ভালুকার বিভিন্ন এলাকার লোকালয়ে অনুমোদনহীন প্রায় ১৬টি ইটভাটায় পরিবেশ আইন অমান্য করে দেদারছে লাকড়ি পুরানো হচ্ছে ফলে বৃক্ষ শূন্য হয়ে এলাকার পরিবেশ ধ্বংস হয়ে নষ্ট হচ্ছে ফল ফসল। অপরদিকে ইটভাটা হতে নির্গত কালো ধোয়া মানুষের বাড়ি ঘরে প্রবেশ করে সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো জটিল রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে গর্ভবতী নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন। পাশাপাশি ইটভাটা হতে ক্রমাগত সাদা কালো ধোয়া চারিদিকে ছড়ানোর ফলে কৃষকের ফল ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কৃষকরা জানায় ছাই মিশ্রিত ধোয়া গাছ গাছালি ও ফসলের ক্ষেতে অনবরত পরার কারণে আম কাঠাল লিচুর মুকুল ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। অপরদিকে অনবরত ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে নিয়ে ইট তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করায় জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পেয়ে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। কাঠখড়ি দিয়ে ইট পোড়ানোর কারণে এলাকার ফলদ ও বনজ বৃক্ষের ব্যাপক ক্ষতিসাধনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভালুকার খারুয়ালী, মেদিলা, ভাণ্ডাব, মেদুয়ারী, রাংচাপড়া, বিরুনিয়া, ধলিয়া পলাশতলী, শান্তিগঞ্জ, চান্দরাটি ও উড়াহাটি এলাকায় ১৫-১৬টির মতো ইটভাটা রয়েছে যে গুলোর অধিকাংশই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ময়মনসিংহ পরিবেশ অদিদপ্তরের তথ্যমতে ভালুকায় একটি মাত্র ইটভাটার ছাড়পত্র দেয়া আছে বাকি সবগুলোই ছারপত্র বিহীন চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভাটা মালিক জানান, ভাটা মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভিন্নমহলকে ম্যানেজ করেই তারা ছাড়পত্র বিহীন ইটভাটা চালাচ্ছেন।
শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ , ৯ মাঘ ১৪২৭, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, ভালুকা (ময়মনসিংহ)
ভালুকার বিভিন্ন এলাকার লোকালয়ে অনুমোদনহীন প্রায় ১৬টি ইটভাটায় পরিবেশ আইন অমান্য করে দেদারছে লাকড়ি পুরানো হচ্ছে ফলে বৃক্ষ শূন্য হয়ে এলাকার পরিবেশ ধ্বংস হয়ে নষ্ট হচ্ছে ফল ফসল। অপরদিকে ইটভাটা হতে নির্গত কালো ধোয়া মানুষের বাড়ি ঘরে প্রবেশ করে সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো জটিল রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে গর্ভবতী নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন। পাশাপাশি ইটভাটা হতে ক্রমাগত সাদা কালো ধোয়া চারিদিকে ছড়ানোর ফলে কৃষকের ফল ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কৃষকরা জানায় ছাই মিশ্রিত ধোয়া গাছ গাছালি ও ফসলের ক্ষেতে অনবরত পরার কারণে আম কাঠাল লিচুর মুকুল ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। অপরদিকে অনবরত ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে নিয়ে ইট তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করায় জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পেয়ে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। কাঠখড়ি দিয়ে ইট পোড়ানোর কারণে এলাকার ফলদ ও বনজ বৃক্ষের ব্যাপক ক্ষতিসাধনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভালুকার খারুয়ালী, মেদিলা, ভাণ্ডাব, মেদুয়ারী, রাংচাপড়া, বিরুনিয়া, ধলিয়া পলাশতলী, শান্তিগঞ্জ, চান্দরাটি ও উড়াহাটি এলাকায় ১৫-১৬টির মতো ইটভাটা রয়েছে যে গুলোর অধিকাংশই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ময়মনসিংহ পরিবেশ অদিদপ্তরের তথ্যমতে ভালুকায় একটি মাত্র ইটভাটার ছাড়পত্র দেয়া আছে বাকি সবগুলোই ছারপত্র বিহীন চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভাটা মালিক জানান, ভাটা মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভিন্নমহলকে ম্যানেজ করেই তারা ছাড়পত্র বিহীন ইটভাটা চালাচ্ছেন।