দরপত্রে জালিয়াতি : বিভাগীয় মামলার আদেশ এক বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি

চট্টগ্রাম রেলের ৬৩৯টি প্লট বরাদ্দের দরপত্রে অভিনব জালিয়াতি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় পরও সংশ্লিষ্টরা এখনও কর্মক্ষেত্রে বহাল রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জনসংযোগ শাখায় কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শামসুল আরেফিন উল্লেখিত প্লট বরাদ্দের দরপত্রে অভিনব জালিয়াতির অভিযোগ মন্ত্রণালয়সহ দুইটি বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে বদলি ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার আদেশ এক বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। ইতিপূর্বে আরেকটি জালিয়াতির কারণে ওই কম্পিউটার অপারেটর শামসুল আরেফিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও সেই আদেশ প্রত্যাহার হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম রেলের ৬৩৯টি প্লট বরাদ্দে দরপত্রে অভিনব জালিয়াতির আশ্রয় নেন অফিস সহকারী শামসুল আরেফিন। ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক দুইটি তদন্ত হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে ডিজি, দপ্তরের ওই বছরের ৩০ অক্টোবরের স্বারক নং- ৫৪.০১.০০০০.০০৫.২৭.০০৮.১৯.-৪১৯ ও রেল মন্ত্রণালয়ের ভূমি শাখার বিগত ৩০ ডিসেম্বরের স্বারক নং- ৫৪.০০.০০০০.০০৯.০১৪.০১০১৯.৩৪৭ মূলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ফলে রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রশাসন শাখা-৩ এর উপসচিব, মো. আবদুর রহিম স্বাক্ষরিত ৩০ ডিসেম্বর তারিখের স্বারক নং- ৫৪.০০.০০০০.০২৩.২৭.০১৮.১৮-৪১৪ মূলে তাকে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে বদলি ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ও মহাব্যবস্থাপককে (পূর্ব) নির্দেশ প্রদান করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব বরাবরে অনুলিপি প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত নির্দেশ প্রদানের এক বছর পার হলেও তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে রেলের ৬৩৯টি প্লট বরাদ্দে মনোনীত ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজস করে দরপত্র জালিয়াতি করে প্রায় কোটি টাকা অন্যায়ভাবে লাভবান হয়ে সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি করে শামসুল আরেফিন। এ সংক্রান্তে অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় ঢাকার স্বারক নং-০০.০১.১৫০০.৬২৩.২৬.০০৫.১৯.৩৯০৬৬ তারিখ ১০/১০/২০১৯ ইং, দুদক, সমন্নিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর স্বারক নং-৩৬৮১ তারিখ- ২১/১০/২০১৯ ইং ও দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্নিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর ই/আর নং-১৩৪/২০১৯ইং এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দুদক/সজেকা/চট্টগ্রাম-২ (ই/আর নং-১৩৪/২০১৯)/৩৭৪৭ স্মারক মূলে অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে প্লট বরাদ্দের নীতিমালা, প্লটের অবস্থান ও ডিডিপিআর-এর অফিস সহকারী শামসুল আরেফিনের চাকরির নথি, তার পদোন্নতি কমিটির তালিকাসহ রেকর্ড ও সাময়িক বরখাস্তের কারণ ও বিভাগীয় তদন্তের বিপরীতে রেকর্ডপত্রসহ জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দের অভিযোগ এনে ৬টি ক্রমিকে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র তলব করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপককে পত্র দেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১২ সালে তৎকালীন জিএম ইউসুপ আলী মৃধার নেতৃত্বে ৭ হাজার ২৭৫ জন লোক নিয়োগের নামে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছিল। তখন ডিডিপিআর ও একই সঙ্গে ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসেবেও চলতি দায়িত্বে ছিলেন রেলের বর্তমান যুগ্ম মহাপরিচালক রাশেদা সোলতানা গনি। তখন রেলের সব ধরনের নিয়োগের উপর তার প্রভাব ছিল। এছাড়া তিনি নিজেই সুইপার নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। তখনকার সময় উক্ত শামসুল আরেফিন জনসংযোগ শাখায় পিয়ন হিসেবে কর্মরত থেকে ডিডিপিআর-এর খুবই আস্থাভাজন ছিলেন। ফলে তিনিও নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছিল।

