উপার্জনহীন আলাল মিয়ার এখন মুখভরা হাসি

গৃহহীন-ভূমিহীন হতে যাচ্ছেন আধাপাকা ঘরের মালিক

‘ফেন খাই, পানি খাই, অহন মাথা গোজনের ঠাঁই তো অইছে। অহন আর দুঃখ নাই। আগে পরের বাড়ি থাকতাম। ভাঙা ঘর, কত কষ্ট করছি।’ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার শোভারামপুরের আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুইশতক জমিসহ একটি টিনশেড ঘর বরাদ্দ পেয়ে আবেগ ঝরা কণ্ঠে কথাগুলো বললেন আলাল মিয়া। মুখে তৃপ্তির হাসি।

পঞ্চাশোর্ধ্ব ক্ষীণদেহী হতদরিদ্র আলাল মিয়ার একটি হাত অকেজো হয়ে গেছে এক দশক আগের এক দুর্ঘটনায়। এখন আর সংসারের জন্য উপার্জন করতে পারেন না। তার স্ত্রী অনুফা জানালেন, স্বামীর চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ধারদেনা করে, সাহায্য তুলে, অনেক চেষ্টার পরও হাতটা আর ঠিক হয়নি। বারো বছর বয়সী একমাত্র ছেলে তানভীরকে পেটের দায়ে কাজে দিতে হয়েছে। একটা যাত্রীবাহী ট্রলারে (ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা) হেল্পারের কাজ করে সে। মাস শেষে যা পায় তাই দিয়ে টেনেটুনে চলে সংসার।

মুখভরা হাসি আলাল মিয়ার। জানালেন, পূর্বপুরুষের ভিটা একই উপজেলার পাটুলি গ্রামে। পৈতৃক সূত্রে ঘরবাড়ি, জমিজমা পাননি। এখন ছেলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়েছে। বললেন, ‘নামাজ পড়ে অন্তর থেকে দোয়া করি শেখ হাসিনার (প্রধানমন্ত্রী) জন্য। সবার জন্য দোয়া করি।’

স্বাধীন দেশে এসব নাগরিক, যারা ছিলেন গৃহহীন, ভূমিহীন, হতে যাচ্ছেন আধাপাকা ঘরের মালিক। অতিসাধারণ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষগুলো হয়তো স্বপ্ন দেখেছে, একদিন তাদেরও ছোট্ট একটা ঘর হবে। তবে সেই স্বপ্ন এতো দ্রুত বাস্তবে পরিণত হবে, তা অনেকের কল্পনায়ও ছিল না।

মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না- এমন অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই অংশ হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলায় প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন পরিবারের প্রত্যেককে দুই শতক খাস জমির মালিকানাসহ একটি করে ঘর উপহার হিসেবে দেয়া হবে। সে প্রকল্পের একটি ঘর পাচ্ছেন আলাল মিয়া।

সরেজমিন দেখা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে বাজিতপুরে নির্মাণ করা হয়েছে ২৫টি ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এ ঘরগুলো পাচ্ছেন পঁচিশটি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার। ইট সিমেন্টের শক্ত কাঠামো। অফহোয়াইট রঙের দেয়াল। উপরে নীল রংয়ের টিনের ছাউনি। প্রতিটি বাড়ি নির্মিত হয়েছে দুই শতক জমির ওপর। নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। ভূমিহীনদের ঘরের পাশাপাশি দুই শতক জমির মালিকানাও দেয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের কয়েকটি বাড়িতে প্রবেশ করে দেখা গেছে, দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি ঘরের সঙ্গে রয়েছে একটি লম্বা বারান্দা। পেছনদিকে একটি রান্নাঘর। রয়েছে গোসলখানা ও একটি পায়খানা। প্রত্যেক বাড়িতে দেয়া হচ্ছে আর্সেনিকমুক্ত একটি টিউবওয়েল। দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ। দুটো বাড়ির মাঝখানে প্রশস্ত জায়গা রাখা হয়েছে।

প্রকল্পের ৯ নম্বর ঘরে আলাল মিয়া ছাড়াও কথা হয় আরও অনেকের সঙ্গে। সবার চোখে আনন্দের ছটা। মুখে তৃপ্তির হাসি।

