সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসল টাইগাররা

স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪৮ (৪৩.৪ ওভার) : বাংলাদেশ ১৪৯/৩ (৩৩.২ওভার), ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী

সফরে আসা দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এদিন জয় আসে ৭ উইকেটে, ১০০ বল বাকি থাকতে। এরমধ্য দিয়ে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটা পঞ্চম ওডিআই সিরিজ জয়। এবারের অতিথি দলটি অপেক্ষাকৃত দুর্বল হলেও আগের দুই সিরিজে তারা ছিল পূর্ণ শক্তির। ২০১৮ সালে দুই বার সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এবং অন্যটি দেশে। দুটি সিরিজই ছিল ৩ ম্যাচের, এবং বাংলাদেশ দুটি সিরিজই জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

এবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই করোনা পরবর্তী প্রথম ওডিআই সিরিজ জয় করে নিল বাংলাদেশ। এই জয়ের আনন্দ নিয়েই আগামী ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা।

দুই ওডিআই ম্যাচে প্রত্যাশিত জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ দল। হেরফের হয়েছে কেবল স্কোরবোর্ডের। ভিন্নতার শুরু মুদ্রা নিক্ষেপ থেকে। মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। শুক্রবারের টস জিতে নিজেই ব্যাটিং নেন জেসন মোহাম¥দ। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করা সফরকারী দল ৩২.২ ওভারে অলআউট হয় ১২২ রানে। শুক্রবার তারা ব্যাট করেছে ৪৩.৪ ওভার, অলআউট হয় ১৪৮ রানে। প্রথম ম্যাচে ক্যারিবিয়ান দলের সর্বোচ্চ স্কোর কাইল মায়ার্সের রান ৪০, দ্বিতীয় ম্যাচে রভম্যান পাওয়েলের ৪১। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৬ উইকেটের, আর দ্বিতীয় ম্যাচে সাত উইকেটে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল ব্যাট করেছিল ৩৩.৫ ওভার, দ্বিতীয় ম্যাচে লাগল ৩৩.২ ওভার। প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় ম্যাচে মুস্তাফিজের শিকার দুই উইকেট। সাকিব শুক্রবার দুটো উইকেট কম পেলেও ম্যাচসেরা মিরাজের শিকার চার উইকেট। প্রথম ম্যাচে দুই দলের কারো ছিল না হাফ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ক্যারিয়ারের ৪৮তম হাফ সেঞ্চুরিটার দেখা পান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবিয়ানদের খেলার গতির কোনভাবেই ওয়ানডে মেজাজের ছিল না। সুনিল অ্যামব্রিসের সঙ্গে ইনিংস শুরু করা অভিষিক্ত কেয়র্ন ওটলি দুই দিক থেকে মোস্তাফিজুর রহমান আর রুবেল হোসেনকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। ম্যাচের ৫ম ওভারে মোস্তাফিজের বলে সুনিল অ্যামব্রিসের ব্যাট ছুঁয়ে আসা বলটি মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে গালিতে জমা হলে ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ইনিংসের ১৪তম ওভারের প্রথম বলে দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৩৬ রানে মিরাজের বলে এক্সট্রা কাভারে অভিষিক্ত কেয়র্ন ওটলির (২৪) ক্যাচ নিয়েছেন তামিম ইকবাল। একই ওভারের চতুর্থ বলে আবারও শিকার ধরেন মিরাজ। বোল্ড করেন ২২ বলে ৫ রান করা জসুয়া ডা সিলভাকে। ৩৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় উইন্ডিজ। সাকিব আল হাসানের করা ১৫তম ওভারের শেষ বলে আন্দ্রে ম্যাককার্থি (৩) বোল্ড হন ১৮তম ওভারে রান নেব কি নেব না করতে করতে রানআউট হয়ে যান কাইল মায়ার্স। মাত্র ৪১ রানে ক্যারিবীয়দের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয়ে যায়। এরপর অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ আর এনক্রুমা বনার হাল ধরার চেষ্টা করেন। ক্যারিবিয়ানদের রান ৬৭ হতেই আবারও আঘাত করেন মেহেদী মিরাজ।

তার বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন জেসন মোহাম্মদ (১১)। পরবর্তী শিকারি হাসান মাহমুদ। ২৫তম ওভারের চতুর্থ বলে ২৫ বলে ২০ রান করা এনক্রুমা বনারকে ফেরান হাসান। এরপর সফরকারীদের গুটিয়ে যাওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ৩০তম ওভারের চতুর্থ বলে রেমন রেইফারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়িয়ে নিজের তৃতীয় শিকার ধরেন মেহেদী মিরাজ। দলের রান তখন মাত্র ৮৯। অতিথিরা শেষ পর্যন্ত একশ ছুঁতে পারবে কিনা সেই শঙ্কা পেয়ে বসে। তবে, রভম্যান পাওয়েল আর আলজারি জোসেফের সৌজন্যে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলে অতিথিরা। ৯ম উইকেটে দুজনে গড়েন ৩২ রানের জুটি। দলীয় ১২০ রানে আলজারি জোসেফকে (১৭) লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী করে জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ উইকেটটা ফেলতে সময় লাগছিল টাইগারদের। উইকেটে গেড়ে বসেছিলেন রভম্যান পাওয়েল। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন শেষ ব্যাটসম্যান আকিল হোসেন। শেষ পর্যন্ত ৬৬ বলে ৪১ রান করা পাওয়েলকে নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করে ক্যারিবীয়দের ইনিংসে ইতি টানেন মেহেদি মিরাজ। ৪৩.৪ ওভারে ১৪৮ রানে অলআউট হয় উইন্ডিজ।

