ঢাকা উত্তর সিটি

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা

পুলিশ ও দখলদারদের মধ্যে সংঘর্ষ

রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উচ্ছেদ কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে দখলকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে দখলকারী স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংর্ঘষে পল্লবী এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে উচ্ছেদের সময় দোকানদারদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে উচ্ছেদ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর-১১ নম্বরের ফুটপাতে উচ্ছেদ অভিযানের সময় স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানের শুরু থেকেই স্থানীয়ভাবে যারা ফুটপাত দখলে রেখেছিল তারা জড়ো হয়ে সড়ক আটকে দেয়। এরপরেও কর্মকর্তারা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অংশ হিসেবে মিরপুর-১২ নম্বরের এ ব্লকের একটি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। এরপরেই অভিযান পরিচালনাকারীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে অভিযান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দফায় দফায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় সিটি করপোরেশনের একজন চালকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ইট-পাটকেলের আঘাতে ভেঙে যায় কয়েকটি বুলডোজারের গ্লাস।

মেয়র আতিক বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে এই উচ্ছেদ অভিযান। এতে স্থানীয়দেরও সমর্থন রয়েছে। কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ বিবেচনায় এ ধরনের ইটপাটকেল কিংবা উচ্ছেদ অভিযানে বাধাগ্রস্থ করছে। যত ধরনের বাধাই আসুক না কেন উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশন থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তারা সে নোটিশ আমলে নেয়নি। বরং উচ্ছেদ অভিযান বাধাগ্রস্থ করছে। জনগণের চলাচল নির্বিঘœ করতে উচ্ছেদ পরবর্তী রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করা হবে।

উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কর্মকর্তারা জানান, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ব্যবসায়ী ও বিহারিদের বাধা উপেক্ষা করে মিরপুর-১১ নম্বরের ৪ নম্বর অ্যাভিনিউয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গুঁড়িয়ে দেয়া হয় রাস্তার পাশে থাকা শতাধিক অবৈধ দোকান। অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, রাস্তার দু’পাশে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মাস্টারপ্ল্যানে ৬৮ ফুট রাস্তার কথা বলা থাকলেও, অবৈধ দখলের কারণে রাস্তার পরিধি কমে যায়। রাস্তা দখলমুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

image
আরও খবর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বরূপে ফিরে আসুক প্রধানমন্ত্রী
সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে সরকারি দল
মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গণ্ডি’
আরণ্যক নাট্যদলের প্রযোজনা ‘কহে ফেসবুক’
টাকা দিলেই জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট
চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে প্রতিমন্ত্রী
পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা ও মেয়ে অনিন্দিতা রিমান্ডে
ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ৩ জন গ্রেপ্তার
দেশকে নতজানু রাখার পরিকল্পনা রুখে দিতে হবে মির্জা ফখরুল
চৌমুহনী পৌর নির্বাচন হত্যার আসামি গ্রেপ্তার

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ঢাকা উত্তর সিটি

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা

পুলিশ ও দখলদারদের মধ্যে সংঘর্ষ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উচ্ছেদ কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে দখলকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে দখলকারী স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংর্ঘষে পল্লবী এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে উচ্ছেদের সময় দোকানদারদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে উচ্ছেদ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর-১১ নম্বরের ফুটপাতে উচ্ছেদ অভিযানের সময় স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানের শুরু থেকেই স্থানীয়ভাবে যারা ফুটপাত দখলে রেখেছিল তারা জড়ো হয়ে সড়ক আটকে দেয়। এরপরেও কর্মকর্তারা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অংশ হিসেবে মিরপুর-১২ নম্বরের এ ব্লকের একটি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। এরপরেই অভিযান পরিচালনাকারীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে অভিযান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দফায় দফায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় সিটি করপোরেশনের একজন চালকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ইট-পাটকেলের আঘাতে ভেঙে যায় কয়েকটি বুলডোজারের গ্লাস।

মেয়র আতিক বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে এই উচ্ছেদ অভিযান। এতে স্থানীয়দেরও সমর্থন রয়েছে। কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ বিবেচনায় এ ধরনের ইটপাটকেল কিংবা উচ্ছেদ অভিযানে বাধাগ্রস্থ করছে। যত ধরনের বাধাই আসুক না কেন উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে সিটি করপোরেশন থেকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তারা সে নোটিশ আমলে নেয়নি। বরং উচ্ছেদ অভিযান বাধাগ্রস্থ করছে। জনগণের চলাচল নির্বিঘœ করতে উচ্ছেদ পরবর্তী রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করা হবে।

উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কর্মকর্তারা জানান, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ব্যবসায়ী ও বিহারিদের বাধা উপেক্ষা করে মিরপুর-১১ নম্বরের ৪ নম্বর অ্যাভিনিউয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গুঁড়িয়ে দেয়া হয় রাস্তার পাশে থাকা শতাধিক অবৈধ দোকান। অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, রাস্তার দু’পাশে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মাস্টারপ্ল্যানে ৬৮ ফুট রাস্তার কথা বলা থাকলেও, অবৈধ দখলের কারণে রাস্তার পরিধি কমে যায়। রাস্তা দখলমুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।