পিকে হালদারের সহযোগী উজ্জ্বল নন্দী ও রাশেদুল গ্রেপ্তার

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারের দুই সহযোগী উজ্জল কুমার নন্দী এবং রাশেদুলকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছে দুদক।

পিকে হালদার যে ৪ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারমধ্যে পিপলস লিজিং এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অন্যতম। উজ্জল কুমার নন্দী পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান এবং রাশেদুল হক ইন্টারন্যাশনাল লিজিং-এর এমডি থাকাকালীন ওই দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন পিকে হালদার।

দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশান্ত কুমার হালদার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছেন। এরমধ্যে পিপলস লিজিং থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ রয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে পিপলস থেকে পিকে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণের নামে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর কার্যত প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়। পিপল লিজিং-এর সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সূত্র ধরে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরপর বেরিয়ে আসে শুধু পিপলস থেকেই নয় মোট ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে পিকে মোট ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতি করে। এসব ঘটনা অনুসন্ধানে এ পর্যন্ত ডজনখানেক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফ্রিজ করা হয়েছে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া সর্বশেষ আদালতের নির্দেশে পিকে সংশ্লিষ্ট ৬২ ব্যক্তির ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ফ্রিজ করে দুদক। ওই ৬২ ব্যক্তির মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া উজ্জল কুমার নন্দী এবং রাশেদুলহকও রয়েছে।

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

পিকে হালদারের সহযোগী উজ্জ্বল নন্দী ও রাশেদুল গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারের দুই সহযোগী উজ্জল কুমার নন্দী এবং রাশেদুলকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছে দুদক।

পিকে হালদার যে ৪ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারমধ্যে পিপলস লিজিং এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অন্যতম। উজ্জল কুমার নন্দী পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান এবং রাশেদুল হক ইন্টারন্যাশনাল লিজিং-এর এমডি থাকাকালীন ওই দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন পিকে হালদার।

দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশান্ত কুমার হালদার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো হাতিয়ে নিয়েছেন। এরমধ্যে পিপলস লিজিং থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ রয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে পিপলস থেকে পিকে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণের নামে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর কার্যত প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়। পিপল লিজিং-এর সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সূত্র ধরে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরপর বেরিয়ে আসে শুধু পিপলস থেকেই নয় মোট ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে পিকে মোট ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতি করে। এসব ঘটনা অনুসন্ধানে এ পর্যন্ত ডজনখানেক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ফ্রিজ করা হয়েছে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া সর্বশেষ আদালতের নির্দেশে পিকে সংশ্লিষ্ট ৬২ ব্যক্তির ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ফ্রিজ করে দুদক। ওই ৬২ ব্যক্তির মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া উজ্জল কুমার নন্দী এবং রাশেদুলহকও রয়েছে।