গৃহহীন মানুষের নতুন ঠিকানা আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন আজ

৯ লাখ পরিবার পাচ্ছে বাড়ি

ভিটেমাটিহীন মানুষের নতুন ঠিকানা হবে আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী আজ সারাদেশে প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন, ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতক জমিসহ সত্তর হাজার বাড়ি উপহার হিসেবে (বিনামূল্যে) প্রদান করবে সরকার। উপকারভোগী হবেন অনন্ত সাড়ে তিন লাখ মানুষ। সরকারের খাস জমির উপর প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। দুই শয্যা বিশিষ্ট এসব বাড়িতে একটি লম্বা বারান্দা, রান্নাঘর ও টয়লেট রয়েছে। সামনে আছে এক চিলতে উঠান। বিদ্যুৎ সংযোগ, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এমন অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০ প্রণয়ন করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১ এবং ‘যার জমি আছে কিন্তু ঘর নাই’ এমন পরিবারের সংখ্যা ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১। এসব পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেয়া হবে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি বাড়ি।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারের প্রত্যেককে ২ শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ২১ জেলার ৩৬ উপজেলার ৪৪টি প্রকল্পে ৩ হাজার ৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনের মাধ্যমে সারাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে এই ঘরগুলো তুলে দিবেন।

এই বিশাল কর্মযজ্ঞের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ একসঙ্গে এতগুলো গৃহহীনের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করার দৃষ্টান্ত বিশ্বের কোন দেশে নেই।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য যারা ভূমিহীন-গৃহহীন; তাদের আশ্রয় দেয়ার উদ্যোগ নেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব নিয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে একটি প্রকল্প চালু করেছিলেন, যার নাম দিয়েছিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্প। ১৯৯৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার ৫৮টি ভূমিহীন গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কেএম শাখাওয়াত মুন জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই আরও ১ লাখ গৃহের বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে দেশের সব ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

দেশের কোন এলাকায় কতগুলো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেতে যাচ্ছে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই তা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় সংবাদ ব্রিফিং করে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৬৬৭ গৃহহীন পরিবার নতুন ঘর পাচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় ৬১৯টি পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জেলার ৯টি উপজেলায় মোট এক হাজার ৯১টি পরিবারকে দুইশতক খাস জমিসহ বাড়ি হস্তান্তর করা হবে।

দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ২২টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার বাড়ি পাবেন। সাতক্ষীরা জেলার ১ হাজার ১৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে।

খুলনা জেলার ৯টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি পরিবারকে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট নবনির্মিত ঘরসহ জমি প্রদান করা হবে।

নোয়াখালী জেলায় ঘর পাচ্ছে ৮৫৫টি গৃহহীন পরিবার।

বগুড়া জেলায় ১২টি উপজেলায় ১৭০২টি পরিবার ১ হাজার ৪৫২টি ঘর পচ্ছে।

নেত্রকোনা জেলার ১০টি উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৩০টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হবে।

কুমিল্লা জেলায় ৩৫৯ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ৩৫৯টি নবনির্মিত ঘর হস্তান্তর করা হবে।

গাজীপুর জেলায় প্রথম পর্যায়ে ২১০টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৫টি ঘর দেয়া হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেলায় দেড় হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ জমিসহ নতুন ঘর পাচ্ছেন।

শেরপুরে জেলায় ১ হাজার ৩৩৩ জন ভূমি ও গৃহহীন পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর।

শরীয়তপুর জেলায় ৬৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ঘর হস্তান্তর করা হবে।

পিরোজপুর জেলায় ১ হাজার ১৭৫টি গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

ঠাকুরগাঁও ৫টি উপজেলায় ৭৯২টি গৃহনির্মাণ করা হয়েছে।

সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় ৪ হাজার ১৭৮টি ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে ঘর দিচ্ছে সরকার।

ঝালকাঠি জেলার ৪৭৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৭৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার বসতবাড়ি পাচ্ছে।

নীলফামারী জেলায় ঘর উপহার পাচ্ছেন ৬৩৭টি গৃহহীন পরিবার।

মেহেরপুর জেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৮টি পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হবে।

বান্দরবান জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩৩৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করা হবে।

জয়পুরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলার ১৬০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার নতুন বাড়ি পাচ্ছে।

নড়াইল জেলায় ৩২৫টি বাড়ি দেয়া হবে। নাটোর জেলায় ৫৫৮টি সেমিপাকা গৃহ দেয়া হচ্ছে।

ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধা পাকা ঘর স্বপ্ননীড়। উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নে ১৬টি, সালটিয়া ইউনিয়নে ১৩টি, রাওনা ইউনিয়নে ১টি, গফরগাঁও ইউনিয়নে ৭টি, দত্তেরবাজার ইউনিয়নে ৪৮টি, পাঁচবাগ ইউনিয়নে ৫২টি, টাংগাব ইউনিয়নে ১৮টি, লংগাইর ইউনিয়নে ১৩টি, পাইথল ইউনিয়নে ১৬টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান।

বাগেরহাট জেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ৪১৫টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

পঞ্চগড় : জেলার ৪৩টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তৈরি করা হয়েছে বাড়ি।

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ , ৯ মাঘ ১৪২৭, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

