চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে প্রতিমন্ত্রী

চীনের মধ্যস্থতায় আগামী মার্চ-এপ্রিলে মায়ানমার থেকে ভেরিফাইড হাওয়া ৪১ হাজার ৭১৯ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর মাধ্যমে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) আগামী মার্চ-এপ্রিলে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং চীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব বিষয়ে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। মায়ানমারও রিয়ালাইজ করেছে যে তাদের ফিরিয়ে নেয়া দরকার, বাংলাদেশও ফিল করে তারা সম্মানের সঙ্গে নাগরিকত্ব নিয়ে ফিরে যাক। চীন সরকারও চায় যে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে ফিরে যাওয়া উচিত।’

গত বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত মায়ানমারের নাগরিকদের জন্য চীন সরকারের দেয়া চাল হস্তান্তর অনুষ্ঠান এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ দাবি করেছে তাদের গ্রাম বা এলাকাভিত্তিক প্রত্যাবাসন চায়। কিন্তু মায়ানমার সরকার চেয়েছে যে তালিকা ভেরিফাইড হয়েছে সেই তালিকা অনুযায়ী তারা ফেরত নিতে চায়। আমরা আশা করি, পরবর্তী মিটিংয়ে আরও অ্যামিকেবল সমাধন আসবে। তিনপক্ষই আশা করছে, যে মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। আমরা সেই ভালো ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। তাদের শতভাব ইচ্ছা- বাংলাদেশের সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তা বজায় রাখবে। সব সমস্যা সমাধানের পাশে থাকবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে যে অবস্থায় আছে সেখান থেকে তারা মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করে যাবে। চীন-বাংলাদেশের সঙ্গে যেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তেমনি মায়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং মায়ানমারের উন্নয়নে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই জায়গায় চীন যদি সত্যিকারভাবে চায় তাহলে অবশ্যই মায়ানমার সরকারকে তারা প্রভাবিত করতে পারবে।’

ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা নাগরিকদের চীন সরকার দুই হাজার ৬৫৪ মেট্রিক টন চাল দিয়েছে। সেখানে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর আমরা সেই চাল পেয়েছি। গত মঙ্গলবারের সভা থেকে যে বক্তব্য পেয়েছি তাতে মায়ানমারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে যে তারা নিয়ে যাবে। যে তালিকা বাংলাদেশ সরকার ভেরিফাইড করে পাঠিয়েছে এবং তারা যে সংখ্যা ভেরিফাই করেছে সেই সংখ্যা তারা নিতে প্রস্তুত আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাড়ে পাঁচ হাজাররের তালিকা পাঠালে মায়ানমার সরকার ভেরিফিকেশন করেছে ৪১ হাজার ৭১৯ জন, তাদের নেয়ার জন্য।’

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

চীনের মধ্যস্থতায় আগামী মার্চ-এপ্রিলে মায়ানমার থেকে ভেরিফাইড হাওয়া ৪১ হাজার ৭১৯ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর মাধ্যমে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) আগামী মার্চ-এপ্রিলে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং চীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব বিষয়ে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। মায়ানমারও রিয়ালাইজ করেছে যে তাদের ফিরিয়ে নেয়া দরকার, বাংলাদেশও ফিল করে তারা সম্মানের সঙ্গে নাগরিকত্ব নিয়ে ফিরে যাক। চীন সরকারও চায় যে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে ফিরে যাওয়া উচিত।’

গত বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত মায়ানমারের নাগরিকদের জন্য চীন সরকারের দেয়া চাল হস্তান্তর অনুষ্ঠান এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ দাবি করেছে তাদের গ্রাম বা এলাকাভিত্তিক প্রত্যাবাসন চায়। কিন্তু মায়ানমার সরকার চেয়েছে যে তালিকা ভেরিফাইড হয়েছে সেই তালিকা অনুযায়ী তারা ফেরত নিতে চায়। আমরা আশা করি, পরবর্তী মিটিংয়ে আরও অ্যামিকেবল সমাধন আসবে। তিনপক্ষই আশা করছে, যে মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। আমরা সেই ভালো ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। তাদের শতভাব ইচ্ছা- বাংলাদেশের সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তা বজায় রাখবে। সব সমস্যা সমাধানের পাশে থাকবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে যে অবস্থায় আছে সেখান থেকে তারা মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করে যাবে। চীন-বাংলাদেশের সঙ্গে যেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তেমনি মায়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং মায়ানমারের উন্নয়নে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই জায়গায় চীন যদি সত্যিকারভাবে চায় তাহলে অবশ্যই মায়ানমার সরকারকে তারা প্রভাবিত করতে পারবে।’

ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা নাগরিকদের চীন সরকার দুই হাজার ৬৫৪ মেট্রিক টন চাল দিয়েছে। সেখানে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর আমরা সেই চাল পেয়েছি। গত মঙ্গলবারের সভা থেকে যে বক্তব্য পেয়েছি তাতে মায়ানমারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে যে তারা নিয়ে যাবে। যে তালিকা বাংলাদেশ সরকার ভেরিফাইড করে পাঠিয়েছে এবং তারা যে সংখ্যা ভেরিফাই করেছে সেই সংখ্যা তারা নিতে প্রস্তুত আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাড়ে পাঁচ হাজাররের তালিকা পাঠালে মায়ানমার সরকার ভেরিফিকেশন করেছে ৪১ হাজার ৭১৯ জন, তাদের নেয়ার জন্য।’