সূত্র আরও জানায়, বর্তমান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বর্তমান সহকারী মহাব্যবস্থাপক জোবেদা আক্তার। তিনি সাবেক ডিডিপিআর ও ভারপ্রাপ্ত ওয়েলফেয়ার অফিসার ছিলেন। সে সময় তার বিরুদ্ধে ৮৬৩ জন খালাসি নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের তদন্ত করছে দুদক। উক্ত নিয়োগ বাণিজ্যে জোবেদার অন্যতম সহযোগী ছিল কথিত শামসুল আরেফিন। তখন সে অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে একাধিক লোককে নিয়োগ দিয়েছেন এমন অভিযোগও রেল ভবনের প্রায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে মুখে।

যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করা প্রসঙ্গে বলেন, তিনি নতুন যোগদান করেছেন। এ ব্যাপারে অবগত নন। তবে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন। দুদকের তদন্ত সম্পর্কেও তিনি একই কথা বলেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, কম্পিউটার অপারেটর শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। রয়েছে সম্পদেরও পাহাড়। তার ক্ষমতার কাছে অনেক কর্মকর্তা অসহায়। মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অনেক দুর্নীতিবাজ বড় কর্তাই তার অদৃশ্য শক্তি। ইতিপূর্বে আরেকটি জালিয়াতির কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। উক্ত বরখাস্ত আদেশও অল্প কয়েকদিনের মধ্যে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন চট্টগ্রাম রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে তিনি এখনও একই পদে বহাল থেকে বর্তমান ডিডিপিআর তৌষিয়া আহমেদের সহায়তায় বিভিন্ন ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজসে দরপত্র জালিয়াতি ও গুপছি বিজ্ঞাপন বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহা-ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, বিজ্ঞাপন জালিয়াতি ও গুপছি বিজ্ঞাপণ প্রকাশ এবং শামসুল আরেফিন নিজের স্বাক্ষরে বিভিন্ন প্রত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ সম্পর্কে খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে অফিস সহকারী শামসুল আরেফিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে পরে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।  

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ , ৯ মাঘ ১৪২৭, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চট্টগ্রাম রেলের ৬৩৯টি প্লট বরাদ্দ