এগারো নম্বর ঘরটি পাচ্ছেন নূরেসা বেগম। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। ভিটেমাটিহীন স্বামী দুই মেয়ে আর স্ত্রীকে ফেলে অনেকদিন আগে কোথায় যেন চলে গেছে। পরে জানা গেছে, সে আরেকটা বিয়ে করেছে। দীর্ঘদিন পরিবারের কোন খোঁজ নেয়নি। নূরেসা পাটুলিতে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রিতা। বাড়ি বাড়ি কাজ করে অনেক কষ্টে সংসার চালিয়েছেন। বড় মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছেন ধারদেনা করে। ছোট মেয়ে শিপার বয়স ১৫। সে বাবাকে দেখেনি অনেক দিন। তবে মন বেশি খারাপ লাগে মায়ের কষ্ট দেখে। পঞ্চম শ্রেণীর পর আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। মা পরের বাড়ি কাজ করে আর মেয়ে সংসার সামলায়।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমিসহ ঘর পেয়ে অনেকটাই চিন্তামুক্ত নূরেসা বেগম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করে বললেন, ‘আল্লাহ যেন তারে অনেক দিন বাঁচায়ে রাখে।’ জানালেন, মেয়েকে মানুষের বাড়ি কাজ করতে দিতে চান না। একটা ভালো ঘরে, ভালো একটা ছেলে দেখে মেয়ের বিয়ে দিতে পারলে তার আর কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। যতদিন পারবেন নিজেই কাজ করে সংসার চালাবেন।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রাজ কিশোর। স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ, নাতি নিয়ে সাত নম্বর ঘরে উঠবেন। জানালেন তার কষ্টের জীবনের কথা। তবে এখন তারা সব ভুলে নতুনভাবে জীবন শুরু করতে চান।

বৃদ্ধা সারজান খাতুন। বয়স ৭০ পেরিয়ে গেছে। স্বামীহীন ভিটেমাটিহীন এই প্রৌঢ়া রমণীর ঠাঁই হচ্ছে ২৪ নম্বর ঘরে। একটা ছেলে ইটখলায় কাজ করে সংসার চালায়।

দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে স্বপ্না আক্তার আর পারভেজ মিয়ার ছোট্ট সংসার। তারা উঠবেন ২৩ নম্বর ঘরে। জানালেন, দীঘিরপার ভূইহাটি গ্রামে এক সময় পৈতৃক নিবাস থাকলেও অভাব অনটনে বাবার আমালেই ভিটেমাটি বিক্রি করতে হয়েছে। মাথা গোজার ঠাঁই ছিল না। এখন একটা ঠিকানা হবে।

এখানে যারা জমিসহ ঘর পাচ্ছেন সবার একই কথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই আজ তাদের ঠিকানা হয়েছে। যতদিন বাঁচবেন অন্তর থেকে তার জন্য দোয়া করে যাবেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম সংবাদকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে তারা শুধু জমিসহ ঘরই পাচ্ছেন না। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশও রয়েছে। উপকারভোগী এসব মানুষদের সামর্থ্য অনুযায়ী, নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য লোন দেয়ার ব্যবস্থাও করা হবে।

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ , ৯ মাঘ ১৪২৭, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

উপার্জনহীন আলাল মিয়ার এখন মুখভরা হাসি

গৃহহীন-ভূমিহীন হতে যাচ্ছেন আধাপাকা ঘরের মালিক

ফয়েজ আহমেদ তুষার

‘ফেন খাই, পানি খাই, অহন মাথা গোজনের ঠাঁই তো অইছে। অহন আর দুঃখ নাই। আগে পরের বাড়ি থাকতাম। ভাঙা ঘর, কত কষ্ট করছি।’ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার শোভারামপুরের আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুইশতক জমিসহ একটি টিনশেড ঘর বরাদ্দ পেয়ে আবেগ ঝরা কণ্ঠে কথাগুলো বললেন আলাল মিয়া। মুখে তৃপ্তির হাসি।

পঞ্চাশোর্ধ্ব ক্ষীণদেহী হতদরিদ্র আলাল মিয়ার একটি হাত অকেজো হয়ে গেছে এক দশক আগের এক দুর্ঘটনায়। এখন আর সংসারের জন্য উপার্জন করতে পারেন না। তার স্ত্রী অনুফা জানালেন, স্বামীর চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ধারদেনা করে, সাহায্য তুলে, অনেক চেষ্টার পরও হাতটা আর ঠিক হয়নি। বারো বছর বয়সী একমাত্র ছেলে তানভীরকে পেটের দায়ে কাজে দিতে হয়েছে। একটা যাত্রীবাহী ট্রলারে (ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা) হেল্পারের কাজ করে সে। মাস শেষে যা পায় তাই দিয়ে টেনেটুনে চলে সংসার।

মুখভরা হাসি আলাল মিয়ার। জানালেন, পূর্বপুরুষের ভিটা একই উপজেলার পাটুলি গ্রামে। পৈতৃক সূত্রে ঘরবাড়ি, জমিজমা পাননি। এখন ছেলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়েছে। বললেন, ‘নামাজ পড়ে অন্তর থেকে দোয়া করি শেখ হাসিনার (প্রধানমন্ত্রী) জন্য। সবার জন্য দোয়া করি।’

স্বাধীন দেশে এসব নাগরিক, যারা ছিলেন গৃহহীন, ভূমিহীন, হতে যাচ্ছেন আধাপাকা ঘরের মালিক। অতিসাধারণ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষগুলো হয়তো স্বপ্ন দেখেছে, একদিন তাদেরও ছোট্ট একটা ঘর হবে। তবে সেই স্বপ্ন এতো দ্রুত বাস্তবে পরিণত হবে, তা অনেকের কল্পনায়ও ছিল না।

মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না- এমন অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই অংশ হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলায় প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন পরিবারের প্রত্যেককে দুই শতক খাস জমির মালিকানাসহ একটি করে ঘর উপহার হিসেবে দেয়া হবে। সে প্রকল্পের একটি ঘর পাচ্ছেন আলাল মিয়া।

সরেজমিন দেখা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে বাজিতপুরে নির্মাণ করা হয়েছে ২৫টি ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এ ঘরগুলো পাচ্ছেন পঁচিশটি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার। ইট সিমেন্টের শক্ত কাঠামো। অফহোয়াইট রঙের দেয়াল। উপরে নীল রংয়ের টিনের ছাউনি। প্রতিটি বাড়ি নির্মিত হয়েছে দুই শতক জমির ওপর। নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। ভূমিহীনদের ঘরের পাশাপাশি দুই শতক জমির মালিকানাও দেয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের কয়েকটি বাড়িতে প্রবেশ করে দেখা গেছে, দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি ঘরের সঙ্গে রয়েছে একটি লম্বা বারান্দা। পেছনদিকে একটি রান্নাঘর। রয়েছে গোসলখানা ও একটি পায়খানা। প্রত্যেক বাড়িতে দেয়া হচ্ছে আর্সেনিকমুক্ত একটি টিউবওয়েল। দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ। দুটো বাড়ির মাঝখানে প্রশস্ত জায়গা রাখা হয়েছে।

প্রকল্পের ৯ নম্বর ঘরে আলাল মিয়া ছাড়াও কথা হয় আরও অনেকের সঙ্গে। সবার চোখে আনন্দের ছটা। মুখে তৃপ্তির হাসি।

এগারো নম্বর ঘরটি পাচ্ছেন নূরেসা বেগম। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। ভিটেমাটিহীন স্বামী দুই মেয়ে আর স্ত্রীকে ফেলে অনেকদিন আগে কোথায় যেন চলে গেছে। পরে জানা গেছে, সে আরেকটা বিয়ে করেছে। দীর্ঘদিন পরিবারের কোন খোঁজ নেয়নি। নূরেসা পাটুলিতে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রিতা। বাড়ি বাড়ি কাজ করে অনেক কষ্টে সংসার চালিয়েছেন। বড় মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছেন ধারদেনা করে। ছোট মেয়ে শিপার বয়স ১৫। সে বাবাকে দেখেনি অনেক দিন। তবে মন বেশি খারাপ লাগে মায়ের কষ্ট দেখে। পঞ্চম শ্রেণীর পর আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। মা পরের বাড়ি কাজ করে আর মেয়ে সংসার সামলায়।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমিসহ ঘর পেয়ে অনেকটাই চিন্তামুক্ত নূরেসা বেগম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করে বললেন, ‘আল্লাহ যেন তারে অনেক দিন বাঁচায়ে রাখে।’ জানালেন, মেয়েকে মানুষের বাড়ি কাজ করতে দিতে চান না। একটা ভালো ঘরে, ভালো একটা ছেলে দেখে মেয়ের বিয়ে দিতে পারলে তার আর কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। যতদিন পারবেন নিজেই কাজ করে সংসার চালাবেন।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রাজ কিশোর। স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ, নাতি নিয়ে সাত নম্বর ঘরে উঠবেন। জানালেন তার কষ্টের জীবনের কথা। তবে এখন তারা সব ভুলে নতুনভাবে জীবন শুরু করতে চান।

বৃদ্ধা সারজান খাতুন। বয়স ৭০ পেরিয়ে গেছে। স্বামীহীন ভিটেমাটিহীন এই প্রৌঢ়া রমণীর ঠাঁই হচ্ছে ২৪ নম্বর ঘরে। একটা ছেলে ইটখলায় কাজ করে সংসার চালায়।

দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে স্বপ্না আক্তার আর পারভেজ মিয়ার ছোট্ট সংসার। তারা উঠবেন ২৩ নম্বর ঘরে। জানালেন, দীঘিরপার ভূইহাটি গ্রামে এক সময় পৈতৃক নিবাস থাকলেও অভাব অনটনে বাবার আমালেই ভিটেমাটি বিক্রি করতে হয়েছে। মাথা গোজার ঠাঁই ছিল না। এখন একটা ঠিকানা হবে।

এখানে যারা জমিসহ ঘর পাচ্ছেন সবার একই কথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই আজ তাদের ঠিকানা হয়েছে। যতদিন বাঁচবেন অন্তর থেকে তার জন্য দোয়া করে যাবেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম সংবাদকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে তারা শুধু জমিসহ ঘরই পাচ্ছেন না। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশও রয়েছে। উপকারভোগী এসব মানুষদের সামর্থ্য অনুযায়ী, নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য লোন দেয়ার ব্যবস্থাও করা হবে।