবে চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে একপাক্ষিকভাবে কথা বলার চিন্তা তিনি করছেন না। জো বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের অনেক রীতি না মানলেও চিঠি লিখতে যে তিনি ভোলেননি তাতে অনেকেই অবাক হতে পারেন।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার জন্য একটি চিঠি লিখে গিয়েছিলেন তখনকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পরে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, চিঠিটি পড়ার পর তিনি এতটা আলোড়িত হয়েছিলেন যে ততক্ষণাৎ ওবামাকে ফোন করেছিলেন।

ওবামা তখন বিমানে হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাচ্ছিলেন। ফোনটি তিনি ধরতে পারেননি। পরে ওবামার পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউজের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয় ট্রাম্প তাকে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলেন। তার ধন্যবাদ যেন ওবামার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।

ট্রাম্প পরে এবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওবামার চিঠি প্রসঙ্গে বলেন, তার কাছে ওবামার লেখা চিঠিটি ছিল লম্বা, জটিল এবং চিন্তাশীলতাপ্রসূত। পরে চিঠিটি তিনি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেন তার কার্যালয়ে।

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বাইডেনের জন্য একটি ‘ঔদার্যপূর্ণ’ চিঠি লিখে গেছেন ট্রাম্প

image

সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

বাইরে যা কিছুই চলুক না কেন, যাওয়ার বেলায় বাইডেনকে একটি চিঠি লিখে গেছেন ট্রাম্প। সেই চিঠি তিনি লিখেছেন ‘অত্যন্ত আন্তরিক ভাষায়, হৃদয়ের ঔদার্য’ দিয়ে। একথা স্বয়ং বাইডেন জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।

দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিনের নির্বাহী আদেশগুলোতে স্বাক্ষরের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে খুব আন্তরিক একটি চিঠি লিখে গেছেন। ‘কিন্তু যেহেতু চিঠিটি ব্যক্তিগত, তাই তার সঙ্গে কথা বলার আগে আমি এ নিয়ে বিস্তারিত বলব না। তবে সেটি খুবই ঔদার্যের সঙ্গে লিখেছেন তিনি,’ বলেন বাইডেন। ট্রাম্পের একজন ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন ব্যক্তিগতভাবে লেখা ওই চিঠিতে ট্রাম্প দেশের সাফল্য কামনা করেছেন এবং দেশের প্রতি খেয়াল রাখতে নতুন প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রেখেছেন।

ট্রাম্প মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার আগে তার কার্যতালিকায় যে অনেকগুলো বিষয় ছিল তার মধ্যে এ চিঠি ছিল একটি।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টকে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের চিঠি লেখার রীতিটি আধুনিক। এ চিঠি বিদায়ী প্রেসিডেন্টরা পরবর্তী প্রেসিডেন্টের জন্য তাদের দাপ্তরিক টেবিলে রেখে যান। চিঠি বিষয়ে জো বাইডেনের বক্তব্যের পর চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে বুধবার রাতে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কিছু বলতে রাজি হননি হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।

তিনি বলেন, এ চিঠিটা ব্যক্তিগত। বাইডেন আপনাদের সবাইকে জানিয়েছেন, এটি খুবই উদার ও অমায়িক ভাষায় লেখা। চিঠিটি পড়ে তার এ অনুভূতি হয়েছে। তবে চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে একপাক্ষিকভাবে কথা বলার চিন্তা তিনি করছেন না। জো বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের অনেক রীতি না মানলেও চিঠি লিখতে যে তিনি ভোলেননি তাতে অনেকেই অবাক হতে পারেন।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার জন্য একটি চিঠি লিখে গিয়েছিলেন তখনকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পরে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, চিঠিটি পড়ার পর তিনি এতটা আলোড়িত হয়েছিলেন যে ততক্ষণাৎ ওবামাকে ফোন করেছিলেন।

ওবামা তখন বিমানে হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাচ্ছিলেন। ফোনটি তিনি ধরতে পারেননি। পরে ওবামার পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউজের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয় ট্রাম্প তাকে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলেন। তার ধন্যবাদ যেন ওবামার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।

ট্রাম্প পরে এবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওবামার চিঠি প্রসঙ্গে বলেন, তার কাছে ওবামার লেখা চিঠিটি ছিল লম্বা, জটিল এবং চিন্তাশীলতাপ্রসূত। পরে চিঠিটি তিনি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেন তার কার্যালয়ে।