প্রকৃত গৃহহীনদের মাঝেই ঘর বরাদ্দ দিতে হবে

বাগেরহাটের চিতলমারীতে পুনর্বাসন প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ দেয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভূমিহীনরা। তাদের দাবি, যাদের পাকাবাড়ি, আটচালের টিনের ঘর এবং নিজস্ব জমি আছে তারাও ঘর পেয়েছেন।

পুনর্বাসন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। শুধু বাগেরহাটই নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। যারা প্রকৃতই এমন গৃহ পাওয়ার যোগ্য, তারাই এই সুবিধা ভোগ করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অর্থের বিনিময়ে সচ্ছল ব্যক্তিদেরও সরকারি খরচে ঘর তুলে দেয়া হচ্ছে। এসব ঘর নির্মাণ নিয়েও নানা ধরনের অনিয়ম হচ্ছে। নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সরকারি উদ্যোগে গৃহহীন দরিদ্র মানুষের আশ্রয়ের যে সুযোগ তৈরি হয়েছিল, তা ব্যর্থ হতে চলেছে।

অনিয়মের সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। অন্যায়ভাবে বরাদ্দকৃত ঘরগুলো দ্রুত বাতিল করতে হবে। যারা অনিয়ম করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গৃহহীনদের মাঝেই ঘর বরাদ্দ দেয়া উচিত।

দরিদ্রদের জন্য জমি হোক কিংবা টাকা হোক সেটা আত্মসাৎ করার চল দীর্ঘদিনের। আমরা দেখেছি, গ্রামীণ জনপদের হতদরিদ্রদের জন্য নেয়া কাবিখা, টেস্ট রিলিফ, ভিজিএফ কার্ডসহ সব ধরনের প্রকল্পেই দুর্নীতি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে সরকারিভাবে যেসব সাহায্য আসে তার একটা অংশ চলে যায় অনিয়ম-দুর্নীতির পেটে। হতদরিদ্রদের গৃহ নির্মাণ প্রকল্পেও একই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। দোষীদের শাস্তি দেয়া না হলে এ ধরনের অনিয়ম চলতেই থাকবে।

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ , ৯ মাঘ ১৪২৭, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

প্রকৃত গৃহহীনদের মাঝেই ঘর বরাদ্দ দিতে হবে

বাগেরহাটের চিতলমারীতে পুনর্বাসন প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ দেয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভূমিহীনরা। তাদের দাবি, যাদের পাকাবাড়ি, আটচালের টিনের ঘর এবং নিজস্ব জমি আছে তারাও ঘর পেয়েছেন।

পুনর্বাসন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। শুধু বাগেরহাটই নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। যারা প্রকৃতই এমন গৃহ পাওয়ার যোগ্য, তারাই এই সুবিধা ভোগ করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অর্থের বিনিময়ে সচ্ছল ব্যক্তিদেরও সরকারি খরচে ঘর তুলে দেয়া হচ্ছে। এসব ঘর নির্মাণ নিয়েও নানা ধরনের অনিয়ম হচ্ছে। নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সরকারি উদ্যোগে গৃহহীন দরিদ্র মানুষের আশ্রয়ের যে সুযোগ তৈরি হয়েছিল, তা ব্যর্থ হতে চলেছে।

অনিয়মের সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। অন্যায়ভাবে বরাদ্দকৃত ঘরগুলো দ্রুত বাতিল করতে হবে। যারা অনিয়ম করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গৃহহীনদের মাঝেই ঘর বরাদ্দ দেয়া উচিত।

দরিদ্রদের জন্য জমি হোক কিংবা টাকা হোক সেটা আত্মসাৎ করার চল দীর্ঘদিনের। আমরা দেখেছি, গ্রামীণ জনপদের হতদরিদ্রদের জন্য নেয়া কাবিখা, টেস্ট রিলিফ, ভিজিএফ কার্ডসহ সব ধরনের প্রকল্পেই দুর্নীতি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে সরকারিভাবে যেসব সাহায্য আসে তার একটা অংশ চলে যায় অনিয়ম-দুর্নীতির পেটে। হতদরিদ্রদের গৃহ নির্মাণ প্রকল্পেও একই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। দোষীদের শাস্তি দেয়া না হলে এ ধরনের অনিয়ম চলতেই থাকবে।