জন্মনিবন্ধন ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত করুন

জন্মনিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০০১ সালে। কিন্তু গত ২০ বছরেও ত্রুটিমুক্ত একটি কার্যকর জন্মনিবন্ধন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। দেশে ১৭ কোটি ৬৪ লাখের বেশি জন্মনিবন্ধন হয়েছে। তবে জন্মনিবন্ধন কার্যালয়ের কর্মকর্তারাই জানিয়েছেন, নিবন্ধনে অসংখ্য দ্বৈততা রয়েছে। অর্থাৎ এক ব্যক্তির নামে একাধিক নিবন্ধন রয়েছে। ফলে মোট জন্মনিবন্ধনের সংখ্যাকে প্রকৃত নিবন্ধিত সংখ্যা হিসেবে ধরার সুযোগ নেই।

জন্ম, মৃত্যু ও স্থানান্তর-এই তিনটি বিষয়ের সঠিক তথ্য থাকা খুব জরুরি। কিন্তু দেশে জন্মনিবন্ধনের কার্যক্রমেই নানা অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, জন্মনিবন্ধনে ব্যবহৃত পুরোনো সফটওয়্যারটির তথ্য যাচাইয়ে দুর্বলতা থাকায় এক ব্যক্তির নামে একাধিক জন্মনিবন্ধন হয়েছে।

ডিজিটাল যুগে এমন সমস্যার সমাধান তো কঠিন কাজ নয়। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই তা সমাধান করা যায়। সেটা করা হচ্ছে না কেন? সঠিক ও গুণগত উপাত্ত না থাকলে ভ্রান্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। এক্ষেত্রেও সে আশঙ্কা রয়েছে। জন্মনিবন্ধনের সঠিক তথ্য না থাকলে সরকারের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও ব্যাহত হবে।

জন্মনিবন্ধনের কাজটি আরও আন্তরিকতার সঙ্গে করা উচিত। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত যে সমস্যা রয়েছে তা দ্রুত দূর করতে হবে। জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় লোকবল বরাদ্দ দিতে হবে। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের দায়বদ্ধতার মধ্যে আনতে হবে।

জন্মের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। নাগরিকের কর্তব্য হচ্ছে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে জন্মনিবন্ধন করা। এ আইনি পরিচয় শিশুকে দেয়া বাবা-মায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপহার, যা তাকে ভবিষ্যতে সব রকমের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১ , ১০ মাঘ ১৪২৭, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

জন্মনিবন্ধন ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত করুন

জন্মনিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০০১ সালে। কিন্তু গত ২০ বছরেও ত্রুটিমুক্ত একটি কার্যকর জন্মনিবন্ধন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। দেশে ১৭ কোটি ৬৪ লাখের বেশি জন্মনিবন্ধন হয়েছে। তবে জন্মনিবন্ধন কার্যালয়ের কর্মকর্তারাই জানিয়েছেন, নিবন্ধনে অসংখ্য দ্বৈততা রয়েছে। অর্থাৎ এক ব্যক্তির নামে একাধিক নিবন্ধন রয়েছে। ফলে মোট জন্মনিবন্ধনের সংখ্যাকে প্রকৃত নিবন্ধিত সংখ্যা হিসেবে ধরার সুযোগ নেই।

জন্ম, মৃত্যু ও স্থানান্তর-এই তিনটি বিষয়ের সঠিক তথ্য থাকা খুব জরুরি। কিন্তু দেশে জন্মনিবন্ধনের কার্যক্রমেই নানা অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, জন্মনিবন্ধনে ব্যবহৃত পুরোনো সফটওয়্যারটির তথ্য যাচাইয়ে দুর্বলতা থাকায় এক ব্যক্তির নামে একাধিক জন্মনিবন্ধন হয়েছে।

ডিজিটাল যুগে এমন সমস্যার সমাধান তো কঠিন কাজ নয়। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই তা সমাধান করা যায়। সেটা করা হচ্ছে না কেন? সঠিক ও গুণগত উপাত্ত না থাকলে ভ্রান্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। এক্ষেত্রেও সে আশঙ্কা রয়েছে। জন্মনিবন্ধনের সঠিক তথ্য না থাকলে সরকারের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও ব্যাহত হবে।

জন্মনিবন্ধনের কাজটি আরও আন্তরিকতার সঙ্গে করা উচিত। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত যে সমস্যা রয়েছে তা দ্রুত দূর করতে হবে। জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় লোকবল বরাদ্দ দিতে হবে। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের দায়বদ্ধতার মধ্যে আনতে হবে।

জন্মের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। নাগরিকের কর্তব্য হচ্ছে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে জন্মনিবন্ধন করা। এ আইনি পরিচয় শিশুকে দেয়া বাবা-মায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপহার, যা তাকে ভবিষ্যতে সব রকমের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।