জয়ের জন্য ১৪৮ রান তাড়ায় নেমে ঝড়ো শুরু করেছিলেন লিটন দাস। ৪টি বাউন্ডারি মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন। যখন তিনি থিতু হয়ে গেছেন তখনই ছন্দপতন। বোলিংয়ে এসেই আকিল হোসেন তুলে নেন এই ড্যাশিং ওপেনারকে। এলবিডাব্লিউ হয়ে লিটন ফেরেন ২৪ বলে ২২ রান করে। ৬ষ্ঠ ওভারের ৫ম বলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন হয় দলীয় ৩০ রানে। এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবাল আর নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে টাইগাররা ভালোই ছুটছিল। পার্টনারশিপটা ৪৭ রানের পার্টনারশিপটা ভাঙেন জেসন মোহাম্মদ। কেয়র্ন ওটলির হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন ২৬বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৭ রান করা শান্ত। তামিমের সঙ্গী হন আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। তামিম-সাকিব জুটি জমে গিয়েছিল। এর মাঝেই ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারের প্রথম বলে জেসন মোহাম্মদকে বাউন্ডারি মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তামিম। জিম্বাবুয়ে ছাড়া এই প্রথম অন্য কোন দলের বিপক্ষে হাজার রান ছুঁতে পারলেন বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যান। এরপর তামিম ৭৫ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৮ নম্বর হাফ সেঞ্চুরি। অবশ্য এর পরের বলেই রেইফারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন দেশসেরা ওপেনার। ১০৯ রানে তৃতীয় উইকেট টাইগারদের জয় নিয়ে সাকিব (অপ. ৪৩) ও মুশফিক (অপ. ৯) মাঠ ছাড়ার সময়ে ইনিংসের ১৬.৪ ওভার বাকি ছিল। আগামী সোমবার চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডে।

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ , ৯ মাঘ ১৪২৭, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসল টাইগাররা

বিশেষ প্রতিনিধি

image

হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে ড্রাইভ শট খেলছেন দলীয় অধিনায়ক তামিম ইকবাল -বিসিবি

স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪৮ (৪৩.৪ ওভার) : বাংলাদেশ ১৪৯/৩ (৩৩.২ওভার), ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী

সফরে আসা দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এদিন জয় আসে ৭ উইকেটে, ১০০ বল বাকি থাকতে। এরমধ্য দিয়ে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটা পঞ্চম ওডিআই সিরিজ জয়। এবারের অতিথি দলটি অপেক্ষাকৃত দুর্বল হলেও আগের দুই সিরিজে তারা ছিল পূর্ণ শক্তির। ২০১৮ সালে দুই বার সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এবং অন্যটি দেশে। দুটি সিরিজই ছিল ৩ ম্যাচের, এবং বাংলাদেশ দুটি সিরিজই জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

এবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই করোনা পরবর্তী প্রথম ওডিআই সিরিজ জয় করে নিল বাংলাদেশ। এই জয়ের আনন্দ নিয়েই আগামী ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা।