গৃহহীন মানুষের নতুন ঠিকানা আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন আজ

৯ লাখ পরিবার পাচ্ছে বাড়ি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ভিটেমাটিহীন মানুষের নতুন ঠিকানা হবে আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী আজ সারাদেশে প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন, ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতক জমিসহ সত্তর হাজার বাড়ি উপহার হিসেবে (বিনামূল্যে) প্রদান করবে সরকার। উপকারভোগী হবেন অনন্ত সাড়ে তিন লাখ মানুষ। সরকারের খাস জমির উপর প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। দুই শয্যা বিশিষ্ট এসব বাড়িতে একটি লম্বা বারান্দা, রান্নাঘর ও টয়লেট রয়েছে। সামনে আছে এক চিলতে উঠান। বিদ্যুৎ সংযোগ, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এমন অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০ প্রণয়ন করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১ এবং ‘যার জমি আছে কিন্তু ঘর নাই’ এমন পরিবারের সংখ্যা ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১। এসব পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেয়া হবে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি বাড়ি।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারের প্রত্যেককে ২ শতক সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ২১ জেলার ৩৬ উপজেলার ৪৪টি প্রকল্পে ৩ হাজার ৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনের মাধ্যমে সারাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে এই ঘরগুলো তুলে দিবেন।

এই বিশাল কর্মযজ্ঞের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ একসঙ্গে এতগুলো গৃহহীনের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করার দৃষ্টান্ত বিশ্বের কোন দেশে নেই।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য যারা ভূমিহীন-গৃহহীন; তাদের আশ্রয় দেয়ার উদ্যোগ নেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব নিয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে একটি প্রকল্প চালু করেছিলেন, যার নাম দিয়েছিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্প। ১৯৯৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার ৫৮টি ভূমিহীন গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কেএম শাখাওয়াত মুন জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই আরও ১ লাখ গৃহের বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে দেশের সব ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

দেশের কোন এলাকায় কতগুলো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেতে যাচ্ছে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই তা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় সংবাদ ব্রিফিং করে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৬৬৭ গৃহহীন পরিবার নতুন ঘর পাচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় ৬১৯টি পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জেলার ৯টি উপজেলায় মোট এক হাজার ৯১টি পরিবারকে দুইশতক খাস জমিসহ বাড়ি হস্তান্তর করা হবে।

দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ২২টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার বাড়ি পাবেন। সাতক্ষীরা জেলার ১ হাজার ১৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে।

খুলনা জেলার ৯টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি পরিবারকে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট নবনির্মিত ঘরসহ জমি প্রদান করা হবে।

নোয়াখালী জেলায় ঘর পাচ্ছে ৮৫৫টি গৃহহীন পরিবার।

বগুড়া জেলায় ১২টি উপজেলায় ১৭০২টি পরিবার ১ হাজার ৪৫২টি ঘর পচ্ছে।

নেত্রকোনা জেলার ১০টি উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৩০টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হবে।

কুমিল্লা জেলায় ৩৫৯ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ৩৫৯টি নবনির্মিত ঘর হস্তান্তর করা হবে।

গাজীপুর জেলায় প্রথম পর্যায়ে ২১০টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৫টি ঘর দেয়া হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেলায় দেড় হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ জমিসহ নতুন ঘর পাচ্ছেন।

শেরপুরে জেলায় ১ হাজার ৩৩৩ জন ভূমি ও গৃহহীন পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর।

শরীয়তপুর জেলায় ৬৯৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ঘর হস্তান্তর করা হবে।

পিরোজপুর জেলায় ১ হাজার ১৭৫টি গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

ঠাকুরগাঁও ৫টি উপজেলায় ৭৯২টি গৃহনির্মাণ করা হয়েছে।

সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় ৪ হাজার ১৭৮টি ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে ঘর দিচ্ছে সরকার।

ঝালকাঠি জেলার ৪৭৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৭৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার বসতবাড়ি পাচ্ছে।

নীলফামারী জেলায় ঘর উপহার পাচ্ছেন ৬৩৭টি গৃহহীন পরিবার।

মেহেরপুর জেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৮টি পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হবে।

বান্দরবান জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩৩৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করা হবে।

জয়পুরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলার ১৬০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার নতুন বাড়ি পাচ্ছে।

নড়াইল জেলায় ৩২৫টি বাড়ি দেয়া হবে। নাটোর জেলায় ৫৫৮টি সেমিপাকা গৃহ দেয়া হচ্ছে।

ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধা পাকা ঘর স্বপ্ননীড়। উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নে ১৬টি, সালটিয়া ইউনিয়নে ১৩টি, রাওনা ইউনিয়নে ১টি, গফরগাঁও ইউনিয়নে ৭টি, দত্তেরবাজার ইউনিয়নে ৪৮টি, পাঁচবাগ ইউনিয়নে ৫২টি, টাংগাব ইউনিয়নে ১৮টি, লংগাইর ইউনিয়নে ১৩টি, পাইথল ইউনিয়নে ১৬টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান।

বাগেরহাট জেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ৪১৫টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

পঞ্চগড় : জেলার ৪৩টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তৈরি করা হয়েছে বাড়ি।