নির্বাচনে উত্তাপ থাকে, উত্তাপ যেন আত্মঘাতী না হয় চট্টগ্রাম প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নির্বাচন আসলে উত্তাপ থাকে। এ উত্তাপ যেন আত্মঘাতী না হয়। এ উত্তাপ যেন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবস্থাপনা, সংস্কৃতিকে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না করে। ইচ্ছে করলে মিছিল মিটিং ছাড়াও নির্বাচন করা যায়। এখন মিডিয়ার যুগ। ফেসবুকের যুগ। ম্যাসেজ পাঠাতে পারেন। আমি মনে করি, যতটুকু হয়ে গেছে, আর কোথাওব যেন সহিংসতা না হয়। সবাই প্রশাসনকে সাহায্য করুন। নির্বাচনের পর সবাই যেন একসঙ্গে আনন্দমুখর পরিবেশে কাজ করতে পারি।

গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সুজন এসব কথা বলেন। এ সময় চসিক নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী জিতলে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারবে না মন্তব্য করে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বিএনপির সচেতনদের নৌকায় ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে বিএনপিরও যারা সচেতন আছে চট্টগ্রামের স্বার্থে ও চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করে ফেলাটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শেখ হাসিনা যাকে প্রার্থী দিয়েছেন আমাদের তাকেই চিন্তায় আনতে হবে। এটা এজন্য যে চট্টগ্রামের স্বার্থে। নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপির যেটা সুবিধা হচ্ছে সেটা হচ্ছে, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা একটা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে, অনেক দিন তারা রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করছে। চট্টগ্রাম ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে এ চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার শ্রেষ্ঠ যোগাযোগ কেন্দ্র। এটা উপলব্ধি করতে পেরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল তৈরি করছেন। মাতারবাড়ীতে সমুদ্রবন্দর হয়ে গেছে।

সেখানে আলাদা জগৎ গড়ে উঠেছে। মিরসরাই স্পেশাল ইকোনমিক জোনে সারা পৃথিবীর ইনভেস্টরার ছুটে আসছেন। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রথম নির্বাচনী ইশতেহারে ২৮ দফার অন্যতম ছিল পতেঙ্গা থেকে ফেনী হাইওয়ে পর্যন্ত বাইপাস করা। মহিউদ্দিন চৌধুরী আজ বেঁচে নেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন নেত্রী। একের পর এক এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিনড্রাইভ হচ্ছে।

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ , ৯ মাঘ ১৪২৭, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

নির্বাচনে উত্তাপ থাকে, উত্তাপ যেন আত্মঘাতী না হয় চট্টগ্রাম প্রশাসক

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নির্বাচন আসলে উত্তাপ থাকে। এ উত্তাপ যেন আত্মঘাতী না হয়। এ উত্তাপ যেন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবস্থাপনা, সংস্কৃতিকে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না করে। ইচ্ছে করলে মিছিল মিটিং ছাড়াও নির্বাচন করা যায়। এখন মিডিয়ার যুগ। ফেসবুকের যুগ। ম্যাসেজ পাঠাতে পারেন। আমি মনে করি, যতটুকু হয়ে গেছে, আর কোথাওব যেন সহিংসতা না হয়। সবাই প্রশাসনকে সাহায্য করুন। নির্বাচনের পর সবাই যেন একসঙ্গে আনন্দমুখর পরিবেশে কাজ করতে পারি।

গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সুজন এসব কথা বলেন। এ সময় চসিক নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী জিতলে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারবে না মন্তব্য করে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বিএনপির সচেতনদের নৌকায় ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে বিএনপিরও যারা সচেতন আছে চট্টগ্রামের স্বার্থে ও চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করে ফেলাটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শেখ হাসিনা যাকে প্রার্থী দিয়েছেন আমাদের তাকেই চিন্তায় আনতে হবে। এটা এজন্য যে চট্টগ্রামের স্বার্থে। নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপির যেটা সুবিধা হচ্ছে সেটা হচ্ছে, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা একটা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে, অনেক দিন তারা রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করছে। চট্টগ্রাম ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে এ চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার শ্রেষ্ঠ যোগাযোগ কেন্দ্র। এটা উপলব্ধি করতে পেরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল তৈরি করছেন। মাতারবাড়ীতে সমুদ্রবন্দর হয়ে গেছে।

সেখানে আলাদা জগৎ গড়ে উঠেছে। মিরসরাই স্পেশাল ইকোনমিক জোনে সারা পৃথিবীর ইনভেস্টরার ছুটে আসছেন। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রথম নির্বাচনী ইশতেহারে ২৮ দফার অন্যতম ছিল পতেঙ্গা থেকে ফেনী হাইওয়ে পর্যন্ত বাইপাস করা। মহিউদ্দিন চৌধুরী আজ বেঁচে নেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন নেত্রী। একের পর এক এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিনড্রাইভ হচ্ছে।