দুই ওডিআই ম্যাচে প্রত্যাশিত জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ দল। হেরফের হয়েছে কেবল স্কোরবোর্ডের। ভিন্নতার শুরু মুদ্রা নিক্ষেপ থেকে। মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। শুক্রবারের টস জিতে নিজেই ব্যাটিং নেন জেসন মোহাম¥দ। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করা সফরকারী দল ৩২.২ ওভারে অলআউট হয় ১২২ রানে। শুক্রবার তারা ব্যাট করেছে ৪৩.৪ ওভার, অলআউট হয় ১৪৮ রানে। প্রথম ম্যাচে ক্যারিবিয়ান দলের সর্বোচ্চ স্কোর কাইল মায়ার্সের রান ৪০, দ্বিতীয় ম্যাচে রভম্যান পাওয়েলের ৪১। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৬ উইকেটের, আর দ্বিতীয় ম্যাচে সাত উইকেটে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল ব্যাট করেছিল ৩৩.৫ ওভার, দ্বিতীয় ম্যাচে লাগল ৩৩.২ ওভার। প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় ম্যাচে মুস্তাফিজের শিকার দুই উইকেট। সাকিব শুক্রবার দুটো উইকেট কম পেলেও ম্যাচসেরা মিরাজের শিকার চার উইকেট। প্রথম ম্যাচে দুই দলের কারো ছিল না হাফ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ক্যারিয়ারের ৪৮তম হাফ সেঞ্চুরিটার দেখা পান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবিয়ানদের খেলার গতির কোনভাবেই ওয়ানডে মেজাজের ছিল না। সুনিল অ্যামব্রিসের সঙ্গে ইনিংস শুরু করা অভিষিক্ত কেয়র্ন ওটলি দুই দিক থেকে মোস্তাফিজুর রহমান আর রুবেল হোসেনকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। ম্যাচের ৫ম ওভারে মোস্তাফিজের বলে সুনিল অ্যামব্রিসের ব্যাট ছুঁয়ে আসা বলটি মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে গালিতে জমা হলে ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ইনিংসের ১৪তম ওভারের প্রথম বলে দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৩৬ রানে মিরাজের বলে এক্সট্রা কাভারে অভিষিক্ত কেয়র্ন ওটলির (২৪) ক্যাচ নিয়েছেন তামিম ইকবাল। একই ওভারের চতুর্থ বলে আবারও শিকার ধরেন মিরাজ। বোল্ড করেন ২২ বলে ৫ রান করা জসুয়া ডা সিলভাকে। ৩৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় উইন্ডিজ। সাকিব আল হাসানের করা ১৫তম ওভারের শেষ বলে আন্দ্রে ম্যাককার্থি (৩) বোল্ড হন ১৮তম ওভারে রান নেব কি নেব না করতে করতে রানআউট হয়ে যান কাইল মায়ার্স। মাত্র ৪১ রানে ক্যারিবীয়দের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয়ে যায়। এরপর অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ আর এনক্রুমা বনার হাল ধরার চেষ্টা করেন। ক্যারিবিয়ানদের রান ৬৭ হতেই আবারও আঘাত করেন মেহেদী মিরাজ।

তার বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন জেসন মোহাম্মদ (১১)। পরবর্তী শিকারি হাসান মাহমুদ। ২৫তম ওভারের চতুর্থ বলে ২৫ বলে ২০ রান করা এনক্রুমা বনারকে ফেরান হাসান। এরপর সফরকারীদের গুটিয়ে যাওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ৩০তম ওভারের চতুর্থ বলে রেমন রেইফারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়িয়ে নিজের তৃতীয় শিকার ধরেন মেহেদী মিরাজ। দলের রান তখন মাত্র ৮৯। অতিথিরা শেষ পর্যন্ত একশ ছুঁতে পারবে কিনা সেই শঙ্কা পেয়ে বসে। তবে, রভম্যান পাওয়েল আর আলজারি জোসেফের সৌজন্যে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলে অতিথিরা। ৯ম উইকেটে দুজনে গড়েন ৩২ রানের জুটি। দলীয় ১২০ রানে আলজারি জোসেফকে (১৭) লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী করে জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ উইকেটটা ফেলতে সময় লাগছিল টাইগারদের। উইকেটে গেড়ে বসেছিলেন রভম্যান পাওয়েল। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন শেষ ব্যাটসম্যান আকিল হোসেন। শেষ পর্যন্ত ৬৬ বলে ৪১ রান করা পাওয়েলকে নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করে ক্যারিবীয়দের ইনিংসে ইতি টানেন মেহেদি মিরাজ। ৪৩.৪ ওভারে ১৪৮ রানে অলআউট হয় উইন্ডিজ।

জয়ের জন্য ১৪৮ রান তাড়ায় নেমে ঝড়ো শুরু করেছিলেন লিটন দাস। ৪টি বাউন্ডারি মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন। যখন তিনি থিতু হয়ে গেছেন তখনই ছন্দপতন। বোলিংয়ে এসেই আকিল হোসেন তুলে নেন এই ড্যাশিং ওপেনারকে। এলবিডাব্লিউ হয়ে লিটন ফেরেন ২৪ বলে ২২ রান করে। ৬ষ্ঠ ওভারের ৫ম বলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন হয় দলীয় ৩০ রানে। এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবাল আর নাজমুল হোসেন শান্তর জুটিতে টাইগাররা ভালোই ছুটছিল। পার্টনারশিপটা ৪৭ রানের পার্টনারশিপটা ভাঙেন জেসন মোহাম্মদ। কেয়র্ন ওটলির হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন ২৬বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৭ রান করা শান্ত। তামিমের সঙ্গী হন আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। তামিম-সাকিব জুটি জমে গিয়েছিল। এর মাঝেই ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারের প্রথম বলে জেসন মোহাম্মদকে বাউন্ডারি মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তামিম। জিম্বাবুয়ে ছাড়া এই প্রথম অন্য কোন দলের বিপক্ষে হাজার রান ছুঁতে পারলেন বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যান। এরপর তামিম ৭৫ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৮ নম্বর হাফ সেঞ্চুরি। অবশ্য এর পরের বলেই রেইফারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন দেশসেরা ওপেনার। ১০৯ রানে তৃতীয় উইকেট টাইগারদের জয় নিয়ে সাকিব (অপ. ৪৩) ও মুশফিক (অপ. ৯) মাঠ ছাড়ার সময়ে ইনিংসের ১৬.৪ ওভার বাকি ছিল। আগামী সোমবার চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডে।