শ্রমিকের চাকরির নিশ্চয়তা পণ্যের মান বৃদ্ধি করবে

যেকোন প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি ধরে রাখতে শ্রমিকের মূল্যায়ন প্রয়োজন। শ্রমিককে যদি স্থায়ী না করে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়, তবে উৎপাদন ভালো মানের হয় না। এতে শ্রমিকের কারখানার প্রতি ভালোবাসা থাকে না। গতকাল রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) দি এশিয়া ফাউন্ডেশন ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) আয়োজিত ‘ট্যানারি শ্রমিকদের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান।

তিনি আরও বলেন, আপনি এক বছর একজন শ্রমিককে কারখানায় বা আপনার প্রতিষ্ঠানে রাখবেন অথচ স্থায়ী নিয়োগ করবেন না, এটা হতে পারে না। এর মাধ্যমে আপনি শুধু একজন শ্রমিক ঠকাচ্ছেন না, আইনও লঙ্ঘন করছেন। শ্রমিকের মূল্যায়ন না থাকায় পাট শিল্পের অবস্থা খারাপের দিকে। আমাদের শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে হবে। তারাই আপনাকে মানসম্পন্ন পণ্য উপহার দেবে। কোভিড মহামারীর সময়ে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের প্রণোদনার টাকা দেয়া হলেও ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের টাকা দিতে পারিনি। ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের ডাটাবেজ না থাকায় তাদের সহায়তা করতে পারিনি। মাত্র ২২০ জন শ্রমিকের হাতে আমরা টাকা দিতে পেরেছি। এ খাতে কি শুধু এ কয়জন শ্রমিক কাজ করেন?

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি মো. শাহীন আহমেদ বলেন, ট্যানারিতে স্থায়ী শ্রমিক বেশি আছে। অস্থায়ী শ্রমিকের প্রয়োজন হয় মাত্র তিন মাসের জন্য। কোরবানির পর আমাদের হাজার হাজার শ্রমিক প্রয়োজন হয়। তখন আমরা কিভাবে স্থায়ী শ্রমিক নেব। ট্যানারি খাতে আগেও অস্থায়ী শ্রমিক ছিল, আগামীতেও থাকবে।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, শ্রমিক নেতা ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, নাইমুল আহসান জুয়েল, সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১ , ১০ মাঘ ১৪২৭, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শ্রমিকের চাকরির নিশ্চয়তা পণ্যের মান বৃদ্ধি করবে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

যেকোন প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি ধরে রাখতে শ্রমিকের মূল্যায়ন প্রয়োজন। শ্রমিককে যদি স্থায়ী না করে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়, তবে উৎপাদন ভালো মানের হয় না। এতে শ্রমিকের কারখানার প্রতি ভালোবাসা থাকে না। গতকাল রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) দি এশিয়া ফাউন্ডেশন ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‌্যাপিড) আয়োজিত ‘ট্যানারি শ্রমিকদের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান।

তিনি আরও বলেন, আপনি এক বছর একজন শ্রমিককে কারখানায় বা আপনার প্রতিষ্ঠানে রাখবেন অথচ স্থায়ী নিয়োগ করবেন না, এটা হতে পারে না। এর মাধ্যমে আপনি শুধু একজন শ্রমিক ঠকাচ্ছেন না, আইনও লঙ্ঘন করছেন। শ্রমিকের মূল্যায়ন না থাকায় পাট শিল্পের অবস্থা খারাপের দিকে। আমাদের শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে হবে। তারাই আপনাকে মানসম্পন্ন পণ্য উপহার দেবে। কোভিড মহামারীর সময়ে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের প্রণোদনার টাকা দেয়া হলেও ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের টাকা দিতে পারিনি। ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের ডাটাবেজ না থাকায় তাদের সহায়তা করতে পারিনি। মাত্র ২২০ জন শ্রমিকের হাতে আমরা টাকা দিতে পেরেছি। এ খাতে কি শুধু এ কয়জন শ্রমিক কাজ করেন?

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি মো. শাহীন আহমেদ বলেন, ট্যানারিতে স্থায়ী শ্রমিক বেশি আছে। অস্থায়ী শ্রমিকের প্রয়োজন হয় মাত্র তিন মাসের জন্য। কোরবানির পর আমাদের হাজার হাজার শ্রমিক প্রয়োজন হয়। তখন আমরা কিভাবে স্থায়ী শ্রমিক নেব। ট্যানারি খাতে আগেও অস্থায়ী শ্রমিক ছিল, আগামীতেও থাকবে।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, শ্রমিক নেতা ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, নাইমুল আহসান জুয়েল, সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।