বেদখলে থাকা বনভূমি পুনরুদ্ধার করুন

দখল ও অবকাঠামো নির্মাণের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে বনভূমি। দেশে সংরক্ষিত বনভূমি রয়েছে ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৯০৭ দশমিক ৫২ একর। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে রেখেছে ৮৮ হাজার ২১৫ জন অবৈধ দখলদার। গড়ে তুলেছেন শিল্প-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রিসোর্ট, খামার।

বন উদ্বেগজনকভাবে হ্রাস পাওয়ার পেছনে বনকেন্দ্রিক অনিয়ম ও দুর্নীতিই প্রধান কারণ। বিপুল পরিমাণ বনভূমি রাতারাতি বেদখল হয়ে যায়নি; বছরের পর বছর ধরে পরিবেশ-ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চলে এসেছে। সে কাজ কেন কারও নজরে পড়ে না?

এটা স্পষ্ট যে, বনভূমি তদারকি ও সংরক্ষণে দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের মনোযোগের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি দূর করতে হবে। বন বিভাগ এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করে তুলতে হবে। অবৈধ দখলদাররা স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাবান, হয়তো রাজনৈতিকভাবেও প্রভাবশালী। কিন্তু কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী নয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর না হলে বনভূমি রক্ষা করা যাবে না।

বেদখলে থাকা বনভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য অবিলম্বে অভিযান চালানো প্রয়োজন। বৃক্ষ ও বন্যপ্রাণী হত্যা এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দখলকৃত বনভূমি উদ্ধার করে সেখানে নতুন করে বন সৃজন করতে হবে।

বন সুরক্ষাকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এক্ষেত্রে আসল কাজটিই হচ্ছে বেদখল হয়ে যাওয়া বনভূমি পুনরুদ্ধার করে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং সেগুলো যেন আবারও বেদখল হয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করা। বনের প্রতি মানুষের সহমর্মিতার মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। কোন উন্নয়ন পরিকল্পনার নামে বনভূমি ধ্বংস করা যাবে না। বনভূমির আশপাশে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোন শিল্পকারখানা বা ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১ , ১০ মাঘ ১৪২৭, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বেদখলে থাকা বনভূমি পুনরুদ্ধার করুন

দখল ও অবকাঠামো নির্মাণের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে বনভূমি। দেশে সংরক্ষিত বনভূমি রয়েছে ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৯০৭ দশমিক ৫২ একর। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে রেখেছে ৮৮ হাজার ২১৫ জন অবৈধ দখলদার। গড়ে তুলেছেন শিল্প-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রিসোর্ট, খামার।

বন উদ্বেগজনকভাবে হ্রাস পাওয়ার পেছনে বনকেন্দ্রিক অনিয়ম ও দুর্নীতিই প্রধান কারণ। বিপুল পরিমাণ বনভূমি রাতারাতি বেদখল হয়ে যায়নি; বছরের পর বছর ধরে পরিবেশ-ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চলে এসেছে। সে কাজ কেন কারও নজরে পড়ে না?

এটা স্পষ্ট যে, বনভূমি তদারকি ও সংরক্ষণে দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের মনোযোগের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি দূর করতে হবে। বন বিভাগ এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করে তুলতে হবে। অবৈধ দখলদাররা স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাবান, হয়তো রাজনৈতিকভাবেও প্রভাবশালী। কিন্তু কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী নয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর না হলে বনভূমি রক্ষা করা যাবে না।

বেদখলে থাকা বনভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য অবিলম্বে অভিযান চালানো প্রয়োজন। বৃক্ষ ও বন্যপ্রাণী হত্যা এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দখলকৃত বনভূমি উদ্ধার করে সেখানে নতুন করে বন সৃজন করতে হবে।

বন সুরক্ষাকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এক্ষেত্রে আসল কাজটিই হচ্ছে বেদখল হয়ে যাওয়া বনভূমি পুনরুদ্ধার করে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং সেগুলো যেন আবারও বেদখল হয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করা। বনের প্রতি মানুষের সহমর্মিতার মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। কোন উন্নয়ন পরিকল্পনার নামে বনভূমি ধ্বংস করা যাবে না। বনভূমির আশপাশে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোন শিল্পকারখানা বা ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।