রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের ভূত তাড়ান

যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের ভলিউমের পৃষ্ঠা গায়েব হওয়া শুরু হয়েছে আবারও। এর আগে যেই চক্র এই অপকর্মে যুক্ত ছিল তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাতা ছেঁড়া ভলিউম জমির মালিকদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কেউ চাইলেই রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমে ঢুকতে পারে না। ভলিউমের পাতা ছেঁড়া তো পরের কথা। অথচ চিহ্নিত একটি চক্র দিনের পর রেকর্ড রুমে ঢুকছে, ইচ্ছামতো ভলিউমের পাতা ছিঁড়ছে। আর রেকর্ড কিপার নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন। বোঝা যাচ্ছে, পাতা ছেঁড়া চক্রের খুঁটি অনেক শক্ত। খুঁটির জোরেই তারা বলছে যে, ‘যা মন চায় লিখে দেন। বহুতো লিখলেন কিছু হয়েছে কি।’

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা উক্ত চক্রের কাছ থেকে মাসোহারা নেন। এ কারণেই ওই চক্র ইতিপূর্বে অপকর্ম করে পার পেয়ে গেছে। এখন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ কারণে প্রশ্ন দেখা দেয় যে, সরষের ভেতর ভূত থাকলে ভূত তাড়াবে কে?

আগে সরষের ভূত তাড়াতে হবে। কারা ভলিউমের পাতা ছেঁড়া চক্রের কাছ থেকে মাসোহারা নিচ্ছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাতা ছেঁড়া চক্রের দৌরাত্ম্যের অবসান ঘটিয়ে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুম সুরক্ষিত করা জরুরি। এবার যেন তারা টাকা দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই না, ভলিউমের পাতা ছেঁড়ার কারণে একজন জমির মালিকও ভোগান্তিতে পড়ুক।

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ , ৯ মাঘ ১৪২৭, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের ভূত তাড়ান

যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের ভলিউমের পৃষ্ঠা গায়েব হওয়া শুরু হয়েছে আবারও। এর আগে যেই চক্র এই অপকর্মে যুক্ত ছিল তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাতা ছেঁড়া ভলিউম জমির মালিকদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কেউ চাইলেই রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমে ঢুকতে পারে না। ভলিউমের পাতা ছেঁড়া তো পরের কথা। অথচ চিহ্নিত একটি চক্র দিনের পর রেকর্ড রুমে ঢুকছে, ইচ্ছামতো ভলিউমের পাতা ছিঁড়ছে। আর রেকর্ড কিপার নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন। বোঝা যাচ্ছে, পাতা ছেঁড়া চক্রের খুঁটি অনেক শক্ত। খুঁটির জোরেই তারা বলছে যে, ‘যা মন চায় লিখে দেন। বহুতো লিখলেন কিছু হয়েছে কি।’

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা উক্ত চক্রের কাছ থেকে মাসোহারা নেন। এ কারণেই ওই চক্র ইতিপূর্বে অপকর্ম করে পার পেয়ে গেছে। এখন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ কারণে প্রশ্ন দেখা দেয় যে, সরষের ভেতর ভূত থাকলে ভূত তাড়াবে কে?

আগে সরষের ভূত তাড়াতে হবে। কারা ভলিউমের পাতা ছেঁড়া চক্রের কাছ থেকে মাসোহারা নিচ্ছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাতা ছেঁড়া চক্রের দৌরাত্ম্যের অবসান ঘটিয়ে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুম সুরক্ষিত করা জরুরি। এবার যেন তারা টাকা দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই না, ভলিউমের পাতা ছেঁড়ার কারণে একজন জমির মালিকও ভোগান্তিতে পড়ুক।