দরপত্রে জালিয়াতি : বিভাগীয় মামলার আদেশ এক বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম রেলের ৬৩৯টি প্লট বরাদ্দের দরপত্রে অভিনব জালিয়াতি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় পরও সংশ্লিষ্টরা এখনও কর্মক্ষেত্রে বহাল রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জনসংযোগ শাখায় কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শামসুল আরেফিন উল্লেখিত প্লট বরাদ্দের দরপত্রে অভিনব জালিয়াতির অভিযোগ মন্ত্রণালয়সহ দুইটি বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে বদলি ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার আদেশ এক বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। ইতিপূর্বে আরেকটি জালিয়াতির কারণে ওই কম্পিউটার অপারেটর শামসুল আরেফিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও সেই আদেশ প্রত্যাহার হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম রেলের ৬৩৯টি প্লট বরাদ্দে দরপত্রে অভিনব জালিয়াতির আশ্রয় নেন অফিস সহকারী শামসুল আরেফিন। ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক দুইটি তদন্ত হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে ডিজি, দপ্তরের ওই বছরের ৩০ অক্টোবরের স্বারক নং- ৫৪.০১.০০০০.০০৫.২৭.০০৮.১৯.-৪১৯ ও রেল মন্ত্রণালয়ের ভূমি শাখার বিগত ৩০ ডিসেম্বরের স্বারক নং- ৫৪.০০.০০০০.০০৯.০১৪.০১০১৯.৩৪৭ মূলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ফলে রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রশাসন শাখা-৩ এর উপসচিব, মো. আবদুর রহিম স্বাক্ষরিত ৩০ ডিসেম্বর তারিখের স্বারক নং- ৫৪.০০.০০০০.০২৩.২৭.০১৮.১৮-৪১৪ মূলে তাকে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে বদলি ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ও মহাব্যবস্থাপককে (পূর্ব) নির্দেশ প্রদান করে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব বরাবরে অনুলিপি প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত নির্দেশ প্রদানের এক বছর পার হলেও তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে রেলের ৬৩৯টি প্লট বরাদ্দে মনোনীত ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজস করে দরপত্র জালিয়াতি করে প্রায় কোটি টাকা অন্যায়ভাবে লাভবান হয়ে সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি করে শামসুল আরেফিন। এ সংক্রান্তে অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় ঢাকার স্বারক নং-০০.০১.১৫০০.৬২৩.২৬.০০৫.১৯.৩৯০৬৬ তারিখ ১০/১০/২০১৯ ইং, দুদক, সমন্নিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর স্বারক নং-৩৬৮১ তারিখ- ২১/১০/২০১৯ ইং ও দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্নিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর ই/আর নং-১৩৪/২০১৯ইং এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দুদক/সজেকা/চট্টগ্রাম-২ (ই/আর নং-১৩৪/২০১৯)/৩৭৪৭ স্মারক মূলে অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে প্লট বরাদ্দের নীতিমালা, প্লটের অবস্থান ও ডিডিপিআর-এর অফিস সহকারী শামসুল আরেফিনের চাকরির নথি, তার পদোন্নতি কমিটির তালিকাসহ রেকর্ড ও সাময়িক বরখাস্তের কারণ ও বিভাগীয় তদন্তের বিপরীতে রেকর্ডপত্রসহ জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দের অভিযোগ এনে ৬টি ক্রমিকে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র তলব করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপককে পত্র দেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১২ সালে তৎকালীন জিএম ইউসুপ আলী মৃধার নেতৃত্বে ৭ হাজার ২৭৫ জন লোক নিয়োগের নামে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছিল। তখন ডিডিপিআর ও একই সঙ্গে ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসেবেও চলতি দায়িত্বে ছিলেন রেলের বর্তমান যুগ্ম মহাপরিচালক রাশেদা সোলতানা গনি। তখন রেলের সব ধরনের নিয়োগের উপর তার প্রভাব ছিল। এছাড়া তিনি নিজেই সুইপার নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। তখনকার সময় উক্ত শামসুল আরেফিন জনসংযোগ শাখায় পিয়ন হিসেবে কর্মরত থেকে ডিডিপিআর-এর খুবই আস্থাভাজন ছিলেন। ফলে তিনিও নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছিল।

সূত্র আরও জানায়, বর্তমান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বর্তমান সহকারী মহাব্যবস্থাপক জোবেদা আক্তার। তিনি সাবেক ডিডিপিআর ও ভারপ্রাপ্ত ওয়েলফেয়ার অফিসার ছিলেন। সে সময় তার বিরুদ্ধে ৮৬৩ জন খালাসি নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের তদন্ত করছে দুদক। উক্ত নিয়োগ বাণিজ্যে জোবেদার অন্যতম সহযোগী ছিল কথিত শামসুল আরেফিন। তখন সে অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে একাধিক লোককে নিয়োগ দিয়েছেন এমন অভিযোগও রেল ভবনের প্রায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে মুখে।

যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করা প্রসঙ্গে বলেন, তিনি নতুন যোগদান করেছেন। এ ব্যাপারে অবগত নন। তবে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন। দুদকের তদন্ত সম্পর্কেও তিনি একই কথা বলেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, কম্পিউটার অপারেটর শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। রয়েছে সম্পদেরও পাহাড়। তার ক্ষমতার কাছে অনেক কর্মকর্তা অসহায়। মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অনেক দুর্নীতিবাজ বড় কর্তাই তার অদৃশ্য শক্তি। ইতিপূর্বে আরেকটি জালিয়াতির কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। উক্ত বরখাস্ত আদেশও অল্প কয়েকদিনের মধ্যে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন চট্টগ্রাম রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে তিনি এখনও একই পদে বহাল থেকে বর্তমান ডিডিপিআর তৌষিয়া আহমেদের সহায়তায় বিভিন্ন ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজসে দরপত্র জালিয়াতি ও গুপছি বিজ্ঞাপন বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহা-ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, বিজ্ঞাপন জালিয়াতি ও গুপছি বিজ্ঞাপণ প্রকাশ এবং শামসুল আরেফিন নিজের স্বাক্ষরে বিভিন্ন প্রত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ সম্পর্কে খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে অফিস সহকারী শামসুল আরেফিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে পরে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।