পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা ও মেয়ে অনিন্দিতা রিমান্ডে

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশাস্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) ২ সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের এক মামলায় পিকে হালদারের সঙ্গে এদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবদেন করা হলে আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড হেফাজতে নেয়ার অনুমতি দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আসামিদের আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস শুনানি করেন। শুনানি শেষে তিনি রিমান্ড হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেন।

দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ। মামলার আরও তথ্যউপাত্তের বিষয়ে জানতে পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিদেশে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলে।

এ কারণে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড হেফাজতে আনার আবেদন করা হলে আদালত ৩ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে।

দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পিকে হালদারের অনেক অবৈধ সম্পদ তার এই দুই সহযোগী দেখাশোনা করতেন। পিকে হালদার ভুয়া ঋণ দেখিয়ে অবৈধ অর্জিত প্রায় ১০০ কোটি টাকা তার মা লীলাবতী হালদারের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রাখেন। পরে লীলাবতী হালদারের ব্যাংক হিসাব থেকে সুকুমার মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও অনিন্দিতা মৃধা পিকে হালদারের কাছে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং করেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তথ্য পেয়েছেন। সুকুমার মৃধার দখলে প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পদ এবং তার মেয়ের দখলে প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা ও মেয়ে অনিন্দিতা রিমান্ডে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশাস্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) ২ সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের এক মামলায় পিকে হালদারের সঙ্গে এদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবদেন করা হলে আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড হেফাজতে নেয়ার অনুমতি দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আসামিদের আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস শুনানি করেন। শুনানি শেষে তিনি রিমান্ড হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেন।

দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ। মামলার আরও তথ্যউপাত্তের বিষয়ে জানতে পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিদেশে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলে।

এ কারণে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড হেফাজতে আনার আবেদন করা হলে আদালত ৩ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে।

দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পিকে হালদারের অনেক অবৈধ সম্পদ তার এই দুই সহযোগী দেখাশোনা করতেন। পিকে হালদার ভুয়া ঋণ দেখিয়ে অবৈধ অর্জিত প্রায় ১০০ কোটি টাকা তার মা লীলাবতী হালদারের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রাখেন। পরে লীলাবতী হালদারের ব্যাংক হিসাব থেকে সুকুমার মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও অনিন্দিতা মৃধা পিকে হালদারের কাছে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং করেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তথ্য পেয়েছেন। সুকুমার মৃধার দখলে প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পদ এবং তার মেয়ের দখলে প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।